কবিতা, গৌতম কুমার গুপ্ত




গৌতম কুমার গুপ্তের কবিতা


১.

নষ্ট হতে হতে


নষ্ট হতে হতে

যদি একবার ঘুরে দাঁড়াতে পারি

শিকারী পাঞ্জার নখরেও

উষ্ণ চাঁদের জ্যোৎস্না বিগলিত নৈবেদ্য ছড়াবো


শেকলে বাঁধা ঐসব প্রাচীন গলগ্রহ

বস্তাবন্দী সাধুবাদের কবচ কুন্ডলী

ছিঁড়েখুঁড়ে ছুঁড়ে দেবো দূরত্বের বেনাগালে


প্রশংসার্হ যা নর নামের উপাখ্যান এই গ্রহে

একদা যা কুশল কারিগরী জীবিত চিহ্নিত

তোষামদের গালিচা পেতে রাখা ছিল

ধূলোময় অহংকারী পালিশে

হারামী খিস্তির উপযুক্ত বলে আজ নিন্দার্হ হবে


ইতোমধ্যে ভেঙে গিয়েছে নদীর পাড়

সমুদ্রের সুবিশাল নষ্ট হয়েছে সরব

দূরত্বের তফাতে ভিন্ন গড়েছে সামাজিক গাছ

সবুজের শেষ হবে বলে প্যাপিরাসে লিখিত হচ্ছে


এ তো বিনষ্টের উপক্রম তবু প্রার্থনা

প্রভু যেন নষ্ট হতে হতে

ঘুরে দাঁড়াতে পারি একবার


শেষবারের মতো





২.

ডাক


না ডাকার মানে কেউ তো ডাকছে

ডাকছে তো!


শরীরে তার অলৌকিক বিনুনী

অলকে ঘন নিশি অমানিশা


না ভালবাসার মানে কেউ তো বাসছে

বাসছে তো!


হাতে তার হলুদ খচিত গোলাপ


বুকের মধ্যে টের পাই

আগামী জলবায়ু

সে আমার নির্ণীত থৈ থৈ

সে আমারই অনাহূত একান্ত রোদ্দুর





৩.

উত্তরাধিকার


ছিল না কোন জ্ঞাপন

প্রতিশ্রুতিও নেই

চাঁদের অভ্যাস চিরকালীন

গান ভেঙে স্বর কন্ঠে আসীন


নদী ও সভ্যতা বোঝে এমন কি পতঙ্গও

দূরে অথবা কাছে বিবর্ণ অন্ধকার

মিছিলের শব্দে অটল প্রাচীর

তবু চৌচির ইতিহাস শতাব্দীর


অতীতের নোংরা পৃষ্ঠায়

নবজাতকের হাতে ধূসর বর্ণমালা

এক এক করে খসে পড়ছে

ধারাপাতের ভাঙা সংখ্যার গরমিল


পাপোষের ফেলে আসা পায়ে

নিম্নবর্ণের ধূলো জমছে নীচে

তবু উত্তরাধিকার হাতে নিচ্ছে

নষ্ট পতাকার আগামী ছাড়পত্র





মূল পাতায় যান

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। সন্তোষ রাজগড়িয়া

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র শিল্প ।। মুকেশ কুমার মাহাত

পঞ্চম বর্ষ ।। তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ০২ অক্টোবর ২০২৪