তৃতীয় বর্ষ ।। তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ৮ জৈষ্ঠ্য ১৪২৯ ।। ২৩ মে ২০২২
ইন্টারনেট আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই আমরা প্রতিদিন নানাবিধ ক্রিয়াকর্ম করে থাকি। ইন্টারনেট ব্যতীত এক মুহূর্তও চলার কথা ভাবতে পারি না বর্তমান সময়ে। কি শহরাঞ্চল কি গ্রামাঞ্চল, ইন্টারনেট আমাদের জীবনের এক অতি আবশ্যক বিষয়। তাই সুষ্ঠু ইন্টারনেট পরিষেবা সকলেরই কাম্য। কিন্তু দিনের পর দিন ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলেও পরিষেবার মান বৃদ্ধি করছে না সেলুলার কোম্পানিগুলো। কি এয়ারটেল কি জিও কি অন্যান্য কোম্পানি, সকলেরই দশা প্রায় একই। অ্যাডভার্টাইজমেন্টের সময় বড় বড় কথা বললেও বাস্তবে দেখা যায় একটু প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলেই ইউটিউব, ব্লগ প্রভৃতি কোনো কিছুই কাজ করে না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। কোনো সাইটে ঢুকে কাজ করা যায় না ঠিকঠাক। কোনো কোনো সাইটের আবার লিঙ্ক পাওয়া যায় না। কিন্তু সেইসব খামতি দূর করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে না কোম্পানিগুলো। গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সম গুণমানের পরিষেবা বজায় রাখার জন্য যে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা দরকার সেই উদ্যোগ নেয় না তারা। এমনকি এই পরিষেবা যাতে সুষ্ঠুভাবে পেতে পারেন সাধারণ মানুষ, সরকারও সে বিষয়ে যত্নশীল নয়। এই সামান্য পরিষেবাটুকু নিশ্চিত করতে ব্যর্থ সরকার হাইটেক হাইটেক করে চিৎকার করে কেন এবং অনলাইনে পড়ানোর কথা ভাবে কেন বুঝে পাই না।
সম্পাদক, উত্তম মাহাত
______________________________________________
যাঁদের লেখায় সমৃদ্ধ হলো এই সংস্করণ
______________________________________________
দুর্গা দত্ত / বিপুল চক্রবর্তী / উৎপল চট্টোপাধ্যায় / ডরোথী দাশ বিশ্বাস / সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় / অমিত মণ্ডল / পল্লব গোস্বামী / শ্রীদাম কুমার / তপন পাত্র
______________________________________________
দুর্গা দত্তের কবিতা
১.
খোলামকুচি : দুই
যায় ভেসে যায় সব খড়কুটো পুঁইমাচা
টিয়াটির দাঁড়
সংসারের খুঁটিনাটি হাড়িকুড়ি কাঠের বারকোশ
রান্নাঘরের চালা ঢেঁকিশাল খড়ের পালুই
তালপাতাটির ঘঙ্ ভেসে যায় পথে ও বিপথে
আকাশপ্রদীপ হয়ে ভিটেমাটি জুড়ে
জেগে আছে অনড় অব্যয়
তুলসী মঞ্চটি--
কোটরে আঁকড়ে আছে মাটির প্রদীপ, যেন
শিরা-ওঠা থুথ্থুরে হাত ঠাকুমার
ঘূর্ণিস্রোতে শাঁখ বেজে ওঠে
২.
খোলামকুচি : ছয়
গলায় তুলসীর মালা , ভেতরে গুনগুন।
ঘুরঘুর করতে করতে
থিতু হয় গুনগুন থেকে।
যেন ভ্রমর এসে চৌকাঠে দাঁড়ায় --
চিড়ে মুড়ি খৈ ছাতু বিক্রি করতে এসেছে
আমার মুড়িওয়ালা ।
দখিনা বাতাস মেখে গোচারণ থেকে
ট্রেনে করে আসে প্রতিদিন
বৃন্দাবনপুর ওর গ্রাম।
মুখে তার আহ্নিকের আলো ...
আমার দুয়ারে নীল যমুনার ঢেউ উঠে আসে।
আড়বাঁশির সুর
উথলে উঠে ঢুকে যায় ঘরের ভেতরে --
উতল হাওয়ার দাপ দরজায় জানলায়
সাতসকালেই
জোড়ন সেরেই
আমার দরজা থেকে
কীর্তনের সুর যেন
ধীর পায়ে নেমে যায় সিঁড়ি বেয়ে
দোহারের মতো
বাংলা লোকগান
বিপুল চক্রবর্তী
১.
কবে থেকে কথা-সুরে বিষয়-আশয়
আশ্রয়হীনের কাছে তা-ই যে আশ্রয়
মাঠে মাঠে ফলে তার খাদ্যশস্য ধান
কজ্জল আকাশ চায় তাই তার গান
তার গান বাজে দূর ভিন্ন আকাশেও
শরতের শুভ্র মেঘে – ধবল কাশেও
ইচ্ছে হ'লে, আরও বহু দূর ধ'রে আনা
বাঁশ থেকে বাঁশি হয়, সকলেরই জানা
বাঁশির আহ্বানে নামে নীল আশমান
ধান-বোনা গান-বোনা ধান আর গান
২.
কত নামে কতবার ধেয়ে আসে ঝড়
চালাঘর ভাঙে, তবু থাকে আলাঘর
আলাঘরও ভাসিয়েছে নির্দয় প্লাবন
তবু তার চোখ জুড়ে আষাঢ়, শ্রাবণ
বরষার ধারা-পাতে শস্য করে স্নান
শাঁখ বাজে ঘরে ঘরে, সেজেছে উঠান
সেই ধানও লুট করে দেশের রাজন
জমিদার নেই, আছে নানা মহাজন
সেই কষ্ট বেদনার মুশকিল আসান
ঈশ্বর সমান তার ধুলো মাখা গান
উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
১.
যেখানে শুয়ে আছি
এখন দহন বেলা
যেখানে শুয়ে আছি তার ঠিক উপরে
আমার ভগবানের বাসা
আমি চিৎ শুই পাস ফিরি
ভগবানের দিকে পা করে
আমার উত্তরে মাথা
যেখানে শুয়ে আছি সেখানে এখন
সূর্যহীন জ্বলন্ত নিস্তব্ধতা
এবার আবাসন ছেড়ে মেঠো কাক
সঙ্গত দিতে রাস্তার ভিখিরি
এবার যুবকের ঠোঁটে সিগারেট ছাই
নিভন্ত আগুন
আনমনা অকুলান সময় পেরিয়ে
আমর স্বপ্ন....
তবু যেখানে শুয়ে আছি তার ঠিক নীচে
নোনা মাটির সোঁদা আঁচল পাতা
২.
তোমার নিকটবর্তী হাওয়ারা
তোমার নিকটবর্তী হাওয়ারা
অস্তাচলের সূর্যতেজে রঙিন
বহুদিন শুনি না রাগে তোমার
অরণ্য চিৎকার
তোমার নিকটবর্তী হাওয়ারা
দূরগামী বয়ে আনে
সঙ্গমের অকৃপণ পালক গন্ধ
বয়ে আনে ঋতু রেওয়াজ
আর পরাগের অতি ক্ষুদ্র
পুরাতন মিলন চিহ্ন
আমি নিরুত্তরে অপলক
ক্ষুধার্ত লোভী কাকেদের
বিস্বাদ ভাত মুখে তুলে
তোমাতে বিভোর যাই
বাস্তবের যত দর কষাকষি ছেড়ে
এবার আমারও সমুখ গতি
তোমার নিকটবর্তী হাওয়ারা
আজও কেমন সূর্যাস্তের অপেক্ষায়...
চলে যাওয়াটাও বুঝি যুদ্ধকালীন তৎপরতা...
ডরোথী দাশ বিশ্বাস
যাত্রাপথে বুঝি যানজট ছিলো না।
নইলে এক দেড় ঘন্টার নোটিশে অমন চলে যাওয়া যায় ?
ট্রাম-বাস-ট্রেণ-বিমানে নয়
কল্পনা ছিলো তোমার মনজুড়ে,
হয়তো পুষ্পক রথে চেপেই পাড়ি দিলে।
পড়ে রইলো আলমারী ভরা তোমার শখের শাড়ি,পশমিনা
চশমা,গন্ধতেল,বোরোলীন,চায়ের কাপ,কিছু পুরোনো পারিবারিক ফটো অ্যালবাম, ডায়েরী-কলম,বই,পেপারকাটিং।
ভারি আশ্চর্য হতাম তোমার স্মৃতিচারণা শুনে,
সেই ঊনিশশো চুয়ান্ন সালে বিয়ে,
ছাপ্পান্ন সালে বাচ্চুর জন্ম ....
এরপর সাহেব সম্পা পম্পাতে গিয়ে একটা ধাপ,
একটু বিরতি নিয়ে রানীচেরা বাগানের যাপিতজীবনের গল্প,
সেখান থেকে জুরন্তী হয়ে কৈলাসপুরে এসে খানিক দম নিতে।
বেহালায় বেড়ে ওঠা তুমি সেই রাজকন্যে,
যাঁর রাজকুমার ভাইএরা ইস্পাতনগরীতে আলো জ্বেলেছেন।
সেই তুমি চিতাবাঘের ডেরা চা বাগানের কোয়ার্টার্সে সংসারের মঙ্গলকামনায় তুলসীমঞ্চে প্রদীপ জ্বেলেছো নিজ হাতে।
অবসরে উলের কাঁটা,কুরুসের কাজে নিবদ্ধ ছিলো দুই হাত।
অনর্গল গল্প ছিলো সইদিদিদের সাথে।
সন্ধ্যায় এতো বড় আকাশটার গায়ে যতক্ষণ না ফুটে উঠতো সব তারা,
যখন চা ফ্যাক্টরীর কাজ শেষে শেষ সাইরেন বেজে উঠতো,
চা ফুলের গন্ধ পড়ত ছড়িয়ে,
ততক্ষণ চলতো সে সব শিল্পকর্ম।
সমাজ সংসার নিয়ে চলাই ছিলো জীবন।
নিঃসঙ্গতা পরিহার করতে সযত্নে।
আর ছিলো একটা কল্পনাবিলাসী মন।
ক্ল্যাসিকাল নৃত্য শেখা ছিলো তোমার।
ছিয়াত্তরটি বসন্ত পার করেও এতটুকু ম্লান হয়নি সে বোল।
"প্রেমের সমাধি তীরে নেমে এলো শুভ্র মেঘের রথ ..."
তোমার গলায়,তোমার ভঙ্গীমায় শুনে
চোখে জল এসে গিয়েছিলো আমার।
আজও মনে পড়ে,
যতদিন বেঁচে থাকবো,মনে পড়বে আমার।
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
১.
শেষ
মেয়েটি বললো, থাক...
এইখানে থেমে যাক।
ছেলেটি বললো, যাক...
এইখানে থেমে থাক।
মেয়েটি বললো, রাখো...
এইখানে থেমে থাকো।
ছেলেটি বললো, থাকো...
এইখানে থেমে রাখো।
মেয়েটি বললো, বেশ...
এখানেই হোক শেষ।
ছেলেটি বললো, শেষ...
এখানেই হোক বেশ।
মেয়েটি বললো, তাই তো...
আর কিছু নাই চাই তো।
ছেলেটি বললো, চাই তো...
আর কিছু নাই, তাই তো।
২.
কথক
কতটা বইতে পারো
এই নীরবতা?
কতটা সইতে পারে
স্বর মুখরতা?
শব্দের মৌন মুখে
মূক কথকতা?
কথার ওপারে যদি
শ্রুতি-বধিরতা...?
৩.
প্রসব
এভাবেই বয়ে যায় নদী।
খড়কুটো ছবিসুখ স্মৃতি
বিস্মৃতি হতে চায়। যতি
তথাপি প্রশ্ন তোলে, “যদি...”
আমাকে বলেছ কেন ওসব?
শব্দ যারা ব্রাত্য অভিধানে,
শব্দ যার দ্বর্থকতার মানে
করতে পারোনি তুমি প্রসব?
তত্ত্ব তালাশ করে প্রত্ন।
আদিমত্ত ঝড় ওঠে, বুকে
কড়া নাড়ে অধোগাম শামুকে।
জবাবের কথাশেষে প্রশ্ন।
চাঁদের এপিঠে
উৎসর্গ : মণীন্দ্র গুপ্ত
অমিত মণ্ডল
১.
ঘুঙুরগুলি বাজে, বেজে যায় –
নিঝুম রাত্রি। খোলা গীতবিতান।
ভোর হয়।
২.
ঘন দুপুরের নির্জনতা । মলিন শৈশব।
নিমফলের গন্ধ। খোলা হাওয়া।
তোমাকে মনে পড়ে।
৩.
বৃষ্টিতে ভেসে গেছে মাটির উনুন। শূন্য দৃষ্টি। অনন্তে মিশে যায় লাল ডুরে শাড়ি।
সর্বজয়ার সিঁথি। ধবল শুদ্ধরাগ।
৪.
বারান্দায় চাঁদ আসে। চুপটি করে বসে থাকে।
ওই চাঁদ শুশ্রুষার।
জেগে ওঠেন শরৎকাল ও কাশফুলের বন্ধু।
৫.
সূর্যমুখীর ঢেউ। অতলান্ত।
হলুদ ক্যানভাস। স্তব্ধ চরাচর।
অদূরে ভ্যান গখ।
কাবিদির কাছে
পল্লব গোস্বামী
আজ আবার আমাকে কাবিদির কাছে যেতে হবে...
অথচ, পথ নিঃঝুম।
সকাল বেলায়, এক শামুককুড়ুনি এসে বলে গেছে,
কুসুমপুর পেরিয়ে কাবিদিদের গ্রাম।
সারি সারি তালগাছ
কাঁসাইয়ের বাঁক
সবুজ সমুদ্রের মতো ধানক্ষেত,
- পথের নিশান।
সেই থেকে আমি কাদামাটির পথে পথে
জুরগুন্ডার কাঁটা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
মনে পড়ছে, কাবিদির কথা
মনে পড়ছে, পাড়ার ছেলেরা কীভাবে খেপিয়ে খেপিয়ে বদলে দিল একটা প্রতিবন্ধী মেয়ের নাম।
প্রতিবন্ধী আমিও, পা ধরে ক্ষমা চেয়ে নেবো ঠিক।
যদি একবার দেখা পাই,
যদি একবার খুঁজে পাই,
অনেক অনেক মহুল মাঠের ভিতর দিয়ে
প্রিয় কাবিদির গ্রাম।
গ্ৰন্থালোচনা : হাজারীবাগের কবিতাগুচ্ছ
আলোচক : শ্রীদাম কুমার
দক্ষিণের বারান্দা' প্রকাশিত ফর্মা- সিরিজের কবিতা -বইয়ের সম্ভারে এক ধ্রুপদী
মানের বই - 'হাজারীবাগের কবিতাগুচ্ছ'।
কবি সুপ্রিয় দেওঘরিয়া।
প্রচ্ছদ- দিনকর কৌশিক।
মুদ্রণ বিন্যাস সম্পাদনা গর্ব করার মতো।
১৬টি নিটোল কবিতা মলাটবদ্ধ । নিঃসন্দেহে কবিতা-প্রিয় পাঠকের অবশ্য সংগ্রহযোগ্য।
নজরকাড়া সবুজের গতিময় প্রচ্ছদ-জড়ানো ' হাজারীবাগের কবিতাগুচ্ছ ' কাব্যগ্রন্থটি। আমার কাছে এটি কবি বন্ধুর নিজ হাতে তুলে দেওয়া এক সানন্দ প্রীতিউপহার।
গদ্যের আঙ্গিনায় সাবলীল পদচারণার মধ্য দিয়েই কবিতার অনন্য বিচ্ছুরণ তুলে আনার সফল ও সার্থক প্রয়াস কবি সুপ্রিয় দেওঘরিয়ার এই কবিতা-বই।
আটপৌরে গদ্যে কথা বলতে বলতেই কবি পাঠক শ্রোতাকে এক লহমায় নিয়ে যান কবিতার দিব্যভুবনে। নানা দিক দিয়েই এই কবিতাগুলি যে সুপ্রিয় দেওঘরিয়ার ,কবি হিসাবে পরিণত মনস্কতার চিহ্নবহ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এযাবৎ তিনি যেসব কবিতা লিখে এসেছেন ,নিরীক্ষামূলক গুটিকয়েক বাদ দিলে, কবিতায় মেধাবী-স্বাক্ষর ও রসোজ্জ্বলতা দেখে বহু কবিতাপ্রেমী ও গুণীজনেরা মুগ্ধ। এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই, সৃজন-দক্ষতা স্বতোপ্রকাশমান।আরও পড়ুন
পুঞ্চার লোকশ্রুতি
তপন পাত্র
"লোক" শব্দটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । এর অন্যতম বড়ো কারণ একশ্রেণীর মানুষের মেধায় ও মজ্জাতে এই বিশ্বাস বদ্ধমূল হয়ে উঠছে যে, লোকসাহিত্য বা লোকসংস্কৃতি, লোকজন ও লোকযান নিয়ে একটা কিছু করতে পারলে লোকসমাজের কী কল্যাণ হবে সে কথা বড় নয়, কিন্তু কর্তা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠলে উঠতেও পারেন। তাই কতকিছু শব্দের পূর্বে "লোক" জুড়ে দিয়ে কত শব্দবন্ধ যে দিনরাত তৈরি হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই । এমনিতেই "লোক" শব্দের সঙ্গে "আয়ত" শব্দটি যুক্ত করে "লোকায়ত" শব্দটি বহু পুরাতন কাল থেকেই চলে আসছে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন "লোকহিত" শীর্ষক প্রবন্ধ । সেখানে "লোক" বলতে তিনি কাদের বোঝাতে চেয়েছেন, প্রবন্ধ পাঠান্তে আমরা তা বুঝতে পেরেছি। অক্ষয় কুমার দত্তের "পল্লীগ্রামস্থ প্রজাদের দুরবস্থা বর্ণনা" পাঠ করে পাঠকের মনে হয় দুরবস্থার শিকার পল্লীগ্রামস্থ প্রজারাই বুঝি প্রকৃতপক্ষে "লোক", লোক সাধারণ । নানাভাবে আমাদের মনের মধ্যে একটি ধারণা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, মোটামুটিভাবে সভ্যতার মূল স্রোত থেকে সুদূরে অবস্থিত, সুসভ্যতার আলোকবর্জিত নিরক্ষর কিন্তু সুসঙ্ঘবদ্ধ জীবনে বিশ্বাসী মানুষ গুলোই "লোক" । যারা ব্যষ্টি অপেক্ষা সমষ্টিতে বিশ্বাসী, যারা "আমি"র চেয়ে "আমরা" বলতে বেশি ভালোবাসেন, তারাই প্রকৃত পক্ষে "লোক" ।আরও পড়ুন
আমাদের বই
সম্পাদক : উত্তম মাহাত
সহায়তা : অনিকেতের বন্ধুরা
অলঙ্করণের চিত্রশিল্প : রবীন মণ্ডল (আন্তর্জাল)
যোগাযোগ : হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৯৩২৫০৫৭৮০
ইমেইল - uttamklp@gmail.com
সত্যি অসাধারণ লিখেছেন ।
উত্তরমুছুন👍🏼
উত্তরমুছুনদুর্গাবাবুর কবিতার সঙ্গে পরিচিত হলাম, ছুঁয়ে গেল। পল্লব গোস্বামীর কবিতাও দারুণ। তপন বাবুর প্রবন্ধ ঋদ্ধ করে চলেছে ' অরন্ধন ' এর চলার পথ।
উত্তরমুছুন