তৃতীয় বর্ষ ।। ত্রয়োবিংশতি ওয়েব সংস্করণ ।। ১৪ ফাল্গুন ১৪২৯ ।। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩



বইয়ের দাম লাগামছাড়া রাখার পক্ষপাতী অনেকেই? কবিতা বা গদ্যের বইয়ের দাম তার খরচের তুলনায় প্রায় চারগুণ রাখা হয়ে থাকে প্রায়শই। অথচ ওই একই খরচের বই অন্য একটি প্রকাশনীতে নাগালের মধ্যে। তাহলে যে প্রকাশনী নাগালের মধ্যে দাম রেখেছে সে কি নিজের ক্ষতি করে ব্যবসা করছে? নাকি এর বিপরীত মেরুতে অবস্থিত প্রকাশনী খুব তাড়াতাড়ি আখের গোছাতে চাইছে?
       বিষয়টা যাই হোক, যাদের পকেটে সেইমতো টাকা আছে তাদের কাছে বিষয়টা কোনো ব্যপারই না। কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ পাঠকদের খানিকটা ভাবতে হয় বইকি! বেশি দামের বইটা কেনার আগে মাথায় অনেকবারই আসে, এই বই চারশো? এটা তো দুইশো হওয়া উচিত ছিল।
            কয়েকদিন আগেই কবি বিনয় মজুমদারের একটা বইয়ের দামকে কেন্দ্র করে কবি অনির্বাণ ধরিত্রীপুত্রের সঙ্গে বেশ কয়েক জনের তর্কাতর্কি চরম পর্যায়ে পৌঁছায় ফেসবুকে। যা আমার কাছে অস্বস্তিকর এবং লজ্জাজনক মনে হয়।
            একজন তো কমেন্ট করে বসলেন, ভালো কবি বা লেখকদের গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বা তাঁদের সম্মান দেওয়ার জন্য তাঁদের বইয়ের দাম বেশি রাখা উচিত। তার মানে কি উনি সেই ভালো কবি বা লেখকের পাঠককুলকে কোনভাবে সীমায়িত করতে চাইছেন? তাঁর লেখা কি সবার পড়ার নয় বলে বোঝাতে চাইছেন উনি? বা বিশেষ কিছু কবি লেখককে ব্রান্ড করে তুলতে চাইছেন? বিষয়টা যাই হোক, তা বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে ক্ষতিকরই। বাংলা ভাষার সঙ্কটকালে তাকে আরও বেশি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বাভাবিক বইয়ের দাম রেখে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে হয় আমার।

উত্তম মাহাত, সম্পাদক 
             
________________________________________
যাঁদের লেখায় সমৃদ্ধ হলো এই সংস্করণ
________________________________________
মেঘ অদিতি / অশোক দত্ত / বিশ্বম্ভর নারায়ণ দেব / শ্রীভূষণ / গীতশ্রী সিনহা / উৎপল চট্টোপাধ্যায় / কল্পোত্তম
________________________________________



মৃত্যু

মেঘ অদিতি 


ফড়িংকে সহজ জানতাম
সবুজ প্রপেলার, স্ক্রু সমেত খুলে নিলে 
বিষণ্ণ হলো রোদ, ভেবেছি রোদও সহজ 
পিকনিক শেষে বাড়ি ফেরার পথে শ্বাস কমে এল

মৃত্যুকে হাসতে দেখে জানলাম 
অতটা সহজ কখনই ছিল না রোদ-ফড়িঙের খেলা






হঠাৎ রচনা

অশোক দত্ত


সূর্যকে পীঠে রেখে মৃত্যুকে বরণ করে অমরলোকের
বাসীন্দা হয়েছেন যারা 
তাদের তালিকা কোথায়-যে পাবো, হায়, 
আমাকেও যে যেতে হবে, আমিও যে যাবো সেই
অমরলোকের আনন্দধামে---

হে যমদেবতা, সংযম হারিয়ে আছি বসে, নচিকেতা
নই, তবুও
তোমার দুয়ারের সন্নিকটে এসে ঝাঁট দিচ্ছি 
যতরাজ্যের ভাই-বোনেদের ফেলে দেওয়া কাঁটা---

যদি প্রসন্ন হও, দূত পাঠিও না, নাথ, 
তোমার প্রসাদে, পশ্চিমে সূর্যপাটে, ধূমকেতু এসে 
যেন তুলে নিয়ে যায়, একটি ফটো, 
লালনক্ষত্রের একটি চন্দনের ফোঁটা 
উত্তরে, নকসালবাড়িতে---
ত্রিনাচিকেৎ অগ্নি বলে যদি কিছু থাকে, এই মহা
পৃথিবী নামক সূর্যের তিন নম্বর ঘরের দাওয়াতে!

হাড়-হাভাতে থেকে মা-বাপ বিদায় নিয়েছে, 
পূর্বেই বলে রেখেছি, সাক্ষাতে
আজ মরণজয়ী যুদ্ধ হবে তোমার সাথে, 
মৃত্যুর রূপ আমি অনেক দেখেছি, এবার সাপের 
পাঁচ পা দেখার মতো আমি
                                 অমৃতের আহবান আনি ।






জন্ম  

বিশ্বম্ভর নারায়ণ দেব


সংগীতা তুই কেন বাজিস
তোর  নিজেরই সুরে। 

এমন নিঝুম দুপুরে
 আমি মগ্ন হয়ে শুনি

তুই কি আমার শালুক শুশুনি
বাঁধ পুকুরে বাস
পদ্মপাতায় দেয় না ধরা, জলীয় উচ্ছ্বাস।

দুই চার লাইন লিখতে যাবো
উছলে পড়ে জলে
 আমাকে তুই কবি সাজাস না
 প্রাচীন বল্কলে।








দুই বন্ধুর শপথ হোক আমাদের অঙ্গীকার
[শ্রদ্ধাস্পদেষু শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় ও গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক]

শ্রীভূষণ

হে অগ্রজ,
আপনাদের কাছে আমরা কিছুই শিখলাম না !
নিজেদের ভাষার প্রতি আমাদের সেই আবেগ থিতিয়ে গেছে আজ
বরং অনেক বেশি শ্লাঘা বোধ করি কথায় কথায় ইংরেজি বুলি আওড়ে।
অথচ ভাবতে ভালোলাগে
গত শতকের কোনো এক সময় 
প্রেসিডেন্সি কলেজের দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু — দুজনেই আজ খ্যাত 
এদেশে ও বিদেশের বিদ্যায়তনিক চর্চার পাণ্ডিত্যে,
তুখোড় ইংরেজি জানা সত্ত্বেও 
কী গভীর শ্রদ্ধায়
বাংলা ভাষার পদতলে বসে মাতৃভাষার প্রতি আবেগ আজও প্রবল !

এই শতকের একেবারে গোড়ায় 
কলকাতার কোনো এক বক্তৃতায় 
স্পিভাক মনে করিয়ে দিয়েছিলেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়কে — 
‘আমরা দুই বন্ধু একদা শপথ করেছিলাম,
যখন আমরা ইংরেজিতে কথা বলব বা লিখব, তা কেবল ইংরেজিতেই করব,
যখন বাংলায় বলব বা লিখব, তখন কেবল বাংলাতেই বলব বা লিখব।’
দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া এই অঙ্গীকার দুজনেই রেখেছেন
জনসমক্ষে বক্তৃতায় হোক কিংবা তাঁদের লেখায়।

আমরা কি পেরেছি এমনতর কোনো শপথ নিতে ? 
নাকি শুধু প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করে যাবো করতে হয় বলে ! 
বরং দিন-ক্ষণ, আচার-অনুষ্ঠান সরিয়ে
এসো মননে ধারণ করি — 
দুই বন্ধুর শপথ হোক আমাদের অঙ্গীকার।






আকাশ রেখা

গীতশ্রী সিনহা 


আকাশ রেখাকে আরও একটু কাছে এনে দাও ,
অত উঁচুতে কি দৃষ্টি যায় ?
অত উঁচুতে স্নায়ু-কোষ বিহ্বলতা , পতন ও মূর্ছার হিষ্টিরিয়া
আমাদের আয়ুর ফিতেকে ছেঁটে দেয় স্কাইস্ক্রাপার উচ্চাশা ,
একবার নীচু চোখে চেয়ে দেখো ,
ঘাসফুল ফুটে আছে সবুজ জাজিমে
বাতাস ও বৃষ্টির গ্রামীণ  ধর্ষণেও
সে কোনদিনও রক্তাক্ত হবে না
অথচ দীর্ঘ বৃক্ষরাশি  সত্তর কিলোমিটার ঝড়ের চুম্বনে
বেপথু নারীর মতো নেতিয়ে পড়ে
অর্ন্তবাস উড়ে যায় বাতাসে ।
ঐ সূর্য তোরণ সন্ত্রাসী ধাক্কায় ধ্বংস হতে পারে যে কোন দিন
এসো , মৃত্তিকার স্পর্শে নেমে এসো
ঘাস ফুল ফুটে থাকা সবুজ জাজিমে ।
হতভাগ্য সময় একাকার হতে শিখুক শূন্যতার বিষাদ সময়ে...







উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

১.
নষ্ট সময় 


তোমার শব্দের কাছে এসে দাঁড়াই 
তোমার আটপৌরে বাক্য ছুঁতে 
আমার যত বিলাসিতা 
ছন্নছাড়া বিদেহী শোক 
তোমার শোকের পাশে এসে দাঁড়াই 
এখন তুমি প্রশ্ন করবে কেন ? 
এখন তুমি প্রশ্ন করবে কিসের শোক ? 
আমার উত্তরের দিকে তোমার ডান হাত 
দৃষ্টি উচ্ছ্বাসে নষ্ট সময় 
ও দিকে সর্ব ত্যাগী পতিতার নগ্ন দেহ 
ও দিকে নষ্ট পল্লীর জারজ সন্তানদের হাসি 
তুমি তাকাবে না ? 
তুমি চাইবে না কারো শরীর ? 
দেখো, তোমার কবিতা হতে উদগ্রীব 
কত দৃশ্য , কত পাখি , 
কত ঝরনা , কত নদী , 
শত রচনায় তুমি তাদেরই সংস্করণের দেহ দিয়েছ বার বার 
সংযোজনের দৃশ্যান্তরে অকপট এই সত্যি 
তুমি কি অস্বীকার করবে ? 
তুমি কি ভাঙবেনা লজ্জ্বার এই উৎস, সুখ ? 
এখনোও চিনতে পারোনি আমাকে ? 
বিস্মরণের পাশে এমনই এক দেহাবশেষ আমি 
পৃথিবীর দশম দুয়ারে এসে 
কেবলই শুধু নষ্ট প্রকৃতির ছাই উড়িয়ে বেঁচে আছি একা ...... অন্তহীন




২.
ক্লান্ত পল্লব 


প্রতিটি শব্দ ভার খুলে তোমাকে দেখি 
পিছল প্রপাত 
 জলও শরীর আঁকে ! 
 লুকিয়ে লুকিয়ে আমি তোমার বসে থাকা দেখি 
অনন্ত শীর্ষ.............অন্তহীন সময়, 
যেখানে নিসঙ্গ ক্যালেন্ডারে শুধু 
আন্তর্জাতিক ছোপদাগ 
পা হতে বুক অনাদি সঞ্চয়ের শিথিল শিশ্নে
জাগে আগুন 
ক্ষয় বোধে জ্বলে ওঠে মেঘ . . . মেঘের পালক 
আরও আরও ক্ষুধার্ত শেয়াল 
এরপরও সবুজ সন্ধানে আলো ? 
স্বপ্ন দোষ কেটে গেলে জ্বরাগ্রস্থ দেহে 
যত নির্বিকার ক্রোধ 
পাহাড়ের সানুদেশে এসে হয়তো 
নদীও লজ্জা পেয়েছিলো সেদিন








বিড়ুল

কল্পোত্তম


---------পাতাগুলো কত উপরে উড়ছে দেখছিস?
            ছোটনা রেখাদের দালানের ছাদে বসে পড়তে পড়তে পাঁড়ুকে দেখাতে চেষ্টা করলে চোখ যায় আমাদেরও। বহু শুকনো পাতা, বিশেষ করে পলাশের পাতা হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে মন্থর গতিতে নিচে নামছে। আর নামতে নামতেও আরও অনেক দূর চলে যাচ্ছে বাতাসে ভেসে ভেসে। শুধু একটা দুটো নয়, লক্ষ লক্ষ পাতা। তার সাথে কাগজ প্লাষ্টিক।
----------হঁ রে, হঁ রে, কত পাতা! এত পাতা উড়তে আমি কোনদিন দেখিনি।
----------আমিও।
             চিৎকার করে ওঠে মৌসুমী। বর্তিকা বুঝতে না পেরে আমাকে বলে--------- কি বাবা?
-----------বিড়ুল এসেছে বিড়ুল। দেখছিস না কত পাতা উড়ছে!
              আকাশের দিকে আঙুল বাড়িয়ে দেখিয়ে দিই তাকে। দূর আকাশের পাতাগুলো একেবারে ছোটো। চোখে পড়ছে না। তারপর বড়ো হতে হতে কাছের গুলো একেবারে বড়ো। স্পষ্ট বোঝা যায়, কোন্ পাতা। 
              অনেকদিন আগে একবার শক্তিশালী একটা বিড়ুল কুমারী ও যমুনা নদীর মিলনস্থলে থাকা ডোবার জল সহ নরম পলিমাটি পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ফেলেছিল মাঝঘুটায়। যেখানটায় সারুল পুজা করে আমাদের গ্ৰামের সাঁওতালরা।
            আমার ছোটকাকু ধনঞ্জয় ও তার সাথীরা জলের সঙ্গে উড়িয়ে যাওয়া অনেক মাছ কুড়িয়েছিল সেখানে। সেই মাঝঘুটায়।
           গল্পটা তার কাছেই শোনা। আমার ছোটদাদু রসরাজ মাহাতও বলতেন,"বড় বিড়ুল বা অন্য কোনো ঝড় এলে বড় গাছের কাছে থাকবি না। ক্ষেতের আলের কোলে শুয়ে পড়বি। অথবা পলাশ ঝোপের ডাল ধরে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকবি। উড়াতে পারবে না। আর, গামছা থাকলে বেঁধে নিবি মাথাতে। ধুলো ঢুকবে না।
           অন্যান্য গাছ বা বীরুৎ জাতীয় ঝোপের ডালের থেকে পলাশ ঝোপের ডাল অনেক বেশি শক্তিশালী। ভেঙে বা ছিঁড়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। গ্ৰামবাসীরা জানেন। তাই বিপদ থেকে রক্ষার এই অবলম্বনকে জড়িয়েও ধরেন বিপদের সময়।
            আমরা উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলের অন্তর্গত। শীতের পর ধীরে ধীরে উষ্ণ হতে শুরু করে আবহাওয়া। শুরু হয় পাতা ঝরা। কিন্তু ভূ-গাঠনিক বৈচিত্র্যের কারণে সব জায়গা সমানভাবে উষ্ণ হয় না। কোথাও কোথাও উঁচু জমি তুলনামূলক নিচু জমির থেকে বেশি উষ্ণ হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও পাথুরে জমি তুলনামূলক মেটে জমি থেকে বেশি উষ্ণ হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও শুষ্ক খোলা ভূ-ভাগ বৃক্ষ বা তৃণাচ্ছাদিত ভূ-ভাগের থেকে বেশি উষ্ণ হয়ে পড়ে। আর সেই উষ্ণ হালকা বাতাস হু হু করে ছুটে চলে উপরের দিকে। তৈরি হয় শূন্যস্থান। সেই শূন্যস্থান পূরণের জন্য চারপাশ থেকে ছুটে আসে ঠান্ডা ভারি বাতাস। আর তাদের হুড়োহুড়িতে তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড়।
             আমাদের পুরুলিয়ার মানুষ সেই ঘূর্ণিকে বলে বিড়ুল। কেউ কেউ বলে বিড়ুল ভুত। গায়ে লাগাতে চায় না। মেলে রাখা জামাকাপড় সেই বিড়ুলের বাতাসে উড়ে গেলে সেটা আর পরতে চায় না। প্রাকৃতিক কারণে কারোর দিকে বিড়ুল ছুটে এলে সেই ব্যক্তি মনের দিক থেকে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। বিড়ুলের দিকে থুথু ছিটোতে শুরু করে।
            এর পিছনে একটা পৌরাণিক কারণ বিদ্যমান। শ্রীকৃষ্ণের বয়স যখন মাত্র এক বছর, তখন তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাঁর মামা তথা মথুরার রাজা কংস তৃণাবর্ত নামে এক রাক্ষসকে প্রেরণ করেন। সে এইরকম ঘুর্ণিঝড় বা বিড়ুল সৃষ্টি করে কৃষ্ণকে উড়িয়ে আকাশে উত্তোলন করে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মায়া শক্তিতে শেষ পর্যন্ত অবশ্য পরাজিত হয় সে। মৃত্যু বরণ করে। সেই সময় থেকেই হয় তো বিড়ুলকে ভুত ভাবতে শুরু করে মানুষ। তবে ভুত না হলেও এই ঝড়ের অসীম শক্তি তার কেন্দ্রে চলে আসা মানুষকে, জলকে, অন্যান্য বস্তুকে উড়িয়ে আকাশে উঠিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই হয় তো ভয়। সেই ভয়ই হয় তো ভুত।





________________________________________
আগের সংস্করণের পাঠ প্রতিক্রিয়া 
________________________________________
 
১/ ওহ্! অসাধারণ!! বসন্তকে বরণ করে সম্পাদকীয়, সব কবিতাগুলি কি সুন্দর, কবিতাচূর্ণও। ভ্যালেন্টাইনস্ পড়িনি, সময় করে পড়বো।
                                ----------কবি ডরোথী দাশ বিশ্বাস 


২/ কল্লোল বাবুর ছবি অন্যভাবে ভাবায়। 
                           ----------কবি বিজয়াদিত্য চক্রবর্তী 


৩/ এই সংখ্যায় কল্লোল মজুমদারের ফটোগ্রাফ অসাধারণ বললে কম বলা হয়। শুধু বলতে পারি, গতানুগতিকতার বাইরে।

কল্লোলের ফটোগ্রাফ দেখতে হলে
মনের সঙ্গে মেধাও চাই।
                             -----------কবি নির্মল হালদার


৪/ অসাধারন। মিনিমাল ফটোগ্রাফিকে একটা অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। 
                            ---------আলোকচিত্রী অজয় মাহাত 


৫/এবারের ছবিগুলো বেশ অন্যরকম হয়েছে। খুব সুন্দর লাগলো।
             -----------আলোকচিত্রী শুভাশিস গুহ নিয়োগী 


৬/ সব মিলিয়ে অরন্ধনে যা রন্ধন হচ্ছে তা অতিব সুস্বাদু।
বাসনার সেরা বাসা রসনায় না বলে বলি বাসনার সেরা বাসা  চেতনায়
                          --------কবি ও প্রাবন্ধিক তপন পাত্র

৭/ সত্যি খুব ভালো লাগলো পত্রিকাটি । যদি যোগাযোগ পাই তো লেখা এখানে দিতে পারতাম । ব্লগের সম্পাদক ও তার সাথীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই ।
                                        ----------সোনালী সকাল 


৮/ আপনার কয়েকদিনের এতো ব্যস্ততার মাঝেও পত্রিকাটি হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন....
                                        -----------কবি সুজন পণ্ডা 


৯/ একটি অনন্য রুচিশীল পত্রিকা। খুবই সুখপাঠ্য।
                              ----------কবি উৎপল চট্টোপাধ্যায় 


১০/ ময়ূখ দত্ত র লেখা বেশ ভালো লাগলো। পল্লব গোস্বামী ও তোমার কবিতা আমার মন কেড়েছে
                                -----------কবি অমিত মণ্ডল 

________________________________________
                                       আমাদের বই








              আমাদের আমন্ত্রণ 








সম্পাদক : উত্তম মাহাত
সহায়তা : অনিকেতের বন্ধুরা
অলঙ্করণ : মুক্তা গুপ্তার পেন্টিং, আন্তর্জাল
যোগাযোগ : হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৯৩২৫০৫৭৮০
ইমেইল - uttamklp@gmail.com




মন্তব্যসমূহ

  1. ভালো লাগলো । তাছাড়া সম্পাদকীয়তে উত্তম মাত্র বলিষ্ঠ প্রতিবাদ সময়োপযোগী । শ্রীবৃদ্ধি কামনা করছি ।

    উত্তরমুছুন
  2. পল্লব ভট্টাচার্য অনন্ত২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ এ ৪:৪৪ PM

    ভীষণ সুন্দর সম্পাদকীয়।প্রতিটি লেখাই সুখপাঠ্য।পরের সংস্করণে র অপেক্ষায় রইলাম।

    উত্তরমুছুন
  3. সম্পাদকীয় এভাবেই চিন্তার যোগান দিয়ে যাক!! বিড়ুল কথাটা জানলাম... মেঘ অদিতির কবিতা খুব ভাল লাগল...অনেক শুভেচ্ছা এই প্রচেষ্টাকে...

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। সন্তোষ রাজগড়িয়া

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র শিল্প ।। মুকেশ কুমার মাহাত

পঞ্চম বর্ষ ।। তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ০২ অক্টোবর ২০২৪