তৃতীয় বর্ষ ।। দ্বাবিংশতি ওয়েব সংস্করণ ।। ২৯ মাঘ ১৪২৯ ।। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
শুধু ফুল না, ঝরা পাতা অথবা ঝরতে চলা পাতাও রঙ দিয়ে যায় বসন্তকে। রঙ দিয়ে যায় পাতাহীন হয়ে পড়া ডাল। তাই এত রঙিন এই বসন্ত। তারপর পলাশ শিমুল। দিগন্ত লাল করে তোলা তাদের আভা রঙিন করে তোলে মনকেও। সেই মন কেমন করা সময় এসে দাঁড়িয়েছে দুয়ারে। তাকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে আসবে কে?
কোনো আদিবাসীনির হাত ধরে কি মাঠে মাঠে পা ফেলবে সে? নাকি স্বেচ্ছায় দৌড়ে বেড়াবে নিজের মতো করে?
ঘটনা যাই হোক, আজ আমি পুলকিত। আজ আমি উচ্ছসিত। আজ আমি আনন্দিত। ঘরের দুয়ারে, ঘরের পিঁদাড়ে, তারই ছোঁয়া। তারই রঙ, তারই রূপ, তারই গন্ধে উদ্বেলিত মন থাকতে চায় তারই কাছে কাছে।
বসন্ত এসেছে তাই, বসন্তের রঙে তুমি বাসন্তী, গুটি গুটি পায়ে এগিয়েছো। আমার উঠোনে এসে ফেলবে বলে আলতা রাঙা পা।
উত্তম মাহাত, সম্পাদক
__________________________________________
যাঁদের লেখায় সমৃদ্ধ হলো এই সংস্করণ
__________________________________________
উৎপল চট্টোপাধ্যায় / হামিদুল ইসলাম / সুশান্ত সেন / সুপ্রিয় দেওঘরিয়া / সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় / ময়ূখ দত্ত / কল্পোত্তম
__________________________________________
উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
১.
যে স্বপ্নকে তুমি
যে স্বপ্নকে তুমি দ্বিচারিতা বল
আমি তার পোশাক ছিঁড়ে দেখেছি
আন্দোলনের মাটি
ছিন্নভিন্ন আলোর অসহায় যৌবন ঘিরে
একটি সুষুপ্ত ভ্রূণের নিঃশব্দ সঞ্চার
এমন আগ্নেয় উত্তাপে সর্বাধিক পীড়ন
জ্বলন্ত আগুন শিখার ভারহীন শূন্যতা ছুঁয়ে
আমি দেখেছি তার রাজকীয় চৌকশ
বিচ্ছুরিত আলোর ক্ষুধার্ত মুখে জল
বিপ্লবের পরিমিত অধ্যায়ের স্বপ্নীল আবেশ জুড়ে
আরো একটি বিনিদ্র রাত
আরো আরো দুর্বার ভস্মের ধোঁয়া
জ্বালা ধরা চোখের সিক্ত ফোঁটায় ভিজে আগুন
যজ্ঞের ঘি গড়িয়ে
ঘরময় এখন কেমন বারুদ বারুদ গন্ধ
২.
বয়স বাড়লে
বয়স বাড়লে
রুপোলি চুল
ছোট হয়ে যাওয়া আয়ুটির নীল চোখে মেঘ
বয়স বাড়লে
গাঁটে বাত
অসহায় নিরস্ত্র চোখে শুধু মরনের খোঁজ
বয়স বাড়লে
লোভ হয়
রোগের জোগাড়
বন্ধ চোখে ঘুমন্ত শৈশব
বয়স বাড়লে
আমিই ধৃতরাষ্ট্র
প্রত্যাশার বিষ মেশানো জলে শত পুত্রশোক
বয়স বাড়লে
সমস্ত নীল
কালো হতে হতে শেষ পাতায় ধরা দেয় সহস্র জীবন
বেঁধে বেঁধে থাকি
হামিদুল ইসলাম
কালের স্রোতে গড়িয়ে পড়ছে সময়
এসো হাত ধরি
নাবাল জমিনে পুঁতে রাখি কবিতার বীজ
এসো বেঁধে বেঁধে থাকি তুমি আমি
এসো বেঁধে বেঁধে থাকি পরস্পর আমরা সবাই।।
দক্ষিণে এলোমেলো হাওয়া
ঈশানে ঝড়
ভেঙে পড়ছে তৃষার্ত মরুভুমি। সজানো বানসাই।।
ঝড় আমাদের বুকে
ঝড় আমাদের চোখে
চারদিকে রাতের গাঢ় অন্ধকার
অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে হৃদয়। আলোর ঠিকানা।।
এই তো সময়
এসো চিনে নিই কে আপন কে পর
এসো আমরা বেঁধে বেঁধে থাকি
আমরা সবাইকে করে নিই আপন। আপন হয়ে ওঠে পান্থজন।।
প্রেমিক
সুশান্ত সেন
আমার প্রেমিক হবে তুমি , তোমার প্রেমিক হব আমি
এই রকম এক শতসিদ্ধ ধারণার বশবর্তী হয়ে পাস কাটিয়ে চলে গেলাম সন্ধ্যার কাছে,
তখন শালিক পাখি দুটো এ ওর সাথে ডানা ঝাপটানো করতে করতে এক ধুলো মাখা বিকেলের জন্ম দিচ্ছে।
কি খুঁজতে গিয়ে কি খুঁজে মরছি এ ত জানা সহজ নয়
সহজ নয় মোটেই এক চুমুকে পুরো একটা বোতলের পানীয় মেরে দেওয়া।
এমত অবস্থায় না হয় মেনে নেওয়া গেল আমার প্রেমিক হবে তুমি , আর তোমার প্রেমিক হব আমি।
পুকুরের জল ত সব শুকিয়ে যাচ্ছে।
সুপ্রিয় দেওঘরিয়ার কবিতা
অপত্য ৪৮
একটি ছেলে দৌড়য়, মনে হয় আমিই
একটি ছেলে বায়না করে, মনে হয় আমিই
একটি ছেলে আমার মধ্যে আরেক আমি
নিয়ে আসে, আমি ফিরে যাই পুরনো দিনে
সব কিছুতেই কী অসম্ভব মিল নিয়ে আসে
মনে হয় আরেক জন্মের কাছে রেখেছি
আমার দিন যাপনের অক্ষর।
অপত্য ৪৯
সে কোনো বারণ শোনে না
অবাধ্য তার গতি
সদ্যজাত দুরন্ত গোবালকের মতো
তার স্পন্দনে আমার মনোভূমি কেঁপে ওঠে
তাকে বেঁধে রাখি না কোনো অছিলায়
তার স্বতস্ফূর্ত উড়ানে
আমি মুক্ত আকাশ
সূর্যের আলোয় চাঁদের জোছনায়
পেতেছি স্নেহের চাদর
শিশির স্বচ্ছতায় বিছিয়ে আছে
তার নিষ্পাপ সাম্রাজ্য
একগুচ্ছ চূর্ণ কবিতা
পল্লব গোস্বামী
১.
একতারা
একা মানুষ, একটি তারা
আর একলা, অনেকদিন
স্নান সেরে, শালুতেই গা মুছি
একাকী ঈশ্বর
২.
দোতারা
সহসা ফিরে যাই
যদিও, ফেরা অফুরান
সবই তো আদ্যানদী
আগুন আর জল,
জল আর আগুন সকল
৩.
সরোদ
সরোদও নেবে না আমাকে
এতটাই অশান্ত আমি
শান্তির ঘরে, ঘুমিয়ে পড়ে শান্তির-বৌ
আমি শুধু একা একা,
ঝংকারে ঝিকমিক
৪.
সারেঙ্গী
স্বর আছে, সার নেই
সারেঙ্গীসাধক নিয়ে গেছেন সারাবেলা
অবেলায় আহির ভৈরব
কালবেলায় হেঁটে যান,
কালো কৃষক আমার
৫.
সেতার
সে, তার নয়
তারও হয়নি সে, কোনোদিন
তবু তিনটি মানুষ এ ওর কথা ভাবে
তবু তিনটি মানুষ, এ ওর কথা ভেবে
কাঁদে
৬.
সানাই
পরীরা তাকে চুরি করে নিয়ে গেছে
চোরকে আমি খুঁজতে যাই,
মিষ্টির দোকান
দোকানে দোদুল্যমান,
মায়াকাজল
দোকানে দোদুল্যমান,
কেউটে সানাই
৭.
বাঁশি
রাধার বাঁশিটি, যদি তুমি হও
আমি, তবে হই বাঁশের বাহার
বসে বসে বিকেল কাটে
শীত ঢাকে,
শৌর্য খামার
৮.
বেহালা
হলকর্ষণ শুরু হয়ে গেলে
বেহাল রাস্তায়, বনানীর চারা ফোটে
তুমিও ফোটো,
আমার সমস্ত ব্যথা জুড়ে—
বেবাক বুদ্ধজুঁই
৯.
ভায়োলিন
ভয় হয়,
যদি একদিন মরে যাই
মরে যাই, অনন্ত ভয়ের ভেতর—
সেদিনও কি তুমি, ম্যাপল পাতার কথা ভাবো?
ভেবে ভেবে ঘুমাও, জেন গল্পের মায়ায়?
সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
বিষণ্ণ দূরের সন্ধ্যা
১.
মধু শ্যামলা কিশোরীর বুক থেকে বালিহাঁস উড়ে যায় জলের নিকট। কুয়াশার ভেতর হাত ডুবিয়ে বসে থাকে যে যুবক অকারণ, তার চোখে বেজে ওঠে বিষণ্ণ দূরের সন্ধ্যা। এভাবেই এক একটা শীতের পুকুর যুবতি হয়ে ওঠে। সামান্য হাওয়ায় কেঁপে ওঠে রাহেড় ক্ষেতের ছায়া।
অনিশ্চিত ফসলের দিন। বয়সের পাহারা পেরোতে পেরোতে পথে পথে ধুলো উড়ে খুব।
২.
আবছা হয়ে আসা আলোয় নিমফল কুড়াতে এসেছে সদ্য কিশোরী। কটু হাওয়া এভাবে দেখেনি কখনো আগে। ধুলোওড়া রাস্তায় শেষ বাস ফিরে যায় নির্জন মফস্বলে। দু একটা উদাস জানালা শুধু উঁকি মেরে দেখে _নিভে আসা পুকুরের চোখে অস্তমিত আলো।
নিমফলের মতো দুটি হলুদ চোখে হাত পা গুটিয়ে শুয়ে আছে সন্ধ্যার আঁকবাঁক।
শিকার - ৩৪
কল্পোত্তম
তোমাকে দগ্ধ করতে করতে
দগ্ধ হচ্ছি নিজেও
তোমাকে মগ্ন করতে করতে
মগ্ন হচ্ছি নিজেও
তোমার অস্ত্রাগার লুন্ঠনের
যত না প্রয়াস আমার
তার থেকে ঢের আগ্ৰহী তুমি
লুন্ঠিত দেখতে, তাই
হাটখোলা দরজার ফাঁকে
পরিলক্ষিত বোম
ছড়ায় বারুদ গন্ধ।
অস্ত্রাগার লুন্ঠন
ঝুঁকিহীন হয় না কখনো।
গল্পবাসা
ময়ূখ দত্ত
ভ্যালেন্টাইন দিবস : প্রেমের ত্রিধারা...
এপিসোড - ২ : মধ্যগগন
চারবছর বিয়ে ও এক সন্তানের পরে ডিভোর্স, ব্যাপারটা মেনে নিতে প্রথম দিকে সুচেতনার বেশ ঝামেলা হচ্ছিল। যদিও আজকালকার "মুভ অন" সংস্কৃতির প্রথা মেনে ও আর সুজয় - দুজনেই ঠিক করে নিয়েছিল যে সংসারে থেকে প্রতিদিনের এই ঝগড়াঝাটি করে থাকার কোনো মানে হয় না, তার থেকে মিউচ্যুয়াল ডিভোর্স নিয়ে সারা জীবনের জন্য ভাল 'বন্ধু' হয়ে দুজনের আলাদা পথ বেছে নেওয়াই ভাল!! বলিউড আদর্শ আমীর খান - কিরন রাও আর ঋত্বিক রোশোন - সুজান খানের মতই দুজনে এও ঠিক করে নিয়েছে যে একমাত্র ছেলেকে দুজনে মিলেমিশেই মানুষ করবে, যাতে বাবা-মায়ের অভাব সে কোনোদিন অনুভব করতে না পারে...সেই হিসেবেই সপ্তাহে দুদিন সুজয় ছেলেকে নিজের কাছে নিয়ে যায়, দুজনে খুব আনন্দ করে। মোটামুটি সবই ঠিকঠাক চলছিল এভাবে, শুধু স্কুলের চাকরীর হাড়ভাঙা কাজের শেষে বাড়ি ফিরে আজকাল একটা সঙ্গীর অভাব মাঝে মাঝেই ফিল করে বছর তিরিশের সুচেতনা।
ব্যাপার টা আরো বেশী করে উস্কে দিচ্ছিল পেপারে, রাস্তায় এত এত ভ্যালেন্টাইন্স ডে র বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে। আর দুসপ্তাহ বাকি আছে, তাই চারদিকে এত কিছু আয়োজন... আর এত বছর পরে এবারেই সুচেতনার কোনো সঙ্গী নেই... বাবা-মা অনেকবার করে বলেছে আবার বিয়ে করার জন্য, কিন্তু সুজয়ের সাথে ডিভোর্সের পরে এখনো নিজেকে আবার একটা নতুন রিলেশানের জন্য কেমন যেন 'অপ্রস্তুত' মনে হয়!!
সেদিন অফিসের এক কলীগ একটা app র কথা বলল, যেটা নাকি শুধুমাত্র ডিভোর্সীদের জন্যই বানানো, বিবাহিত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী সঙ্গী খুঁজে নিতে নাকি সাহায্য করে। ওরা নাকি কারুর ছবি লোড করে না, শুধু ফোন নাম্বার আর প্রোফাইল সেভ করে রাখা থাকে। কে কি ভালবাসে, পছন্দ বা অপছন্দ কেমন ইত্যাদি.. সাথে বিভিন্ন অনুভুতি যেমন রাগ, ভালবাসা, অভিমান ইত্যাদি কে বিভিন্ন মাত্রায় স্কেলিং করে রাখা হয় বিভিন্ন পার্সোনাল প্রশ্নের মাধ্যমে। এসব দেখে নাকি ডিভোর্সীরা বোঝে যে কার সাথে কতটা মিল পাওয়া যাচ্ছে... সুচেতনার এই সব app খুব একটা ভাল লাগে না, ছোটোবেলায় টিন্ডার এর কিছু বাজে অভিজ্ঞতা আছে ওর, তাই ওসব থেকে একটু দূরেই থাকে। তবু মনটা কেমন কেমন করছিল, ভ্যালেন্সটাইন ডে তে পাশে কোনো সঙ্গী থাকবে না? কেউ একটা রোম্যান্টিক ডিনারে নিয়ে যাবে না? একটা নতুন লাল ড্রেস কি এবারে আর কেনা হবে না? অনেক ভেবে, সকালে অফিসে বেরোনোর আগে app টা তে রেজিস্ট্রেশান করে প্রোফাইল দেখে তিনজন ছেলের ফোন নাম্বার একটা কাগজে নোট করে সামনের ঘরের টেবিলে পেপার ওয়েট দিয়ে রাখল। রাতে এক এক করে ফোন করে দেখা যেতেই পারে!! অফিসে বেরোনোর আগে কাজের মাসীকে বলে গেল "মাসী, আজ সুজয় আসবে, বাবানকে দুদিনের জন্য নিয়ে যেতে, ওর জামা কাপড় প্যাক করে দিও!!"
অফিস থেকে ফেরার পথে পার্কের পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চারদিকে প্রেমিক-প্রেমিকাদের গুঞ্জনে আবার মনে পড়ে গেল দুদিন বাদেই ভ্যালেনটাইন দিবস... মনের ব্যাথাটা আবার চাগাড় দিল... বাড়ি ফিরেই ওই তিনজন কে ফোন করে দেখতে হবে, কেউ কি ওর সাথে এত কম সময়ে ডেটে যেতে রাজী হবে?
ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে সুচেতনা দেখল বাবানকে সুজয় দুদিনের জন্য নিয়ে গেছে। তারপরে সোফায় বসতে বসতে টেবিলের ওপরে রাখা কাগজের চিরকূটটাতে নজর পড়ল। সকালে নিজের হাতে লিখে রাখা তিনটে ফোন নম্বরের নীচে সুজয়ের হাতের লেখা - " প্রথম নাম্বারের মানুষটা ব্যাবসায়ী, আমি সিওর যে তোমার টেস্টের সাথে মিশ খাবে না, দ্বিতীয় নম্বরের মানুষটা খারাপ নয়, আমি চেক করেছি ব্যাকগ্রাউন্ড, আমার থেকে বেশী সহনশীল হয়ে তোমাকে সামলে রাখতে পারবে কিনা জানি না, আমার থেকে বেশী ভালবাসতে পারবে কিনা সেটাও আমার জানা নেই, তবে চেষ্টা করতে পারো... আর তিন নম্বরের মানুষটাকে ফোন করে সময় নষ্ট করো না, কারন ওটা আমারই আরেকটা নতুন ফোন নম্বর আর নতুন নামে আমি ওই app টাতে রেজিস্ট্রেশান করেছিলাম, আমিও তোমার মতই সঙ্গীর অভাব বোধ করছি এই ভ্যালেন্টাইন ডে র সময়ে...কাউকে জোটাতে না পারলে, আমাকে মেসেজ করো, ফ্রি থাকলে দেখা হতে পারে!!"
একটা ছোট্ট হাসির ঝিলিক খেলে গেল সুচেতনার মুখের কোনে, সারাদিনের ক্লান্তি চলে গেল, হাত বাড়িয়ে ফোন টা হাতে নিল.....
_______________________________
__________________________________________
গত ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বইমেলার প্রেস কর্ণারে ঐহিক সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হল কবি নির্মল হালদারকে। নির্মল হালদার পুরুলিয়ার ভূমিপুত্র। প্রান্তে তার বসবাস। রাজধানী কেন্দ্রিকতার বাইরে বসবাস করেও তিনি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন্দ্রেই রয়ে গেছেন, অগণিত পাঠক, অগ্রজ অনুজ সকল বন্ধুর হৃদয় কেন্দ্রে তার বসবাস।
নির্মল হালদারকে সম্মাননা প্রদান করেন মৃদুল দাশগুপ্ত, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কালীকৃষ্ণ গুহ।
সেই অনুষ্ঠানের ছবি দেখুন এখানে।
_______________________________
__________________________________________
গত ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বইমেলার প্রেসকর্ণারে ঐহিক তপতী চ্যাটার্জী সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হল (কল্পোত্তম) উত্তম মাহাতকে (অরন্ধন ওয়েব সংস্করণের সম্পাদক)। সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে যাঁরা শিল্প সাহিত্যের জগতে আগামীদিনে স্থান করে নেবেন রঙ আর আখরের জগতে উত্তম (কল্পোত্তম) তাঁদের সার্থক অনুপ্রেরণা।
সম্মাননা প্রদান করলেন প্রবুদ্ধ মিত্র, রাণা রায়চৌধুরী ও কালীকৃষ্ণ গুহ।
সেই অনুষ্ঠানের ছবি দেখুন এখানে।
_______________________________
_______________________________
__________________________________________
আগের সংস্করণের পাঠ প্রতিক্রিয়া
__________________________________________
১/ অভিজিৎ দার ছবিগুলো খুব দারুন দারুন-----কবি রামকৃষ্ণ মাহাত
২/ বহুদিন পর অরন্ধনে বেশ ভালো কবিতা পেলাম।
কবি দুর্গা দত্ত।
ভাবের ঐশ্বর্য ও ভাষার জাদুকরী ছোঁয়া, শব্দের মায়াবী চলন, শব্দার্থ ডিঙিয়ে শব্দের ভাববিস্তার যাকে আমি suggestiveness বলি, অর্থাৎ ইশারাধর্ম --সভ মিলিয়ে আমাকে মুগ্ধ করেছে,ভাই উত্তম।
এই কবিকে ভালোবাসা জানাই।
**সম্পাদকীয় বেশ বলিষ্ঠ,আত্মদর্শনের কথা, সত্যবাদী আয়নায় নিজের মুখ দেখার কথা বেশ জোরালো।
বাকি পরে পড়ব।
ভালোবাসা।
--------কবি পঙ্কজ মান্না
৩/ শিল্পীর এখনের ও আগের ছবি গুলো সবই সুন্দর মন কাড়া ---------সীমা মাহাত
৪/ চমৎকার আয়োজন! একরাশ ভালো লাগা! --------কবি হাবিবুর রহমান এনার
৫/ পড়লাম তোমার সম্পাদকীয়। সরকারের মানুষ-মারার পক্ষে সাফাই গাইতে শ্রমিক-কর্মচারীদের ফাঁকিবাজ ধান্দাবাজ বলে গালি দেওয়ার সহজ পথটা বেছে নিয়েছ। সরকার তোমার মঙ্গল করুন! ---------বিশ্ব চট্টোপাধ্যায়
৬/ অসাধারণ ছবি ও কবিতা। দুর্গা দত্ত অনবদ্য। আপনার কবিতার বই কি বইমেলায় পাওয়া যাবে ----------কবি অমিত মণ্ডল
৭/ এই সংখ্যায় ময়ূখ দত্ত চমৎকার।
প্রবাসে থেকেও তার বাংলা ভাষার চর্চা আমাকে মুগ্ধ করে।
দুর্গা দত্ত, সুজন পণ্ডার কবিতাও ভালো লাগলো।
অভিজিৎ মাজীর ফটোগ্রাফি দেখে একটা কথাই মনে এলো, পুরুলিয়া আজও সুন্দরী। আশঙ্কাও করি, এই সুন্দরী পুরুলিয়া আগামী দিনে যদি নষ্ট হয়ে যায়, আমরা পুরুলিয়াবাসী কষ্ট পাবো।
উত্তম, জোর কদমে এগিয়ে চল।
---------কবি নির্মল হালদার
৮/ 'অরন্ধন' আমার কাছে এমন এক রন্ধন উৎসব যেখানে মন-রসনা বিভিন্ন্ স্বাদের সঙ্গে পরিচিত হই।
---------কবি গাফফার আনসারি
৯/ খুব ভাল পত্রিকা হয়েছে, খুব ঝকঝকে!! স্মার্ট!!
ইলাস্ট্রেশান গুলো কি কারুর আঁকা? নাম দেখতে পেলাম না, নাকি আমি মিস করে গেছি?
ভাল থাকবেন!!
আমি আমার বন্ধু মহলে শেয়ার করছি!!
---------ময়ূখ দত্ত
১০/ ছবিগুলো ভালো লাগলো ----------আলোকচিত্রী শুভাশিস গুহ নিয়োগী
১১/ ভীষণ প্রাসঙ্গিক সম্পাদকীয়। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্তব্যে অবহেলাই দিনে দিনে প্রাইভেটাইজেশনের দিকে সব সংস্থাকে ঠেলে দিচ্ছে।
সবকটি লেখাই ভালো লাগলো। কবি দুর্গা দত্তের কবিতা গুচ্ছ এবং ময়ূখ দত্তের প্রবন্ধ বিশেষ ভাবে ভালো লাগলো।
অভিজিৎ মাজীর প্রকৃতি সংক্রান্ত আলোকচিত্রগুলি অসাধারণ। --------কবি সুনৃতা রায়চৌধুরী
__________________________________________
আমাদের বই
সম্পাদক : উত্তম মাহাত
সহায়তা : অনিকেতের বন্ধুরা
অলঙ্করণ : পাবলো পিকাসোর পেন্টিং, আন্তর্জাল থেকে
যোগাযোগ : হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৯৩২৫০৫৭৮০
ইমেইল - uttamklp@gmail.com
সত্যি খুব ভালো লাগলো পত্রিকাটি । যদি যোগাযোগ পাই তো লেখা এখানে দিতে পারতাম । ব্লগের সম্পাদক ও তার সাথীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই ।
উত্তরমুছুন৯৯৩২৫০৫৭৮০ এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
মুছুননাম্বার পত্রিকার শেষে দেওয়া রয়েছে।
ভালো থাকুন আপনি।
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন