প্রথম বর্ষ ।। দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ২৮ ভাদ্র ১৪২৭
লকডাউনের জঞ্জাল থেকে ধীরে ধীরে আনলকের দিকে এগোচ্ছি আমরা। এগোচ্ছি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ঘেরাটোপের মুক্তির দিকে। এগোচ্ছি করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠে সাভাবিক জীবন যাপনের দিকে, একটা উৎসবের দিকে, জয়যাত্রার দিকে, মহানন্দের দিকে।
একটা অনুজীব, শুধুমাত্র দেশান্তর রেখা নয়, সমস্ত সীমারেখার গন্ডি পেরিয়ে সমস্ত দেশের মানুষকে শাসন করে চলে গেল। আর আমরা যে উন্নত প্রযুক্তি বিদ্যা নিয়ে দিন প্রতিদিন অহংকারে ডগমগ করি সেই প্রযুক্তি বিদ্যা কিছুই সুরক্ষা দিতে পারলো না আমাদের। প্রকৃতির হাতেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম সমস্ত ভার। প্রকৃতিই জিতিয়ে দিল আমাদের। অথচ প্রতি মুহূর্তে তাকে নিয়ে ছিনিমিনি করার অভ্যাস ছাড়তে পারিনি আজও। হে মানুষ! কোথায় তোমার মান, কোথায় তোমার হুঁশ ? উন্নত প্রযুক্তি ঘরের কোনায় বন্দি করছে তোমাদের।
উত্তম মাহাত
সম্পাদক
ডরোথী দাশ বিশ্বাসের কবিতা
১.
বিচিত্র ভুবন...
বিশ্বাস করা খুব কঠিন,
তবু বিশ্বাস করতে হয় বারে বারে,
কি বিচিত্র ভুবন !!!
যাকে আপন বলে আঁকড়ে ধরে থাকা,
যার সান্নিধ্য ছিলো পরম কাঙ্ক্ষিত,
যার অনুপস্থিতি অস্বস্তিদায়ক একদা,
যার উপস্থিতিতে প্রহরও হতো না শেষ,
তার হাতে উদ্যত চাবুক !!!
অবুঝ মনও বোঝে -
যে পিঠে চাবুক পড়ে,
সে পিঠে সোহাগের চাপড় আর মধুর লাগে না।
এখন বোধ ও বোধির কল্যাণে কিছুটা হলেও
মুক্তির আনন্দ মেলে ...।
২.
বিবর্তন... প্রকৃতির নিয়ম...
জানালা খুললেই অরণ্যের ঘ্রাণ;
ফুরফুরে রোদের চলকে ওঠা হাসি,
ডালে পাতায় বাতাসের ছন্দবদ্ধ দোল।
এখানেই বসে থাকি সারা দিনমান,
শুনি শুধু শিষ দেওয়া বাতাসের বাঁশি,
তবু আজ অকারণে ভিজে যায় চোখের কোল।
প্রসারিত পত্রফলকে শম্বুকগতির রূপোলি চলন ছাপ,
সবুজ পাতা ধীরে রঙ বদলে হয়ে যায়
কালচে লাল হৃদপিন্ড যেন,
অনাদরে
মাড়িয়ে চলে গেছে কোন এক কর্দমাক্ত চরণ ...
প্রশ্রয় পায় না আজ কোন দীর্ঘশ্বাস, কোন অভিশাপ ...
দুঃখবোধ নাড়া দেয় না আর, কেন ? কেন ?
একেই বুঝি বলে বিবর্তন ???
তোমার আমার গল্প বদলে যদি যায়, যাক্ না ...
পৃথিবীটা এমনই যদি থাকে তো থাক না ...
জয়শ্রী ঘোষের কবিতা
আঁধার
১.
আমার বাড়ির সামনে চৌমাথা
অন্ধকার হলেই চারটি রাস্তায় ভাঙনের শব্দ
যন্ত্রের, যন্ত্রণা আর জ্বালা
আমি কান পাতি
চোখে চোখে পাতলা হয় অন্ধকার
আমাদের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে
শঙ্খ ধ্বনি, সন্ধ্যা বাতি, ধুপের গন্ধ
স্তব্ধ চারিদিক
যত স্তব্ধ আঁধার, তত তীব্র আওয়াজ
২.
বাঁশিটি ফেলে যেও হে বালক
আমি ফুঁ দিই
আমার এক টুকরো বারান্দা
আমি ভেবে নিই
আলো হতে চায়
হলুদ বাতিটি জ্বালি
ভাবি, আলো
আর অন্ধকারের মধ্যে
যে স্পেসটা, কী তার রঙ?
সন্দীপ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
১.
কাক
কাকটি কা কা স্বরে
ডেকে চলেছে
বাড়ির ছাদে
রুটি টুকরো দেওয়ায়
খুশি কাকগুলো
দল বেঁধে এল খেতে।
বিষন্ন সময়!
বিষন্ন মন!
ভাবায়!
আমরা কি পেরেছি
কাকের কথা বুঝতে!
আমরা কি পারব
বিষন্ন সময় কাটিয়ে উঠতে!
২.
সৃজন
চারদিকে বিষবাষ্প
ছড়িয়ে পড়েছে,
চারদিকে হাহাকার!
এসো, এসো হে!
ভোলা মহেশ্বর
সমুদ্র মন্থন করে
নীলকন্ঠ হও!
সৃজন হোক
প্রাণ...মন... বেদনার!
মনোজ দের কবিতা
স্টিল ছবিতে যেটুকু
১.
যেন দুটি নৌকা উলটো করে রাখা
মাঝ বরাবর ডুবে যাচ্ছে চাঁদ
দেহ তো ভাসে না
খুঁজে পায় ঠোঁটের অতল
শ্বাসহীন স্বর্ণাভ গহ্বরে
রোজ রাতে ডুবুরি নামাই
২.
বালি নেই। চোখ স্থির
এমনই সমুদ্র এগিয়ে দিয়েছ
যে জাহাজ নিখোঁজ বহুকাল
শিল্প নিয়ে ভুলে থাকি
তোমার বসার ভঙ্গিমায় মনে পড়ে
আমিও তো কোনওদিন বন্দর ছিলাম
৩.
হাঁটুর ওপর ভাঁজ করে রাখা মুদ্রা
পাহাড়ি ভাষায় ঝরে পড়ছে অনর্গল
ওড়নার সম্ভ্রম মুগ্ধ করে
এত আলো, এত রং
এই লেখার উপর, দ্যাখো, ছড়িয়ে দিলাম
৪ .
বিদ্যুতশলাকা থেকে ছিটকে যাওয়া
যতিচিহ্ন
ব্যবহার জানা নেই
অরণ্যসম্ভার নিয়ে সকলেই কথা বলে
তবু বলি, সংখ্যালঘু পথ
শেষবার আমারই আঙুল
কানের ওপাশে রেখেছিল ঢেউ
শীর্ষার কবিতা
১.
ঋতু
ছোঁয়াচে উষ্ণতার কাছে নিভে যাচ্ছে মরা আলোর দুঃখ;
একটি বসন্তঋতু ঘুঘুর গলার কাছে
চিৎকার করে বেড়াচ্ছে,
তুমি আমার দৃষ্টিশক্তিকে ঝাপসা করে
দিয়েছ তোমার চুলের ছোবল দিয়ে –
অতএব একটি ঋতু ঢুকে পড়তে সফল হচ্ছে
আমার ভেতর। আর আমার সমস্ত চামড়া জুড়ে
ছোট ছোট ফুলের মতো ফুটে উঠছ তুমি। আমার
জ্বর আসছে খুব
২.
টিপ
মায়ের টিপের মতো সেঁটে থাকছে রাত
আমাদের জীবনের কপালে। যতই খুঁটে খুঁটে
তুলে ফেলার চেষ্টা করছি, ক্রমাগত,
মা হেসে উঠছে – হাসির মুক্তো মনে করিয়ে দিচ্ছে
অজস্র ঝিনুকের মৃত্যু কতটা নির্দ্বিধায়
একটি রমণীর শরীরে সেতার বাজাতে পারে
৩.
ছবি
একটি ট্রেনের হুইসল পেরিয়ে বহুদূর
চলে গ্যাছো তুমি। সামনে সর্ষেখেতের হলুদ,
তার মধ্যে মুখ ডুবিয়ে স্যাঙাত পাতাচ্ছে
ভ্রমরের স্বরযন্ত্র। আমার ক্যামেরা ততদূর
পৌঁছাতে পারছে না; তবুও আমি দেখতে পাচ্ছি
একটি ছবির মধ্যে কেমন সম্পর্কহীন দুটো মানুষ
হাসে, কথা বলে, চুমু খায় আর তারপর একদিন
ট্রেনের হুইসল হয়ে যায়
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
১.
শ্রোতা
গায়ে আগুনের রং থাকলেও
লাল পিঁপড়েদের গাত্রদাহ নেই,
দেহ মসিবর্ণ হলেও
কালো পিঁপড়েরা সরল ও নিষ্কলঙ্ক
শরশয্যার হাত দিয়ে দু-দিক থেকে
উঠে আসছে দুই পিপীলিকা
ধীরে ধীরে ঢুকেও যাবে কর্ণকুহরে
আর তিনি কোনো শৌর্যের
ত্রাণ গ্রহণ করবেন না,
যৎসামান্য করুণার পিপাসায় রুক্ষ ভূমি ফুঁড়ে
উঠে আসতেও বলবেন না অমূল্য ভৌম জলকে
পিতামহ এখন শুধুই কীটপতঙ্গের কথা শুনবেন
২.
অভিমন্যু
মাতৃত্বের কোনো মূল্যই কি নেই?
ভর দুপুরের প্রজাপতিরাও উড়ে উড়ে
হাওয়ায় এঁকে দিয়ে যায়
বিষণ্ণতার মুখ। তিনি কর্ণ। আমারই পিতা-সমান।
কানের পথে জন্ম হলেও
একাকী গর্ভগৃহে শিবলিঙ্গের কাছে
সৃষ্টি-রহস্যকে জানার কেন
থাকে না অধিকার তাঁর?
যুদ্ধে ও প্রেমে অনীতি নেই। জন্মে নেই অবৈধতা।
এক রমণীর পঞ্চ স্বামী, কে আমার প্রকৃত পিতা?
আকুলিবিকুলি মাতৃ সাধনায়
শিউরে ওঠে রামধনু -রং
সপ্ত রথী নয় একান্নবর্তী সাত বর্ণ
আমারই মায়ের অশনবসন, আমারও পরিজন
জননী-গর্ভে, জানি, কোনো চক্রব্যূহ নেই
আদরি
নির্মল হালদার
গাঁয়ের লোক স্কুল যেতে মানা করছে। তার দিদি জামাইদাও বললো, আদরি, ইস্কুল আর না যাস।
----ক্যানে ইস্কুল নাই যাব ক্যানে ? ই বছরেই ত হামার উচ্চমাধ্যমিক। আর মাত্র কটা মাস। দিদি, হামি নিস্তারিণী কলেজে ভর্তি হবোই।
----কলেজ কলেজ করিস না লো। আঘনেই তর বিহা।
আদরি এবার কাঁদবে না কাঁদতে কাঁদতে দিদি জামাইদাকে গাল দেবে ?
সে জানে তার গার্জেন বলতে, দিদি জামাইদা। তারা না থাকলে অকুলে পড়তো আদরি ও আদরির বোন মনিকা। মা মারা গেল আগেই। তিন দিনের জ্বরে। তার ছয় মাসের মধ্যেই বাপ মারা গেল।
একটা ভাই ছিল। জন্ম থেকেই কানে শুনতে পেতো না। তাদের গ্রামের কাছেই রেললাইন। লাইন পার হচ্ছিলো, মাল গাড়ির হর্নের আওয়াজ শুনতে পায়নি। কাটা পড়লো। আদরিদের তখন যা অবস্থা গাছের পাতাও কেঁদেছে। তবে দিদি জামাইদা ছিল বলে, দুটো বোন বেঁচে গেছে খুব। আদরির জামাইদা শুধু লেখাপড়া করতে বলেনি, টিউশন মাস্টার করে দিয়েছে দু বোনের জন্য। যেন পড়াশোনা করতে পারে ঠিকঠাক। সেই জামাইদা হঠাৎ কেন যে এত জলদি বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, আদরির মাথায় ঢুকছে না।
----কিরে আদরি তর বিয়ার খবর পেলম যে। তুঁই ত লুকায় বুলছিস। কাল বাঁধের ঘাটে দেখা হতেও বললি নাই। লে নাই যাব তর বিয়াতে।
----আগে হোক সভেই জানতে পারবি।
আদরি চলে যায় নুন --মসলার দোকান দিকে। দিদি বললো, লঙ্কা লিয়ে যাতে।
তার ঝাল লাগছে এখনই। বিয়াতে তার মন নাই। তাকে পাশের গ্রামের কলেজে পড়া প্রভাস প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। সে অগ্রাহ্য করেছে। কারণ, তার লেখাপড়া শেষ হয়নি। দিদি জামাইদাই বা কি বলবে। তাদেরও মান সম্মান আছে বৈকি। আদরি শুনেওছে ছেলেটা পড়াশোনা করেছে এইট অব্দি। বয়সটাও নাকি ৩০ এর মতো। যে বন্ধু তাকে শুনিয়ে গেল বিয়ের কথা,সেও কী জানে ছেলের বয়স ছেলের লেখাপড়া?
আদরি প্রায় মাথা নিচু করে অন্ধকারে হাঁটতে হাঁটতে ঘরের দিকে গেল। কিছু না খেয়েই শুয়ে পড়লো। তার দিদি তার বোন বারবার জানতে চাইছিল, আদরির কী শরীর খারাপ?
আদরি তাদের ইস্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে বড় আদরের । সেই প্রথম স্কুলের মেয়েদের বুঝিয়েছিল, মেয়েদের প্যাড পরা কেন দরকার।
গ্রামের মেয়েদের অশিক্ষার কথা আদরি জানে বলেই, জোর দিয়ে বলতে পেরেছিল। তার আগে তাকে শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়েছিল ইতিহাসের দিদিমণি ইভাদি।
ইভাদি আদরির বিয়ের কথা শুনলেই, রাগ করবেন নিশ্চয়ই। সে কিছুই বুঝে উঠতে পারে না সকালবেলায় সাইকেল নিয়ে আদরি চলে যায় ১০ কিলোমিটার দূরের শহরে। যেখানে ইভাদি থাকেন।
আদরির মা--বাবা নেই বলে সে কী দিদি জামাইদার কাছে গলার কাঁটা? বিয়ে দিলেই, সে উদ্ধার পাবে? বিয়ে হলেই কী মেয়েরা উদ্ধার পায়? এখনো সন্ধ্যের দিকে বাঁধ গেলে ছেলেদের কাছ থেকে কত রকমের ডাক এবং কুডাক। স্কুলের এক বন্ধুও বলেছিল, তাকে মোবাইলে দেখাবে নগ্ন ছবি।
আদরি সমস্তই উপেক্ষা করেছে। অগ্রাহ্য করেছে। শুধুমাত্র ইভাদির শিক্ষায়। পঠন-পাঠনে।
ইভাদি আদরির বিয়ের কথা শুনে প্রথমে হেসে নেন একচোট। তারপর তাকে চা মুড়ি খাইয়ে বলে, অস্থির হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মনের অশান্তি দূর করে দে-----পাকা কথা তো হয়ে গেছে।
দিদি জামাইদা কি বলবে তাকে? তার বুক দুরু দুরু। ইভাদি বুঝতে পেরে বলেন,তোকে কিছুই ভাবতে হবে না। তোর জন্যে আমি আমাদের বহরমপুরের কাছে এক ইস্কুলে চলে যাব। সঙ্গে নিয়ে যাব তোকে। আমার কাছ থেকেই তুই লেখাপড়া শিখবি। ঠিক আছে?
আদরির মন মানে না। দিদি জামাইদা কী তাকে ছাড়বে ? সেও কি গ্রামের মাটি ছেড়েছুড়ে যেতে পারবে অন্য কোথাও? মনের টানাপোড়েনে গাঁয়ের দিকে সাইকেলটাকেও টেনে নিয়ে যেতে পারছে না আদরি । দু চোখ ভিজে উঠছে তার।
ছবি : দীপাংশু মাহাত
রুমি চৌধুরীর কবিতা
১.
ঐশ্বর্যের গরল
যেখানে সমৃদ্ধি অপার
সেখানেই গ্লানির পাহাড়
উন্নত শির যেখানে, সেখানেই অবনত অগোচরে
এ কেমন প্রাপ্তি আমার!
প্রাপ্তিটুকু ছেঁকে নিতে গেলে
বঞ্চনাটুকুই ওঠে আসে বারংবার!
ঐশ্বর্যের অর্গল ভাঙতে গেলেই
বেরিয়ে আসে ভেতরের গরল।
তবে কি পূর্ণতার মাঝেই
বিরাজ করে অসীম শূন্যতা!
তবে কি শিকড়েই জমে আছে অন্তহীন, বিপুল ক্ষুধা!
২.
ইচ্ছের আঁকিবুঁকি
ইচ্ছেখাতায় আঁকিবুঁকি করে কেটে যায়
দিবসের আধেক প্রহর
সেই আঁকিবুঁকির কোন কোন রেখা কখনো
ছুঁয়ে যায় অপার দিগন্তসীমা
কোনটা ফানুসের গায়ে চড়ে নিমেষে উড়াল দেয়
শূন্যেরও অধিক ওপরে
পূজার প্রসাদ পেতে কোনটা বসে থাকে ঠায়
প্রতীমার টুকটুকে লাল পায়ের কাছে।
কোনটা মদির হয়ে উষ্ণ ওষ্ঠের ফাঁকে
লুটোপুটি খেলে পরম আকাঙ্ক্ষায়
আবার কোনটা...
উচ্ছিষ্টের মতো জমা হতে থাকে
জীবনের বাতিল চিলেকোঠায়।
আয়োজক : অনিকেতের বন্ধুরা
যোগাযোগ : হোয়াটসঅ্যাপ ৯৯৩২৫০৫৭৮০
ইমেইল : uttamklp@gmail.com
সব লেখাগুলিই ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনবিশেষত জয়শ্রী, মনোজ ও শীর্ষার লেখা।
অনেক ধন্যবাদ দাদা। ❤️❤️
মুছুনঅনিন্দ্য ♥️
মুছুনএকটি অনবদ্য ও অসাধারণ সৃষ্টি
উত্তরমুছুনআগের বারের থেকেও এবার ছবি সহযোগে আরও ভালো হয়েছে এই সংখ্যাটি উত্তমদা..
উত্তরমুছুনকবিতার মধ্যে আলাদা করে বলতেই হয় মনোজ দে আর বিশেষ করে শীর্ষার কবিতার কথা..
একটা লাইন এখনও অনুরণিত হচ্ছে..'চুমু খায় আর তারপর একদিন তারা ট্রেনের হুইসল হয়ে যায়'
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
মুছুনসকল বন্ধুদের অনেক অনেক ভালোবাসা ও অভিনন্দন জানাই। সকলেই ভালো থাকবে/থাকবেন এই আশা।
উত্তরমুছুন