প্রথম বর্ষ।। প্রথম ওয়েব সংস্করণ।।১৪ ভাদ্র ১৪২৭
সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পাল্টে যাচ্ছে। পাল্টে দেওয়া হচ্ছে কোনো না কোনো ভাবে।যারা নিজেদের পাল্টাতে পারছে না তারা পিছিয়ে পড়ছে অথবা হারিয়ে যাচ্ছে একেবারে। করোনা আবহে আমাদের অরন্ধন পত্রিকার প্রকাশ সম্ভব হয়ে উঠছে না বলেই তার ওয়েব সংস্করণের দিকে পা বাড়ালাম আমরা।
এবার থেকে আমাদের প্রিয় পত্রিকা অরন্ধনের দুটি ভার্সনই বার হবে। যার ওয়েব সংস্করণের ভার আপাতত আমার হাতেই থাকল। আশা করি লেখক পাঠক ও অনুসরণকারীদের মনের মতো হয়ে উঠতে সক্ষম হবে এই সংস্করণ।
উত্তম মাহাত
সম্পাদক
নির্মল হালদারের কবিতা
কাঁড়-বাঁশ
১.
কুড়াতে কুড়াতে যাওয়া
এইতো কুড়িয়েছি, হাতির পায়ের দাগ
শেয়ালের ডাক, পাখির ডিম
আমার কাছেই ফুটবে পাখির ছানা
বাঁশপাতা কুড়িয়ে
বাঁশবনের রাস্তা খুঁজছি
যদি বাঁশি পাই
বাঁশির ভিতরে লুকিয়ে থাকা বাতাস
আমি জড়াবো
আমি প্রাচীন বিরহ।
২.
যদি মাছের আঁশ হয়েই থাকি,
তাই বা কম কি!
নিত্য নব কিরণে চিকচিক করবে গা
পাড় ভেঙে আসতে চাইবে মাটি
আমার গা ঘেঁষতে।
পাড় ভেঙ্গে আসতে চাইবে পাথর
আমার গা ঘেঁষতে।
যদি মাছের লেজ হয়েও থাকি,
তাই বা কম কি!
জলে শুধু ঝাপটা মারবো।
সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
১. আবহসঙ্গীত
জল থেকে উঠে আসতেই মনে হল
নদী এক দীর্ঘমেয়াদী ঋণ
ক্ষতের পাশে
এত এত পাথরের সেলাই
রক্ত নয়
শুধু জন্ম বাজাবে বলে
বাঁশিটুকু ফেলে গেছে
অপূর্ব বালক ।
২.অনুসন্ধান
পায়ের যন্ত্রণা
চিনে গেছে বলে
যেসব ধুলো আজও দুঃখ পায়
তুমি তাদের প্রণাম শেখালে
নত হতে পারলে
মাটিকেও চেনা যায় জন্মের মত
খুঁজে পাওয়া যায়
পূর্বপুরুষের পায়ের ছাপ।
উৎপল দাসের কবিতা
১. হাত
নিজের হাত দুটিকেই
সবচেয়ে বেশি ভয় পাও তুমি
তোমার অত্যন্ত প্রিয় দুটি হাত
সেই কবে সভ্যতার সূচনা করেছিলো
উপকার বলো বা সর্বনাশ
এই হাতেই করেছো এতোদিন
ধুয়ে ফেলো মুছে ফেলো
২. লকডাউন
থেমে নেই কোকিলের ডাকাডাকি
থেমে নেই কাঠবিড়ালির আনাগোনা
এই তো দু'দিন আগে বুলবুলি
তার ছানাদের নিয়ে উড়ে গেল
নিমগাছের বাসা ছেড়ে
কালবৈশাখী থামলে
একাদশীর চাঁদ ওঠে
আমরাও থেমে নেই কাজে কর্মে
থেমে আছে শহরের চেনা কোলাহল
দুর্গা দত্তের কবিতা
শ্রেণীকক্ষে
জোয়াল বিষয়ে
দু-একটি কথা আছে স্যার।
আপনি বললেন স্যার ,
জোয়ালও তো নানাবিধ।
লাঙল মই বা গাড়ির ...
জোয়ালের দুদিকেই
পোক্ত করে পাগা দিয়ে বাঁধবার
কাঠের বা লোহার শোলখিল।
দুদিকে যাদের কাঁধ জোয়ালের নীচে ,
বলদ বা প্রচণ্ড মহিষ,
নিয়মিত ভার ব'য়ে খসখসে কঠিন অসাড়
কখনো বা সংক্রমণে টনটন, যন্ত্রণায় নীল--
হিসেবী মালিক যারা
মাঝেমধ্যে বর্ষা কালে চাষের সময়
কালকূট বিষে ভরা কর্কট বৃশ্চিক
খুঁজে পেতে ধরে নিয়ে আসে যত্ন করে।
কোনোভাবে কাঁধে তুলে দেয়।
তারপরে বিষনীল কালো কালো চকচকে
কাঁকড়ার স্বাভাবিক কাজ !
হুল ফুটিয়ে বিষ ঢেলে কী যে আরাম দেয়
টসটসে কাঁধে ! চনমন করে প্রাণ ,
প্রাণ যেন ফিরে আসে ভোঁতা ফোলা কাঁধে।
বিষের আরামে চোখে নেমে আসে ঘুম ।
চাষাভুষো লোকে বলে বিষে বিষক্ষয়।
সবই বুঝলাম স্যার ।
তাহলে গফুর মিঞা আর তার সাধের বলদ !
তার কী কথা !
জোয়াল কাঁধে না তুললে
কীভাবে কর্ষণ হবে ?
ফালা ফালা হবে শুকনো মাটি ?
একটিই বলদ স্যার ! একা কি চাষ হয় ?
জোয়ালের অন্যদিকে কে ?
কার কাঁধ ? গফুর ? নাকি তার মা-হারা
বছর দশেকের মেয়ে প্রায় উপোসী বিটি আমিনার ?
তাই যদি হয় স্যার , তবে ,
লাঙলের বোঁটা ধরবে কে ? গফুরের বিটি ?
মই-এর ওপরে উঠে ভার দেবে কে ?
একলা বলদ তো কোনোদিন
লাঙল বা মইকে বায় না !
বাইতেই পারে না।
কৃষিসভ্যতায় কোনো নজির কি আছে ?
আরও আছে স্যার ।
অবোলা বা অবলা যেভাবেই দেখি স্যার
সবাই তো মূলতঃ তাই-ই ---
গফুর আমিনা কিম্বা মহেশ ব্যাটাও
সবার কাঁধ-ই দেখি বিষে বিষে নীল --
নীলস্কন্ধ তারা
কালো কালো কাঁকড়ার হুলে ...
সবাই তো শেষ অবধি দেশান্তরী স্যার !
সবাই তো ভূমিহীন বাস্তুহারা মুজাহিদ
যা-ই বলি স্যার
মরা শুকনো ভিন্ দেশে গোত্রহীন ...
জোয়াল কোথায় স্যার কৃষিকর্মে দাঁড়ালো তাহলে !
তপন পাত্রের কবিতা
চাষবাস
১.
চাষবাসের আগেই এবার খুব বৃষ্টি ।
শুকনো ক্ষেতের উপর দিয়ে বয়ে গেল কয়েক নদী জল।
তখন চারাতলা নেই । থাকার মরশুমও নয় ।
মাটিও তো প্রস্তুত ছিল না ।
শুধু জল বয়ে গেল।
হাসতে থাকলো চতুর্দিক ।
ভাসতে থাকলো চতুর্দিক ।
মাঠ ভর্তি সবুজ গালিচা। ঘাসগুলো লকলক করছিল।
এখন চারা বড় হয়ে উঠেছে । মাটি লাঙ্গল চাইছে।
পার হয়ে যাচ্ছে চারা বসানোর সময়।
বৃষ্টি নেই।
কিছু কিছু জীবনের মতো এবারের বৃষ্টি ধারা।
শৈশবেই থইথই করে উঠলো নদী।
চাষের সময় সেই বৃষ্টি নজরে আসছে না।
২.
এমন নয় যে উন্নত বীজ ছড়ালেই ভালো ফসল উঠবে।
ফসল বোনার জন্য মাটি দরকার।
উর্বর মাটি এবং কর্ষণের পর কর্ষণ এবং তারপরও ...
কর্ষণের পর
মাটি যেন মাখনের মতো হয়ে ওঠে।
তারপর ছড়াও
অংকুর আসবে। আসবে কচি কচি পাতা।
উড়তে উড়তে আকাশ ছুঁতে চাইবে ফুল।
ফল হাসবে।
অপ্রস্তুত মাটিতে যদি বীজ বুনে দাও
অংকুরে বিনষ্ট হবে সমূহ সম্ভাবনা।
উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
১. এসো বেঁধে বেঁধে রাখি
আমার সর্বস্ব মতিভ্রম
এসো বেঁধে বেঁধে রাখি আগুন
এমন ডাক নিরপেক্ষ করে
প্রসব প্রার্থনা
সনাতন সম্ভাবনা ছুঁয়ে
রূপহীন নিরাকার
এসো বেঁধে বেঁধে রাখি প্রেম
আর ভোরের আজান
বিষণ্ন সময়ে আগুন সম্বল
বিভ্রমে চাঁদ
কাছে এসো
অশ্রুত শব্দমালায়
এসো দুজনে বেঁধে বেঁধে রাখি যত
শরীরী প্রণয় আর অদ্বৈত শোক
২. ক্লান্ত শরীর
দেহ ভেঙে ভেঙে অকুলান ছাই
ছায়াতটে পড়ে তোমার কৃষিজ ফসল
মধ্যবর্তী হাওয়ার ছুঁচালো ঠোঁটে
তোমার ডাকনাম
আমার আমিকে ভেঙে
জঘণ্য রাস্তাটির বিস্তার
চোঁয়া জল
সুবর্ণ চিন্তারা যেন ডানপাশের আকুতি
বিচিত্র তবু শোকহীন
আমার স্বপ্নদোষ তুমি
ঈষদ নরম
সুডৌল বিচ্ছিন্নতা পেরিয়ে
একমুঠো শান্তির দূর্বা
ঋতুমতী মাঠের দুপাশে
কেবলই ধ্বংসতত্ত্ব জন্মবীজ
পড়ে পড়ে শুকানো সময়
এমন শুকনো অন্ধকার ভেঙে
যীশুর রক্ত
শুধু সুশোভন রঙে ভিজে গেছে
একান্ত আমার ক্লান্তির মেঠো শরীর
কল্পোত্তমের কবিতা
আমার মেয়ে
১.
বিন্দুর বিষ্ফোরণে সৃষ্টি হওয়া ব্রহ্মান্ড
কোনো এক দিন শেষে
কোনো এক গোপন সংকেতে
অবশ্যই লুপ্ত হবে বিন্দু মাঝে।
সেদিন আমি বিন্দু তুই বিন্দু
বাকিরাও বিন্দু অভিমুখী হয়ে
ঈশ্বরে বিলীন।
আমাদের অহংকার, আমাদের ভেদাভেদ
এক ছাতার তলায় এসে হারাবে
নিজ নিজ পরিচয়।
সেদিন কে রাখবে
কার বলিদানের কথা মনে?
কে দেখাবে পথ, কার মুক্তির?
ঈশ্বরে বিলীন হওয়াও
আরেক কারাবাস
মুক্তমনা মানুষের।
২.
বৃষ্টির ধারার মতো বয়ে যায় অনর্গল
অসংযত কথাদের ঝাঁক
কোনো এক খাতে।
তারই মাঝে একটা দু'টা কথা
আটকে পড়ে, খড়কুটোর মতো
রয়ে যায় কয়েক বছর,
চোখে পড়ে বারবার।
কাঁথাকে সেলাই করার আগে
বন্ধনে বাঁধতে হয় ছুঁচকে। তারপর সেই
এক একটা ছিন্ন কাপড়কে
বন্ধনে বেঁধে বেঁধে রূপ দেয় কাঁথার।
তুই আমার জীবনকে তেমনি করে
বেঁধে বেঁধে রাখ অফুরন্ত টানে,
নদীর স্রোতের মতো
টেনে টেনে নিয়ে চল অথই নীল
সমুদ্রের দিকে, আকাশের তারাগুলি
মাঝে মাঝে ডুবে যায় যে গভীরে।
গার্গী মুখার্জির কবিতা
১.শিউলিফুল
আমার একটা ছোটো ভাই ছিল..
এরকম শরতের শিশির ঝরানো ভোরে কানের কাছে মুখ এনে বলত..
চল দিদি, শিউলি কুড়োতে যাবি?
ছুটির দিনে দুপুরে ঘুমের ঘোরে শুনতাম তার ডাক..
মা দুর্গার গায়ে আজ রং পড়ছে..দেখতে যাবি না দিদি?
সেই ভাই আমার আজ অনেক বড়ো..চলে গেছে সমুদ্র পার হয়ে..অনেক কাজ তার..দিদি কে মনে পড়ে না আর..
কিন্তু শরতে তো এখনো বাতাসে শিউলির গন্ধ ভাসে..
চলতে গেলে পা ভিজে যায় শিশির ভেজা ঘাসে....
এখনো তো আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভাসে......
কাশের বন পেরিয়ে সবুজ ধানের খেতের ধারে অচেনা বাউল আগমনী গেয়ে যায়..
কিন্তু সেই একটি প্রিয় মুখ কখনো বলে না আমায় ..
চল দিদি শিউলি কুড়োতে যাবি?
২. স্বপ্ন
সবার আগে উত্তর দিত। সবার আগে দৌড়াত।
চার ভাই বোনের বড় দিদি।
কোনোদিন স্কুল থেকে বার হবার সময় দেখতাম
জল আনতে, সাথে ছোট ভাই।
কখনো সব্জীর ঝুড়ি মাথায় মায়ের পিছনে। শুধাতাম আজ স্কুল এলি না?
মৃদু হাসত সে, হাসিতে মিশে থাকত আসার অনেক ইচ্ছের কথা আর না আসার অক্ষমতা।
ক্লাসে একদিন কল্পনা চাওলার কথা বলেছিলাম।
বলেছিল দিদি আমিও তো পারি মহাকাশে উঠতে? বলেছিলাম হা কেন পারবি না?
উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল কিশোরী মুখ।
গ্রীষ্মের ছুটির পর না দেখতে পেয়ে একদিন দেখতে গেলাম।
সিঁথিতে সিঁদুর আলো নিভে যাওয়া চোখ।
আমাকে দেখে মুখ লুকায় লজ্জায়।
যেন অনেক দোষে দোষী
আকাশ থেকে চোখ নামিয়ে নিয়েছে বলে
মনে মনে বলি, তুই কেন লজ্জা পাবি মেয়ে।
লজ্জা পাবো আমি, শহর থেকে পড়াতে আসা
তোর ব্যর্থ দিদিমনি।
সুপ্রিয় দেওঘরিয়ার কবিতা
ছায়া
১.
অন্ধ ভিখারির খঞ্জনীর তালে
কবিতা লেখো -
সমস্ত আস্ফালনের শেষে
ভূমধ্যসাগর...
এখনো বসে আছে অন্ধ হোমার!
২.
বটের ঝারি স্পর্শ করছে মাটি
বুকে তার হলুদ বন্ধন-ডোর
শেকড়ের গায়ে দূর্বা
কোনো শবরীর কুটীরের পাশে
এই বটগাছটিকে রেখে দিও
করুণ বালকটি ঠিক আসবে
শবরী মা থাকবে তার পথ চেয়ে...
বিশ্বম্ভর নারায়ণ দেবের কবিতা
১. প্রণয় প্রবাহ
সাজিও না দেহতট চন্দনে কুসুমে
আরো কিছু কাল ভ্রমি তরলে গরলে
বিশ্বরূপের সারাৎসার এই-ই
প্রতিনিয়ত মরণের গিঁট খুলতে খুলতে
জীবনের দিকে যাওয়া
ধারাবাহিক মাটির মায়ায়
রক্ত ঘামে ভিজে রয়েছে পায়ের পাতা
আঙুল ছুঁয়ে থাকা আখরগুলি
আমাদেরই সমুহ উচ্ছ্বাস
গ্ৰন্থে স্বত্বে জাগরূক
আমাদেরই প্রণয় প্রবাহ, জেনো।
২. পরিক্রমা
নির্জনতা ঘন হয়ে আসে
ধারে কাছে কেউ নেই
অক্ষিতারারও অধিক প্রিয় যে নাম
যা অভ্যাসবসতঃ থেকে গেছে
তাকে মনন করি
ছন্দমিল চিত্রকল্প অনুপ্রাসে
কাঁচা বয়সের মায়ায়
বকুল-পথ পার হয়ে
সম্পাদিত অক্ষরগুলি
অনেক প্রহার সহ্য করেছে।
এতকাল অনাবৃত ছিল সেসব
তরঙ্গ বাহিত হয়ে আবার
তা ফিরে আসে আজ
এমনটা যে ঘটবে
তার কোনো পূর্বশর্ত ছিল না
কি অভিপ্রায় তার!
কেবল অতৃপ্ত কবিতার মতো
এই নাম সর্বনেশে সর্বনাম হয়ে
আমাকে ডোবায় ওঠায়।
এসবই নতুন একটা
কবিতা জন্মের আগে ঘটে চলেছে।
সম্পাদকঃ উত্তম মাহাত
আয়োজকঃ অনিকেতের বন্ধুরা
অসম্ভব ভালো সংখ্যা।শুভেচ্ছা রইল
উত্তরমুছুনশুভেচ্ছা আপনাকেও। ভালো ও সুস্থ থাকুন।
মুছুনঅনেকদিন পরে অরন্ধন পোর্টেলে পেয়ে পড়ে ফেললাম। ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনখুশি হলাম। ভালো থাকুন।
মুছুনভালো লাগলো।🙏
উত্তরমুছুনভালো থেকো।
মুছুনখুব ভালো হয়েছে।
উত্তরমুছুনশুনে ভালো লাগলো।
মুছুনভালবাসা দাদাভাই । সাথে শুভেচ্ছা অরন্ধন ও অনিকেতের বন্ধু'র পুরো টিমকে..
উত্তরমুছুনভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই আপনাকেও।
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনঘরে বসে এতগুলো সুন্দর কবিতা পড়তে পারলাম ! শুভেচ্ছা। দেবাশিস সাহা। কলকাতা।
উত্তরমুছুনভালো থাকুন দাদা। আপনাদের ভালোবাসা আর উৎসাহ আমাদের চলার পথকে সুগম করবে। আপনার ছবিও রাখতে চাই মাঝে মাঝে।
মুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
মুছুনখুব সুন্দর হয়েছে। কবিতার সংকলন গুলোও খুব ভালো।
উত্তরমুছুনভালো থেকো ভাই। তোমার কবিতাগুলো দিও
মুছুনভালো হয়েছে
উত্তরমুছুন