ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র শিল্প ।। কল্লোল মজুমদার
আলোকচিত্রশিল্পীর পরিচয়
সুবিখ্যাত আলোকচিত্রশিল্পী কল্লোল মজুমদারের জন্ম ১৯৫৮ সালের ১ এপ্রিল। কবিতা, আলোকচিত্র শিল্প এবং সিনেমার প্রতি তাঁর আকর্ষণ শুরু হয় সেই স্কুল জীবনে, যখন তিনি পুরুলিয়া জেলা স্কুলে পড়তেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, এই তিনটি মাধ্যমের মধ্য দিয়েই একই সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে নিজেকে প্রকাশ করবেন।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম এ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস কমিউনিকেশন এন্ড জার্নালিজম এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্ট (NIPM) থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি নেওয়ার পর ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, পুনে থেকে সিনেমা সম্বন্ধীয় শিক্ষা গ্রহণ করেন।
এছাড়াও তিনি ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ফটোগ্রাফির অধীনে থাকা দমদম ফটো ইউনিট, কলকাতা থেকে ফটোগ্রাফি বিষয়ে ডিপ্লোমা ( স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ) করেন। ১৯৮৬ সালে সেখানে তিনি সুবিখ্যাত আলোকচিত্রশিল্পী দিলীপ কুমার বসুর তত্ত্বাবধানে শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পান।
দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজারের ( কমিউনিকেশনস ) পদ থেকে
অবসর সম্প্রতিই তিনি গ্রহণ করেন।
তিনি দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের টেলিভিশন কেন্দ্রের ফটো ইউনিটের ইনচার্জ ছিলেন এবং সাথে সাথে ইস্পাত সংবাদ এবং ডিএসপি নিউজেরও তত্ত্বাবধান করতেন।
আলোকচিত্রশিল্পকে তিনি চারুকলা শিল্প হিসেবে
গ্রহণ করে নিজের সৃষ্টিশীলতাকে প্রকাশ করে থাকেন। ২০১২ সালে the Federation Internationale De L' Art Photographique (FIAP) থেকে তিনি honour of 'Artiste FIAP' (AFIAP) সম্মানে ভূষিত হন। ২০১৪ সালে Federation of Indian Photography (FIP) থেকে Fellow of the Federation of Indian Photography (FFIP) - র পদে আসেন। ২০১৫ সালে তিনি EFIAP (Excellence FIAP) distinction পুরস্কার পান FIAP (Fédération Internationale de l'Art Photographique) থেকে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হচ্ছে FIAP হলো বিশ্বব্যাপী একটা আর্টিস্টিক ফটোগ্রাফি সংগঠন যা ইউনেস্কো স্বীকৃত এবং FIP হলো আর্ট ফটোগ্রাফির একটি জাতীয় শীর্ষ সংগঠন।
আলোকচিত্রশিল্পী কল্লোল মজুমদারের ঝুড়িতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের প্রায় শতাধিক পুরস্কার এবং সম্মান রয়েছে। যা তিনি তাঁর আলোকচিত্রশিল্পের শৈল্পিক গুনাগুন, তার ধরন এবং সৃষ্টিশীলতার জন্য অর্জন করেছেন। সর্বোপরি ৪০ টিরও বেশি দেশে তাঁর আলোকচিত্রশিল্প প্রদর্শিত হয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে বহু বই এবং ম্যাগাজিনের অলংকরণ ও তাদের কভারে তাঁর চিত্রশিল্প ব্যবহৃত হয়েছে।
তিনি ফটোগ্রাফির ওপর একটি বইও লেখেন, যা "ফটোগ্রাফি ফর বিগিনার্স" নামে দমদম ফটো ইউনিট থেকে প্রকাশিত হয় এবং তা তাদের পাঠ্য বই। এছাড়াও তিনি ফটোগ্রাফির উপর আরো বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি হেলিওগ্রাফি ম্যাগাজিন-এ ফটোগ্রাফির উপর নিয়মিত লিখে আসছেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে তিনি দমদম ফটো ইউনিট এন্ড ভিজুয়াল অ্যাক্সিস, আসানসোলে ফটোগ্রাফি বিষয়ে শিক্ষাদান করে আসছেন এবং বিভিন্ন সেমিনার ও ওয়ার্কশপে এ বিষয়ে বক্তব্য রেখে আসছেন।
ফটোগ্রাফিক আর্ট এন্ড এডুকেশনে নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে তিনি চারটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম ও বেশ কিছু ভ্রমণ বিষয়ক গল্পের নির্দেশনা করেন যা এইট এম এম ফরমেটে করা হয়েছে। তিনি DSP থাকে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ফিল্মে নির্দেশক এবং স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও কল্লোলশ্রী মজুমদার নামে তাঁর চারটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। প্রকৃতগাথা (১৯৯০), সহচর উজানের টানে (১৯৯২), ধান্যকুমারী ১৯৯৫ ও মরাবীজ ভরাবীজ (২০০০)
২০১২ সালে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন থেকে তাকে "সাহিত্য সম্মান"-এ ভূষিত করা হয়। এছাড়াও তাঁর এসেজ (,২০০৬) এর জন্য তাঁকে দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ বিজনেস কমিউনিকেশন্স অফ ইন্ডিয়া থেকেও পুরস্কৃত করা হয়।
বাহ!! দারুন লাগল...
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো
উত্তরমুছুনঅনেক অনেক অভিনন্দন জানাই এমন অসাধারণ কাজ করার জন্য। আমি গর্বিত যে কল্লোল আমার বন্ধু।
উত্তরমুছুনভালোবাসা..🥰🥰
উত্তরমুছুন