ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। সন্দীপ কুমার















































নটী বিনোদিনীর অভিনয় দেখে রামকৃষ্ণদেব স্বয়ং বাইট দিচ্ছেন, এটা যদি আমরা কোন আর্কাইভে দেখতে পেতাম! কিংবা গিরিশচন্দ্র মদ্যপ অবস্থায় রামকৃষ্ণদেবের পদতলে পড়ে আছেন, এই মুহূর্তের স্টিল ছবি যদি থাকত! আলোকচিত্রী পরিমল গোস্বামীর তোলা শিশির কুমার ভাদুড়ীর কিছু ছবি আমরা দেখতে পাই। গিরিশচন্দ্র ঘোষের মুখের অভিব্যক্তির ছবি এক সময়ে একটা পুস্তকে মুদ্রিত হয়েছিল। আলোকচিত্রীর নাম অজানা। আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষ সেই সময়ে ধারাবাহিকভাবে শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্র, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপল দত্তের অভিনীত বহু নাটকের ছবি তুলেছিলেন। এরপর যাঁদের নাম উল্লেখ করার মতো তাঁরা হলেন প্রণব বসু ও পশুপতি রুদ্র পাল।
             একটা নাটক যতবার অভিনীত হয় ততবারই অভিনেতা ও দর্শককে হাজির হতে হয়। তাহলে এখানে ক্যামেরার ভূমিকা কী? এই সময়ে দাঁড়িয়ে মনুষ্য জাতির সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ক্যামেরা। একটা নাটক কীভাবে তৈরি হয়, তা অনেক দর্শকেরই অজানা। নাটকের সবকিছুই পূর্বনির্ধারিত। সংলাপ, আলো, মুভমেন্ট; সবকিছুই পরিচালকের আগে থেকে দেওয়া নির্দেশ মতো ঘটে। কিছু কিছু নাটক শুরুর আগে অভিনেতার মেকাপ করতে এক ঘন্টারও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। সিনেমার লবি কার্ডের মতো নাটক শুরু হবার আগে নাটকের দর্শকেরা স্টিল ছবিগুলো মনোযোগ সহকারে দেখেন। যদিও সিনেমার লবি কার্ডের ব্যাপারটা এখন প্রায় উঠেই গেছে। কোনো একটা মুহূর্ত ইতিহাসের পাতায় যখন স্থান পায় তখন কলমের থেকে ক্যামেরার ওপর মানুষ ভরসা করে বেশি। সেই জন্যেই বোধহয় অপু, বিভূতিভূষণের কলমে যত না বেশি জীবন্ত, সত্যজিতের সিনেমায় তার থেকে বেশি জীবন্ত!
             তাই নাটকের ছবি আর ছবির নাটকীয়তা, একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কখন যেন আমাদের মস্তিষ্কে অজস্র সৌন্দর্যের জাল বুনে দেয়। একটা ছবি যদি হাজার শব্দের সমান, একটা নাটকের ছবিও তেমন পুরো নাটকের গল্প বলে দেয়।



আলোকচিত্র শিল্পী সন্দীপ কুমার 






মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। সন্তোষ রাজগড়িয়া

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র শিল্প ।। মুকেশ কুমার মাহাত

পঞ্চম বর্ষ ।। তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ০২ অক্টোবর ২০২৪