তৃতীয় বর্ষ ।। ত্রয়োদশ ওয়েব সংস্করণ ।। ২৩ আশ্বিন ১৪২৯ ।। ১০ অক্টোবর ২০২২
ঋণের দায়ে হয়েছি সিঁধেল চোর। নিজের বাচ্চাদের খাবার চুরি করেও চালাচ্ছি সংসার। অথচ দক্ষ সাংসারিকের তকমা নিতে ফলাও করে বলে বেড়াচ্ছি সবার কাছে।
পড়শিরা ভাবছে, এই এক সাংসারিক, এত ঋণের ভার মাথায়, অথচ কত আনন্দে কত উৎসবে দিন যাপন। কত কত টাকা খেলাচ্ছলে দিয়ে দিচ্ছে কত জনকে।
বৈরাগ্যভাব আনতে হবে। মনের মধ্যে সেই ভাব না এলে এত সরল, এত উদার, এত দিলখোলা হওয়া যায় না। জীবন যাপনে বস্তুর টান কমাতে কমাতে শূন্যে নিয়ে এলে বস্তুনিষ্ঠ হওয়া থেকে মুক্তি মেলে। তখন চটি পরেও মন্ত্রী হওয়া যায়। শাদা থান কাপড় পরেও রানি হওয়া যায়। করা যায় রাজ্য শাসন। কারো দানের টাকায় প্রজার বাড়ি নির্মিত হলে সেই বাড়ির ফলকে লেখা যায় নিজের নাম।
আমার এই বৈরাগ্য আমাকে বৈভবশালী বানিয়েছে। আমার এই বৈরাগ্য আমাকে শক্তিশালী বানিয়েছে। আমার এই বৈরাগ্যই আমার ঢাল শাসনে ও নাশনে স্বৈরাচারি হওয়ার। তাই বৈরাগী হয়েছি, সমাজের চোখে। হয়েছি সিঁধেল চোর।
উত্তম মাহাত, সম্পাদক
______________________________________________
যাঁদের লেখায় সমৃদ্ধ হলো এই সংস্করণ
______________________________________________
নির্মল হালদার / দেবাশিস সাহা / সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় / ডরোথী দাশ বিশ্বাস / সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় / দেবাশিস সরখেল / রামকৃষ্ণ মাহাত / কল্পোত্তম / তপন পাত্র
______________________________________________
নির্মল হালদারের কবিতা
হরিতকি গর্ভের আলোয়
---------------------------------
বাসা
--------
পাখির চোখের কোণে যে আলো বাসা বাঁধে
সেইতো ভোর
সেই তো আমাকে ডাকে
আমি যাই
পাখির সঙ্গে আম বন জাম বন
বট ফলের লাল রঙ সূর্যের কিরণে মেশাই
আমিও পাখির সঙ্গে কাঠ কুটো জড়ো করি
বাসা বাঁধি দিন ও রাত্রির।
শালুক
------------
এক গলা জলে দাঁড়িয়ে থাকা শালুকের পাশে
আমিও দাঁড়িয়ে আছি, আমাদের দিকে চেয়ে
ভোরের আলো ফুটবো ফুটবো করে
আমরাই তো প্রেম
আমাদের জলেই স্নান করবে সূর্য
তোরা কে আসবি আয়
জলকেলি করবি সূর্যের সঙ্গে
চুপি চুপি শালুক পাতায় রেখে যাবি
আলো আঁধারের বিরহ।
বাকল
----------
কে কে নতুন জামা কাপড় পরলো
উৎসব শেষেও আমার কাছে খবর নেই।
আমি তো চেয়েছিলাম, খড়ের সঙ্গে খড়ের বুনন,
ঘাসের সঙ্গে ঘাসের বুনন,
আমার পরিধান।
আর অবনীর মা?
আজও গাছের বাকল পরে দাঁড়িয়ে আছে
গাছের চারার সঙ্গে।
দেবাশিস সাহার তিনটি কবিতা
১.
পোড়া অক্ষরে
আগুনে পোড়া এ কেমন বিকেল
গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে
সূর্যাস্তের প্রতিটি ফোটায় গলগল রক্ত
পোড়া অক্ষরে কী কবিতা লিখব আমি
ইউক্রেনের মেঘ বালিশে - চাদরে
ডাইনিং-এ, সোফায়।
ভাতের থালায়, রুটির প্রতিটা কামড়ে
কিভ, খারকিভ, খেরসনের গুলি-গোলা মাখামাখি
পোড়া অক্ষরে কী কবিতা লিখব আমি
প্রতিটা প্রহরে ছিটকে আসে আগুন
কলজেয়-পাঁজরে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া----
বোমারু বিমানের, ট্যাঙ্কের, মিসাইলের
শরণার্থী আজ স্বরবৃত্ত--মাত্রাবৃত্ত
পোড়া অক্ষরে কী কবিতা লিখব আমি
কত পথ পাড়ি দিলে আর
হে সভ্যতা,
আমার লকলকে জিভ গোলাপ হবে
আবার কবিতা লিখব আমি নতুন
সনেটে,পয়ারে...
২.
গান
কত অধিকার নিয়ে একটা গান সারা শরীরে
শুয়ে আছে
নিশ্চিন্তে অস্ত যাচ্ছে কাঠঠোকরা
বিসর্পিল মদ- মাংস
অথবা কিছু নয় এসবও
চিতাকাঠ ধমকাল কতশত
কত সমুদ্র ঢালা হল উপুড় করে
এল গেল কত জল
গানটা পেরোচ্ছে না-পেরোনো কঠিন সূর্য
৩.
দোয়েল
আমার সমস্ত অজানায়
মাঝে মাঝে
যে - দোয়েলটা শিস দিয়ে ওঠে
সে কি তুমি?
হে নিবিড়, লক্ষ করো
পথের অতীত কোন পথ
হৃদয়ে চুপটি করে...
ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
আমাকেই এসে নাকি ছুঁতো
আমারই সৃষ্টি নাকি, যাকে
অন্ধগলির কানা বাঁকে
খুলে রেখে যেতে হয় জুতো?
এ সময় বড়ো রবাহুত।
বিন ডাকে চলে আসে ফাঁকে।
আমার খোঁজেই আমি তাকে
বোঝাই তত্ত্বওয়ালা ছুতো।
আখ্যান বুনে যায় সুতো।
গল্পের গহীন কুম্ভীপাকে
কবন্ধ প্রশ্ন জমে থাকে —
মায়ে বাপে যদি নাই শুতো?
ডরোথী দাশ বিশ্বাসের কবিতা
বিস্মৃতি
ঘর থেকে এক পা বাড়ালেই বহির্বিশ্ব
অজানা আতঙ্ক অচেনা শত্রুতা যেন আক্রমনোদ্যত
উদার চিন্তা ঠিক ততটুক মনের কুঠুরি ঘেঁষে
ইঞ্চি ইঞ্চি দৈর্ঘ্যে প্রস্থে কেবলি ঘুরপাক
পৃথিবী ছাড়িয়ে আলোকবর্ষ অবাক বিস্ময়
আলো নেই ঘর-অলিন্দে, নাই বা থাকুক মনঘরে
তবুও কখনো গোলাপ ঠোঁট কেঁপে ওঠে তিরতির।
জীবন্মৃত...
যদিও জীবন মৃত্যুর ফারাক বোঝে না সে,
ব্যথাবোধ, অকারণে দৃষ্টি আকর্ষণেই প্রাণের অস্তিত্ব ধরা পড়ে,
দিন বড় দীর্ঘ---
রাতের অন্ধকার নেমে আসা দু'চোখের কোলে
ঘুমের মাসিপিসি আর বসে না।
নিত্যদিন তাই ঘুম কিনতে হয়।
তারপরেও তরল মন
নিরাকার হয়ে ছুটতে থাকে
এদিক ওদিক
যন্ত্রণা উপশমের আশায়।
অজান্তেই সে যে পরম নিভৃত এক আশ্রয় লাভের পিয়াসী।
সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
১.
ঋতু
এক গ্রীষ্মে বাবা চলে গেলেন
এক শীতে মা
শীত ও গ্রীষ্মের মাঝে
সামান্য অন্তর
চোখের জলে বর্ষা এসে যায়।
২.
ডোকরা
চাঁদের আলো চেটে খাচ্ছে
পিতলের স্তনবৃন্ত
মনোরম এ দৃশ্যের ছাঁচ গড়তে গড়তে
আঙুল খুইয়ে ফেলল যে নবীন কিশোর
তাকে শিল্পী বলে ডেকে নিতে
আমাদের আরো দু একটা জন্ম গড়িয়ে যাবে।
৩.
বিস্মৃতি
এ জন্মের সব বিষাদ
খুচরো পয়সার মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে
মনে হচ্ছে _
সবেমাত্র বৃষ্টি ধরেছে
আর কীভাবে যেন আমরা ভুলে গেছি
পুরানো মন্দিরের সিঁড়িতে বসে থাকা
ভিখারি বালকের মুখ।
প্রস্থান
দেবাশিস সরখেল
কুটুম পালায়
ভাড়াটেরা চুপ
কাঠুরেরা বলে ; দুদিন টিকিয়ে রাখা হে
ত্রিবেণী যাবে না
সে পুন্নি করেনি
যষ্টিমাস পুকুরে জল হতে দাও
শবাধার নিভিবে কেমনে ?
চোখ বুজলে দু'কলম জেলার পাতায় ।
টিকোমা কাঞ্চন রডেনন্টেলিয়া ফুটেছে বিস্তর
পাশে থেকে পুড়ে যেতে চায়
চিতার দুপাশে হবে গন্ধের নাচ গান।
শিয়ারা ছাড়াই ঘুগিতে মাছ
মাগুর ঘড়ুই খুঁজছে পলুই খালুই
পুড়কির লম্বা ওড়।
গ্রামদেশে আষাঢ়ের পহেলা প্রহরে
খাদ্য শৃংখলে হাহাকার নেই ।
আর নিজের ভার বলতে পারো না বলে
ভারহীন ।
রামকৃষ্ণ মাহাত-র কবিতা
১.
ইঁট ভাটা
বছর দশেকের সীমা কালিন্দী । ভাটায় ইঁট গড়ে
সে নাকি এই ইঁট দিয়ে ঘর বানাবেক । দলান ঘর ,
গতবছর থেকেই বলে আসছে এবছর বলছে
সীমা তাড়াতাড়ি উঠে রান্না করে ভাটায় যায় । বাপের সঙ্গে
হাত লাগায় । একসাথে বাইসাম খাই
হোইড় সাজাই
তারপর পুতুল খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়ে ।
কিন্তু প্রতিবারেই ঘুম থেকে উঠে দেখে
তাদের ইঁটগুলো নিয়ে যাচ্ছে । চিমনি ধোঁয়া ছাড়ছে
বাপ খরাকি গুনছে ...
২.
নির্বাচন
পুলিশ বনবন করে লাঠি ঘোরাচ্ছে । জনতা ছুটছে
চতুর্দিকে । পোস্টার ব্যানার যে যেখানে পড়ে আছে ।
একদল সাহসী তরুণ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে
মাথা ফেটে রক্ত গড়াচ্ছে ।এই রক্তের সঙ্গে আমাদের কোনো
সম্পর্ক নেই । আমরা চাকুরীজীবী মানুষ ।
পরিবার আছে ছেলেপুলে আছে মা বাবা আছে । বছর শেষে নির্বাচন আছে ।
কল্পোত্তমের কবিতা
শিকার
৯.
কার নখদর্পণে কে?
এই প্রশ্নে ভাবিত,
এই প্রশ্নে তোলপাড় জলস্থল।
বাঘ, হরিণ, বাজ, ইঁদুর সকলেই
নখদর্পণে রাখতে চায় সকলকে
তারপরও শিকার হতে হয়
হতে হয় আহত,
রক্ত-চক্ষুর আড়ালে তৈরি হওয়া শূন্যস্থানে
অভিষিক্ত হতে হতে
শিকার হয় সেও,
জন-জঙ্গলের শূন্যস্থান
চক্রাকারে আবর্তিত হয় শূন্যস্থানে।
এক মহা অন্ধকূপের নাম
লালসা
এক মহা অন্ধকূপের নাম
সম্পদ
নারী
সম্মান
মহা অন্ধকূপের ভেতর আবর্তিত হতে হতে
এগিয়ে যাই জন্মান্তরের দিকে।
১০.
পিছু নেওয়া হরিণীর মাংসে
লেগে আছে দাগ
লেগে আছে কলঙ্ক, হত্যা, অত্যাচার
পিছু নেওয়া হরিণীর মাংসে
লেগে আছে লালা।
লালার পরিচয় অবান্তর।
আমার তোমার ঠোঁটের চারপাশ মাড়াতে মাড়াতে
কারো কারো দেহে গিয়ে পৌঁছায়
লালসা থেকেই লালা
লালা এক ঝরে পড়ার নাম
সকলেই লালা ঝরাতে চায়
কোনো না কোনো হরিণীর মাংসে।
ভোরের প্রলাপ
তপন পাত্র
বেশ অনেকদিনই হলো নিয়মমতো অভ্যাসবশত ভোর হতেই মোবাইলটা হাতে নিয়ে প্রিয়জনদের প্রভাতী শুভেচ্ছা পাঠাতে বসি , আজও বসেছি । যদিও এ কাজটা কম কাজ করে বা না কাজ করে বেশি টাকা বেতন পাওয়া সুযোগ সন্ধানী হৃদয়হীন , ভিত্তিহীন-অহংকারী মানুষের চোখে "নাই কাজ তো খই ভাজ" । তাতে আমার আপনার আর কী যায় আসে ?
আমার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর অন্তর্গত, তালিকায় লিপিবদ্ধ এক আদরের ভাই হঠাৎ আজ এক প্রশ্নবার্তা পাঠালো , "কী হলো দাদা , ভোর থেকেই যে অনলাইন !?! " কিছুটা ঠাট্টা-তামাশা, কিছুটা মশকরা, কিছুটা হাস্যরস ও অংশত বিদ্রুপ এবং অবশ্যই এক নিবিড় ভালোবাসা ঝরে পড়লো মাত্র সাতটি শব্দের বন্ধনে ।
আসলে বয়সে ছোট হলেও ফোন নিয়ে মাথা গুঁজে বসে থাকায় ভাই টি আমার চেয়ে অনেক বেশি প্রবীণ , প্রাচীন । একসময় ওর কাছে ওর এই ফোন ঘাঁটাঘাঁটি নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছি । সে-ই আবার দেখছে , আমি আজ মোবাইল নিয়ে মাতামাতি করছি তার চেয়ে ঢের বেশি । কী বুঝবো , কার কোন্ টা দোষ , আর কোন্ টা গুন ? কোন্ টা কখন আশীর্বাদ আর কখন বা অভিশাপ ! সবই তো অক্ষমের সক্ষম আস্ফালন , সবই তো সময়ের কড়া চাবুক । শংকর মাছের ল্যাজের মতোই আমাদের পিঠে এসে বসে যায় অকস্মাৎ ।
---সে যাই বলো বাবু, শুধু সময়ই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক । যারা অদৃশ্য পরমেশ্বর মানেন না তারাও তো দেখছি আজ সামান্য অদৃশ্য একটা আধমরা ভাইরাসের কাছে মাথানত কোরছেন ; অসুর জ্ঞানে , দানব জ্ঞানে অহনিশি আতঙ্ক যাপন করছেন ! কোথায় গেল চোখে না দেখা কিছুকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার মতো সেই উন্নাসিকতা ? তাঁরা তো আজ গলা উঁচিয়ে বলতেই পারেন, যেহেতু দু'চোখে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না, সুতরাং ওইসব ভাইরাস টাইরাস বলে কিস্যু নেই ।
কারা সব পুঁজিবাদী স্বার্থে জগৎটাকে ডিজিটাল বানাতে চাইলো, গোটা পৃথিবীগ্রাম টাকে ঢেকে ফেলতে চাইলো একটা নবতর বিজ্ঞানসম্মত মায়াজালে । বাধ্য , অনেক কিছু মন্দলাগা কাজে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছি আমরা । জগৎ টা তো পুঁজিবাদীদের কেনা তিন কাঠা মাটির বাস্তু ভূমি না , তাই তুমি যদি এখানে থাকতে চাও তোমাকে পোষ্য সারমেয়র মতোই বাকি জীবনটা কাটাতে হবে । হবেই । কারণ তোমার তো নিদেন পক্ষে ছেলে-বউ, মা-বাবা মিলিয়ে একটা ঘর সংসার আছে । মারণ রোগের বড়লোকী ঘুগিতে পড়ে সবাই যদি চলে যায় ; তবুও তো অন্য আর পাঁচটা প্রিয় জন আছে ।
বাধ্য হয়েই মানুষ আজ যতক্ষণ জেগে, ততক্ষণ তার হাতে শেলফোন । বিরাট শেল ! মনে হচ্ছে লক্ষণের শক্তিশেলের চেয়েও ভয়ঙ্কর !
কারো কারো ঘুমন্ত অবস্থাতেও শেলফোন সমান অ্যাক্টিভ । যতক্ষণ ফোন, ততক্ষণ অনলাইন ; নেট লাইফ ! ডিজিটাল ডেথ্ । একটা ভয়ঙ্কর জালে জড়িয়ে পড়েছে আজ সমস্ত সিংহ বিক্রম । কোথায় গেল সেই ইঁদুর ছানাটি ?
তাকে যে আজ বড়ো প্রয়োজন । সে আসবে না উপকারীর উপকার করতে , চিরন্তন কৃতজ্ঞতাও কি সে ভুলে গেল !
সে কি আসবে না জাল কে টুকরো টুকরো করে কেটে জাল থেকে সিংহটিকে বের ক'রে এনে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের ছায়ায় নিয়ে যাবার জন্য ?
আজ কেমন সন্দেহ হয়, কিছু কিছু মানুষ মানে মহাত্মা তো দূরদ্রষ্টা ছিলেন, ঋষি ছিলেন ; রামপ্রসাদ পাছে আজকের নেট ওয়ার্ল্ডের কথা আগাম ভেবেই বহুকাল আগে সেই শ্যামা সংগীত টি লিখেছিলেন , মা কে প্রশ্ন করেছিলেন ---
"জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছিস মা ,
শ্যামা কি তুই জেলের মেয়ে !"
জানি না ।
কিছুটা বিরক্ত হয়েই হয়তো সেদিন বলেছিলেন --
"মা তোর কত রঙ্গ দেখব বল..."
কী হবে আর ভেবে, আমিও তো সেই জালের আওতাতেই । জড়িয়ে গেছি । যতো নড়ছি-চড়ছি ততো বেধিয়ে যাচ্ছি বেশি বেশি করে । নিরুপায় হয়ে আকাশের দিকে মাথা রেখে মৃদু করতালি দিয়ে কমদামি মুন্ডুটা একবার ডাইনে আর একবার বাঁয়ে দুলিয়ে গাইছি ---
"সকলি তোমারি ইচ্ছা
ইচ্ছাময়ী তারা তুমি ...।"
আমাদের বই
সম্পাদক : উত্তম মাহাত
সহায়তা : অনিকেতের বন্ধুরা
অলঙ্করণের ছবি : গল্পকার স্বপন চক্রবর্তী
যোগাযোগ : হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৯৩২৫০৫৭৮০
ইমেইল - uttamklp@gmail.com












এবারের কবিতার সম্ভার খুব ভালো লেগেছে..
উত্তরমুছুন