অন্তরালের শিল্প ও শিল্পীমহল


অন্তরালের শিল্প ও শিল্পীমহল

কল্পোত্তম


পুরুলিয়ার তথা পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির ধারাকে বিশ্ব সংস্কৃতির অঙ্গনে তুলে নিয়ে আসার মূল যে নৃত্যকলা ছৌ-নাচ, সেই ছৌ-নৃত্যের আড়ালে আরও এক শিল্প এবং শিল্পীমহল অবস্থান করে আসছেন সমান্তরালভাবে । ছৌ-শিল্পের জন্মলগ্ন থেকে আমরা ছৌ-নৃত্যের ছন্দময় জাদুস্পর্শে মোহিত হলেও তার আড়ালে থাকা শিল্প এবং শিল্পীদের কথা, তাদের জীবনের হাসি-কান্না, দুঃখ-যন্ত্রণার ধারাবাহিকতাকে উপলব্ধি করার মতো উদারতা অর্জন করতে পারিনি। এক কথায়  আমাদের মনের মধ্যে যতখানি জায়গা পাওয়ার কথা ছিল তাঁদের ঠিক ততখানি জায়গা আমরা কখনই তাঁদেরকে দিতে পারিনি। যার ফলে তাঁদের সেই হাসি-কান্না, দুঃখ-যন্ত্রণা চিরকালীন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আমাদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারও এঁদের বিষয়ে উদাসীন থেকেছে শুরু থেকেই। যার ফলে এঁদের শিল্পকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়া হয়নি এবং এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদেরও শিল্পীর মর্যাদা দেয়নি তারা।
           যে শিল্পের কথা এখানে বলতে চাইছি, তা হলো ছৌ-নাচের মুখোশ নির্মাণ শিল্প। এবং যে শিল্পীমহলের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করছি তা হলো ছৌ-নাচের মুখোশ নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীমহল। বলাই বাহুল্য এই শিল্পের বয়সকাল ছৌ-নৃত্য শিল্পের সমসাময়িক। কেন না পুরুলিয়ার ছৌ-নৃত্যের শুরু থেকেই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে মুখোশের বিষয়টি।
             একেবারে গোড়ার দিকে মুখোশ নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে কোন্ কোন্ শিল্পী যুক্ত ছিলেন সে ইতিহাস খুঁজে বের করা বর্তমান সময়ে অনেকটাই কঠিন। তবে পরবর্তীকালে যেসব মুখোশ নির্মাণকারী শিল্পীরা এই শিল্পের ধারাবাহিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন তাঁদের  কয়েকজন হলেন শ্রীদাম দত্ত, দুর্গাচরণ দত্ত, রামচরণ দত্ত, নকুলচরণ দত্ত, অনিল সূত্রধর, হীরালাল সূত্রধর, নেপাল সূত্রধর, গোপাল সূত্রধর, সুচাঁদ সূত্রধর, মনবোধ সূত্রধর এবং আরও অনেকে। 
            স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের এইসব শিল্পীরা মুখোশ নির্মাণ শিল্পকে এক নতুন মাত্রা দান করেন। বলতে গেলে মুখোশ শিল্পকে নিপুণ থেকে নিপুণতর করে তোলার পিছনে এঁদের অবদান অনস্বীকার্য। গঠনের দিক থেকে, রং ব্যবহারের দিক থেকে এবং সাজসজ্জার দিক থেকে মুখোশ নির্মাণ শিল্পকে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে দেন যা চিরাচরিত প্রথায় চলে আসা মুখোশ নির্মাণ শিল্পকে সম্পূর্ণরূপে আধুনিক করে তুলতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এই সময় থেকেই বেশ কিছু ছৌ-নাচের দল চিরাচরিত পৌরাণিক পালা থেকে বেরিয়ে এসে সামাজিক এবং ঐতিহাসিক পালা প্রদর্শন শুরু করে। ফলে দেবদেবীর মুখোশ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মুখোশ নির্মাণের বরাত আসতে থাকে শিল্পীদের কাছে। সেইসব বরাত পূরণ করতে গিয়ে নতুন নতুন মুখোশ নির্মাণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যা শিল্পীদের দক্ষতাকে বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে দারুণভাবে সহায়ক হয়।
            নব্বইয়ের দশক এবং শূন্য দশকের যে সকল শিল্পীরা মুখোশ নির্মাণ শিল্পের ধারাকে সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তাঁরা হলেন ধরণীধর দত্ত, সনৎ দত্ত, সুকান্ত দত্ত, পরিমল দত্ত, মনোরঞ্জন সূত্রধর, জগদীশ সূত্রধর, তপন পাল প্রভৃতি। এইসব শিল্পীরা মুখোশ নির্মাণ শিল্পকে আরও একটা নতুন আঙ্গিক দেওয়ার প্রচেষ্টায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এঁদের প্রচেষ্টা ছৌ-নাচের মুখোশকে কী করে আরও হালকা করে তোলা যায়,  যাতে  ছৌ-শিল্পীরা অনায়াসে নাচতে পারেন এবং ইচ্ছানুযায়ী উলফা বা বাজি দিতে পারেন। কারণ বাজি দেওয়া ছৌ-নাচের একটা প্রধান অঙ্গ।
             ছৌ-এর মুখোশ বানানোর পদ্ধতিটা অনেকটাই দীর্ঘ এবং জটিল একটা পদ্ধতি। তবে শিল্পীদের সযত্ন প্রয়াসে এবং দীর্ঘ অভ্যাসের গুণে সেই জটিলতা অনেকটাই সহজ হয়ে আসে।
              প্রথমে দোআঁশ মাটি বা চিটা মাটি এনে সেটাকে সুন্দরভাবে মেখে নিতে হয়। তারপর সেই মাটি দিয়ে মুখোশের আদলে একটা নিখুঁত মূর্তি তৈরি করে নিতে হয়। পরে একটা পাত্রে খানিকটা মাটি জল দিয়ে গুলে তাতে কাগজ ভিজিয়ে প্রথমে তৈরি করা মূর্তির উপর সুন্দরভাবে সাটতে হয়। এইভাবে আস্তরের পর আস্তর সাটতে সাটতে যখন অনেকটা পুরু হয়ে আসে তখন অন্য একটা পাত্রে এঁটেল মাটি জল দিয়ে গুলে তাতে সুতির কাপড় ভিজিয়ে কাগজের আস্তরের উপর সুন্দরভাবে সাটতে হয় এবং বিভিন্ন রকম উপকরণ দিয়ে পালিশ করে মূর্তিটাকে নিখুঁত করে তোলা হয়। এরপর খানিকটা শুকোতে দিয়ে পিছনের মাটি অর্থাৎ পূর্বে তৈরি করা মূর্তির মাটি সযত্নে খুঁড়ে সরিয়ে নেওয়া হলে তা মুখোশে রূপান্তরিত হয়।
             মুখোশটা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর প্রথমে খড়িমাটি দিয়ে সাদা রং করেন শিল্পীরা। তারপর অন্যান্য রং দিয়ে মুখোশকে জীবন্ত করে তোলার কাজে এগিয়ে যান। অর্থাৎ যেখানে যা রং দেওয়ার প্রয়োজন ঠিক সেই রং দিয়ে সুন্দর একটা মুখোশ তৈরি করে ফেলেন। বরাবাজার থেকে নিয়ে আসা সমস্ত গুঁড়ো রঙের সঙ্গে সাদা খড়ি মাটি মিশিয়ে ব্যবহার করা হয় মুখোশ নির্মাণের কাজে। সর্বশেষে বার্নিশ করা হয়। যাতে করে মুখোশটা চকচক করে।
             বার্নিশ করার কাজে পূর্বে সাবু ব্যবহার করা হতো। বর্ধমানে সাবুর ব্যবহার ছেড়ে কেমিক্যালের দিকে ঝুঁকেছেন শিল্পীরা। কারণ কেমিক্যালের বার্নিশ তুলনামূলকভাবে অনেক দীর্ঘস্থায়ী।
             রং দেওয়া এবং বার্নিশ করার কাজ পুরোপুরি হয়ে গেলে লোহার শিক গরম করে মুখোশের চোখের তারাতে সযত্নে ছিদ্র করা হয় এবং প্রয়োজন মতো বিভিন্ন রং দেওয়া পাট সুন্দরভাবে আঠা দিয়ে আটকে চুল, দাড়ি, গোঁফ, চোখের ভ্রু প্রভৃতি তৈরি করা হয়। এসব কাজ হয়ে গেলে বাঁশের কঞ্চি তার দিয়ে বেঁধে তার উপর বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের তৈরি রঙিন পুঁতি, টিকলি, রং দেওয়া পাখির পালক, ময়ূরের পালক ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয় এবং মাথার সঙ্গে বাঁধার জন্য পিছনের দিকে উপরে এবং দু'পাশে ডোর বেঁধে দেওয়া হয়।
             বর্তমানে চুল, চোখের ভ্রু, দাড়ি, গোঁফ প্রভৃতি বিভিন্ন রং মাখানো পাট দিয়ে বানানো হলেও পূর্বে এগুলো রং দিয়েই এঁকে দেওয়া হতো। তখন চূড়ার ব্যবহারও ছিল না। চূড়াবিহীন মুখোশ দিয়েই করা হতো ছৌ-নাচ।
            ১৯৭০-৭৫ সাল নাগাদ ছৌ-নাচের যে মুখোশ তৈরি করা হতো সেই মুখোশ তৈরি করার উপকরণের দাম ছিল অনেক সস্তা। তাছাড়া চূড়া না থাকাতে চূড়া তৈরির খরচও ছিল না। ফলে ১০০-২৫০ টাকাতেই ভালো মুখোশ বা মহড়া কিনতে পাওয়া যেত।
বর্তমানে সেই ধরনের মহড়া (চূড়াযুক্ত) কিনতে গেলে ২০০০-২৫০০ টাকা খরচ পড়ে। তবে কিরাত কিরাতিনের মহড়া কিনতে গেলে ৪৫০০-৫০০০ টাকার কমে হয় না।
            ছৌ-দলের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় মহড়ার চাহিদাও আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। তবে ছৌ-নাচের সরঞ্জামের দাম অত্যধিক বেশি হওয়ার জন্য অনেক ছৌ-দল আবার বসেও যাচ্ছে। এছাড়া লকডাউনের কারণে জন-জমায়েত বন্ধ থাকায় ছৌ-নাচ মঞ্চস্থ হওয়াও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে বছর দুই । ফলে সাময়িকভাবে সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে মুখোশ নির্মাণ শিল্প। 
           ছৌ-এর মুখোশের আদলের সেরকম কিছু পরিবর্তন ঘটেনি। আগে মুকুটহীন মুখোশ তৈরি করা হতো। বর্তমানে মুকুটযুক্ত মুখোশ তৈরি করা হয়। মহড়ার সাজ বেড়েছে অনেক গুণ। আগে রং দিয়ে গোঁফ-দাড়ি বানানো হতো। বর্তমানে পচানো পাট দিয়ে তৈরি করা হয়। এবং মুখোশের সঙ্গে চূড়া যুক্ত করা হয়। পরিবর্তন বা বিবর্তন বলতে গেলে এই এতটুকুই।
             সাধারণত দেব-দেবী এবং অসুর বা দৈত্যদের মহড়াই নির্মাণ করা হয়ে থাকে। গণেশ, কার্তিক, শিব, দুর্গা, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, বিভিন্ন অসুর, কিরাত কিরাতিন ইত্যাদি। এগুলো পৌরাণিক পালাগুলো প্রদর্শন করার জন্য প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া সামাজিক ও ঐতিহাসিক পালাগুলো ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রয়োজন মতো সাঁওতাল ইংরেজ ভুত-প্রেত পশুপাখির মূর্তি প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়।
             ছৌ-নাচের মুখোশ বা মহড়ার প্রধান খরিদ্দার ছৌ-দলের মালিকেরাই। তবে সৌখিন লোকেরাও নিজের বাড়ি সাজানোর জন্য কিছু কিছু মুখোশ কিনে থাকেন। বর্তমান সময়ে উপহার দেওয়ার উপযুক্ত, ছোটো আকারে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের মুখোশের চাহিদা তুঙ্গে। বিশেষ করে অযোধ্যা বেড়াতে আসা ভ্রমণার্থীরা এই সব মুখোশ কিনে থাকেন। তবে স্থানীয় মানুষজনও উপহার দেওয়ার উপযুক্ত এইসব মুখোশ কেনাকাটা করছেন বর্তমানে।
             বিদেশেও মহড়া বা মুখোশের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। কিন্তু সেইসব খরিদ্দারও একটা নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যায়। অর্থাৎ ভ্রমণার্থীরা অযোধ্যা বেড়াতে আসার সময়। বিশেষ করে শীতকালে। কিন্তু তাঁদের ওখানে মহড়া নিয়ে যাওয়া অসুবিধাজনক বলে ইচ্ছা থাকলেও বেশি নিতে পারেন না তাঁরা।
            ইদানিং বাইরে থেকে এসে ডোকরা এবং গালা শিল্পের দোকান খুলেছে চড়িদাতে। যারা খানিকটা ভাগ বসিয়েছে মুখোশের বিক্রি-বাটাতে। মুখোশ কেনার জন্য পরিকল্পিতভাবে যে টাকা নিয়ে আসছেন ভ্রমণার্থীরা, এসে পৌঁছানোর পর হাতের নাগালে ডোকরা এবং গালা শিল্পের জিনিসপত্র পেয়ে সেই টাকা ভাগাভাগি করেই কিনে ফেলছেন সেইসব শিল্পকর্মও। ফলে যে পরিমাণ মুখোশ বিক্রির কথা, বিক্রি হচ্ছে তার থেকে কম। 
             অবশ্য দীর্ঘদিন এই সমস্যা থাকার কথা নয়। ডোকরা এবং গালা শিল্পের জিনিসপত্র চড়িদাতে পাওয়া যায়, এই কথা সম্পূর্ণরূপে জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর অচিরেই তা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
              মুখোশ নির্মাণ শিল্পীদের একটা আক্ষেপের বিষয় হলো, রাজ্য সরকার ছৌ শিল্পীদের ভাতা দেওয়া এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করলেও ছৌ-এর মুখোশ নির্মাণ শিল্পীদের কোন ভাতা বা সরকারি সুযোগ দেওয়া দেয়নি। এক কথায় বলতে গেলে রাজ্য সরকার তাঁদের শিল্পকে শিল্পের মর্যাদা এবং তাঁদেরকে শিল্পীর মর্যাদা দেয়নি।
            ছৌ-এর মুখোশ নির্মাণ করে খুব বেশি যে অর্থ রোজগার করতে পারেন, প্রতিপত্তি অর্জন করতে পারেন বা সম্মান অর্জন করতে পারেন তাও না। কোনরকম দিন চলে যায়। কিন্তু বংশপরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন তাঁরা এবং এই কাজ করার জন্য কারোর উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয় না। সে কারণেই বরাবর এই কাজ করে চলেছেন ছৌ-মুখোশ নির্মাণকারী শিল্পীরা।
             বর্তমান প্রজন্মের ছেলেরাও তাদের পিতা, পিতামহ বা প্রপিতামহের কাজ নিয়েই জীবন কাটাতে চান। ফলে অন্যান্য জনজাতির ছেলেপুলেদের মতো চেন্নাই, মুম্বাই, রাজস্থান বা হায়দ্রাবাদে নির্মাণ কাজের শ্রমিক হিসেবে বা অন্যান্য কাজে যান না। নিজের জেলা বা রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্যে কাজ করতে গেলেও নিজেদের মূর্তি গড়ার কাজকর্ম নিয়েই গিয়ে থাকেন। 
             ছৌ-মুখোশ শিল্পের ভবিষ্যৎ কি বা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে একথা ঠিক যে, ছৌ-শিল্পের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত থাকার কারণে ছৌ-নাচের ভবিষ্যতের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে ছৌ-নাচের সঙ্গে সমান্তরালভাবে অন্তরালে চলা এই শিল্প এবং শিল্পীমহলের ভবিষ্যৎ।

(কৃতজ্ঞতা স্বীকার - মুখোশ নির্মাণ শিল্পী নকুল চরণ দত্ত)













লেখক পরিচিতি



উত্তম মাহাত, জন্ম ১৯৮৩ সালের ২ জানুয়ারী পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর থানার অন্তর্গত বেড়াদা গ্ৰামে। ২০০৩ সাল থেকে উত্তম মাহাত নামে লেখালেখি করলেও ২০০৬ সালের পর থেকে  কল্পোত্তম নামেই লেখালেখি বা আঁকাআঁকি করে থাকেন । পেশায় রাজমিস্ত্রি উত্তম মাহাত ইতিমধ্যেই "সাতরঙা পাড়" নামে একটি কাব্যগ্রন্থ, "রিঝে রঙে"; নামে একটি ঝুমুর সঙ্গীতের বই, "পেইন্টেড ট্রেন" নামে একটি উপন্যাস ও "স্বপ্নসিঁড়ি" নামে একটি গল্পগ্ৰন্থ প্রকাশ করেছেন এবং খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ "বত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক"।
           লেখালেখির সাথে সাথে ছবি আঁকা ও সিমেন্টের আর্ট ওয়ার্ক করতেও ভালো বাসেন তিনি।




মন্তব্যসমূহ

  1. খুব ভালো হয়েছে লেখাটা..বর্তমান সময়ের এই শিল্পীদের জীবনের জীবন্ত দলিল...

    উত্তরমুছুন
  2. ভালো। আশা করি শিল্পের উন্নতি ঘটবে।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। সন্তোষ রাজগড়িয়া

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র শিল্প ।। মুকেশ কুমার মাহাত

পঞ্চম বর্ষ ।। তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ০২ অক্টোবর ২০২৪