চতুর্থ বর্ষ ।। পঞ্চম ওয়েব সংস্করণ ।। ৩ আষাঢ় ১৪৩০ ।। ১৯ জুন ২০২৩
ভোট আসে ভোট যায়। বিষিয়ে দিয়ে যায় পরিবেশ। বিষিয়ে দিয়ে যায় সম্পর্ক। মানুষের সাথে মানুষের স্বাভাবিক সম্পর্কগুলোকে স্তব্ধ করে দিয়ে যায় বেশ কিছুদিনের জন্য। তারপর আবার সেই। পেটের জোগাড়ে লেগে পড়া। একজনের সঙ্গে আরেকজনের গলাগলি। সময় বাধ্য করে।
আমরা সাধারণ মানুষেরা একটা বিষয় বুঝে উঠতে অসমর্থ, ভোটও পেটের জোগাড়েরই এক মাধ্যম। এই মাধ্যমে আমাদেরকে উত্যক্ত করে নাচিয়ে-কুঁদিয়ে ৫ বছরের জন্য পেটের জোগাড় করে নেয় স্বার্থান্বেষীরা। তারপর গায়েব হয়ে যায় গাঁ গঞ্জ থেকে। আমাদের পেটের জোগাড়ের মাধ্যম তৈরি করে না তারা। বরং সেই মাধ্যমগুলোকে ভেঙ্গে চুরে আরো বেশি করে হাভাতে করে তোলে আমাদের। যাতে করে স্বাবলম্বী হয়ে না উঠি আমরা। যাতে করে পাঁচ বছর পর আবার অনায়াসে হাতে ধরানো যায় তাদের নির্ধারিত পতাকা।
এক প্লেট খিচুড়ি দিয়ে শিক্ষা চুরি করে এরা। চুরি করে আমাদের ভবিষ্যৎ। চুরি করে আমাদের প্রগতি। চুরি করে আমাদের পরিবেশ। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পতাকা উত্তোলনকারী আজ্ঞাবাহী করে তোলার জন্য দপ্তরে দপ্তরে গভীর গবেষণায় নিযুক্ত রাখে নিজেদের। আর আমাদের রোজগারের সমস্ত কর্মপদ্ধতি বন্ধ করে দিয়ে ছড়িয়ে দিতে থাকে মাসে ৫০০, মাসে ১০০০ টাকা। এই ছড়ানো অংকগুলোকে ৩০ দিয়ে ভাগ করলে প্রতিদিন যা দাঁড়ায় তা দিয়ে প্রতিদিনের চাহিদা তো দূরের কথা, সকাল বেলার মুখ ধোওয়ার জোগাড়টাও হয়ে ওঠে না। তারপরও ভাবতে হবে, কেন পাল্টাবে না রঙ? কেন পাল্টাবে না দল, সাধারণ মানুষ?
যে দেশে হাজার হাজার মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে এক মুহূর্তে বেচে দেয় স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক নেতারা। এক দলে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়ে চলে যায় অন্য দলে। সেই দেশে এক পতাকার ছায়ায় দাঁড়িয়ে অন্য পতাকাকে ভোট দেওয়া শিখতে হবে মানুষকে। শিখতে হবে, একদলের কাছে টাকা নিয়ে অন্য দলকে ভোট দিতেও। তাহলেই প্রমাণ হবে একদিন, ভোট ক্রয় যোগ্য নয়। ভোটাধিকার একান্তই ব্যক্তিগত অধিকার।
উত্তম মাহাত, সম্পাদক
______________________________________________
যাঁদের লেখায় সমৃদ্ধ হলো এই সংস্করণ
______________________________________________
অনিমেষ মণ্ডল / সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় / দেবাশীষ সরখেল / অঙ্কন রায় / সুদীপ্ত আচার্য / ময়ূখ দত্ত
______________________________________________
অনিমেষ মণ্ডলের কবিতা
১.
বেশি দূর নয়
একে একে পেরিয়ে যাচ্ছি
আমাদের স্বরচিত কুরুক্ষেত্র
পেরিয়ে যাচ্ছি মৃতপ্রায় হস্তিনানগর
শ্মশানের অনন্ত ক্রন্দন ছাপিয়ে
ভেসে আসছে মহামতি লালনের গান
জ্যোৎস্নায় একা একা ধ্যানমগ্ন মহানিম
কাঞ্চনধানের মাঠ... অপার আশ্রয়
এইসব দেখতে দেখতে দিগন্ত যতদূর
ততদূর আমাদের গতজন্ম নয়
২.
চলাচল
একটা ভয়ঙ্কর প্রকাশ
হয়ত এখনই ঘটবে কোথাও
হয়ত-বা ভূমণ্ডল ছিঁড়ে খুঁড়ে
জন্ম নেবে শতাধিক গ্রাম
সেইখানে আমাদের ছোট ছোট বসতি
বহুদূরে চাঁদ উঠবে অবিকল সূর্যের মতো
তারপর বিশাল আকাশ জুড়ে সমর্পিত মেঘ
আধখোলা দরজায় ঠেস দিয়ে কে যেন দাড়িয়ে
একে একে চলে যায় কত নরনারী...
আমি কি তাদেরই কেউ
নাকি এক চিরন্তন মানবের ঢেউ
৩.
ঐশ্বরিক
সূর্যাস্তের নরম আভা এসে পড়ছে
আমাদের জাগতিক চাওয়া পাওয়ার উপর
এত নীরবে তারা ঘুমিয়ে আছে
যে শ্বাসবায়ুর চলাচল ছাড়া
আর কোনও গহন শব্দ নেই
এই প্রগাঢ় ঘুমের ভিতর
আমাদের সন্ন্যাস অতীব প্রশান্ত
ওকে ডেকে সবকিছু তছনছ কোরো না
তাহলে আগুনের লেলিহান শিখাগুলি
নৈঋত থেকে এসে
গ্রাস করবে ভূমধ্য চরাচর
ঈশ্বর যে আত্মজাগরণ ছাড়া আর অন্য কিছু নয়
একথা তখন অনেকেরই স্মরণ থাকে না
বাঁধন
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
আমিই কি ভেবেছি তোমায়?
তুমি কি আমায় ভাবোনি?
ভুলে গেলে শুরু কবে শেষে
মধুমাস রুগ্ন হয়ে এলে,
এসেছিলে ভালোবাসা বেশে।
চিঠি সম্বোধন ফেলে গেলে।
আমিই কি বেঁধেছি তোমায়?
তুমি কি বাঁধন ভাঙোনি?
পথশ্রান্ত ঘুমিয়ে পড়ে চলা।
চলাশ্রান্ত মন্দগতি পা।
কথাশ্রান্ত হারিয়ে যায় বলা।
ক্ষুধাশ্রান্ত বন্ধ হলো হাঁ।
আমিই কি সেধেছি তোমায়?
তুমি কি আমায় সাধোনি?
মরে গেছে ক্রোধব্যাধি অগ্নি।
প্রেমাতুর বহিয়াছি লাশ।
সাধের বাজারে যতো লগ্নী
তোমার সমীপে বারোমাস।
তুমি শুধু কেঁদেছো আমায়?
আমি কি তোমায় কাঁদিনি?
জব্বলপুর
দেবাশীষ সরখেল
যোগিনী দেখেছো তুমি
চোখে চোখে কামনার ফণা।
ম্যাজিক রক, ব্যালেন্স রক, দেখে বুঝবে
মানব পদবীধারী সব শূন্যে ঝুলে থাকে।
সজীব বস্তুপিণ্ড কোন অলীক কল্পনা নয়।
কামনা বাসনা সকল সাঙ্গ হয়
সেই রাঙা সিন্ধুজলে রকমারি প্রস্তরের মেলা।
কবেকার ভাঙাচোরা হিরণ্য পাথর নয়,
ঝলমলে আদিম চিহ্ন মাখা নবীনতা ।
অনেক দূরের পাথর থেকে
বাড়ন্ত কিশোর ম্যাজিক দেখায়,
ঝাঁপ দেয় নদী জলে।
জীবিকা কুড়ায়।
জলে কল্পতরু রকমারি জীবন কাহিনী
নটে গাছ ফুরিয়ে গেলেও
জীবনের গল্প থামে না কখনো।
জব্বলপুরে নর্মদায় জলকেলি শেষে
আবার ছুটতে থাকে ভ্রমণের বাস।
এক জীবন গীতবিতান একুশ
জাগ' সঙ্গীত
অঙ্কন রায়
এখন আকাশে দু'য়েক টুকরো মেঘ
ইতিউতি ভাসে, তপ্ত সকালবেলা,
আকুল দু'চোখ জানলায় চেয়ে থাকে
মন বলে চলো ভাসাই মেঘের ভেলা।
সে ভেলায় চেপে আরও আরও মেঘেদের
ডেকে নিয়ে এসে আকাশটা ঘিরে ধরি,
কিছু পরে ঝরঝরঝর বৃষ্টিতে
ভাসিয়ে বেড়াই মন-পবনের তরী।
সেই তরী বেয়ে বৃষ্টিকে সই করে
ভুবনডাঙায় গা'ব বর্ষার গান।
প্রকৃতিও দুলে উঠে বলবেই দেখো--
জাগ' সঙ্গীত, সুরেতে ডাকুক বান।।
গোধূলি
সুদীপ্ত আচার্য
দিগন্ত ছুঁয়েছে সামনের মাঠ।
উষ্ণতা খুঁজে চলে আলো আঁধার।
তাল খেজুরের ছায়ায় নিস্তব্ধতা।
উনুনের ধোঁয়া দেখা যায়, দূরে।
মোড়ের দোকানে হ্যারিকেন জ্বলে ওঠে
চায়ের চুমুকে সান্ধ্য আড্ডায়।
"ডাইরির ছেঁড়া পাতা"
ময়ূখ দত্ত
কলম্বাস...
পরবর্তীতে বিভিন্ন হিংসা ও ঔপনেশিকতা দোষে আরোপিত কলম্বাস নাকি এশিয়া বা ভারতে আসতে গিয়ে দিক ভুল করে আমেরিকা আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন!! তর্ক চলতেই থাকে, এরকম কত কত আমেরিকা রোজ আবিষ্কার হয় আমাদের এই পৃথিবীতে তার কোনো হিসেব থাকে না, কেননা সব ক'টা জায়গা তো আর আমেরিকার মত বৈভবশালী বা প্রভাবশালী হতে পারে না... তাই তার কোনো হিসেব কেউ রাখে না। একটা সময়ে আলজেরিয়ার ধূ ধূ প্রান্তরে, সভ্যতার যাবতীয় সীমানার বাইরে থাকা সাহারা মরুভূমির ভেতরে কাজের সূত্রে ঘুরতে ঘুরতে প্রায়শই আমার মনে হত যে আজ যে জায়গা দিয়ে আমি যাচ্ছি বা পা রাখছি, হয়তো এই নির্দিষ্ট স্থানে আমার পায়ের ছাপই ইতিহাসে প্রথম মানুষের ছাপ, এই নির্দিষ্ট জায়গাতে!! চাঁদে প্রথম মানুষ হিসেবে পা দেওয়ার সময়ে আর্মস্ট্রং বা এভারেস্টের শিখরে প্রথম পা রাখার সময়ে তেনজিং-হিলারীর কথা ভেবে আমার শরীরেও কেমন যেন একটা হালকা শিরশিরানি এসে যেত!! নিজেকে কলম্বাসের মতই মনে হত!! আচ্ছা, কলম্বাস যদি আমেরিকা আবিষ্কার না করে এই সাহারা মরুভূমিতে দিশা ভুলে হারিয়ে যেত, তবে আমরা কি তার নাম জানতাম? ভিয়েতনাম ঘুরতে গিয়ে "তোমার নাম, আমার নাম, ভিয়েতনাম.." বলে ছবি পোস্ট করা বা চে গুয়েভারার ছবিসহ টি-শার্ট পরে 'একটু অন্যরকম' হতে চাওয়া ছাড়া আজকে আমরা কতজন সাতের দশকের সেই উজ্জ্বল ছেলে-মেয়েগুলোকে মনে রেখেছি যারা স্বপ্নের আকাশে ডানা মেলেছিল এক আনন্দসুন্দর দিশার খোঁজে... পথ ভোলা ছেলে-মেয়েগুলোকে তাদের বাবা-মা ছাড়া আর কেউ মনে রাখি নি। কেননা তারা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আমাদের এই কর্কশ তপ্ত সাহারার বুকে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।
আচ্ছা, পাখিরা কি কোনোদিন পথ হারায়? শীতের সময়ে সাইবেরিয়া থেকে ভেসে আসা পাখিটা আবার ঠিক তার বাসায় ফিরে যায় গরমের সময়ে। যে ডানা মেলে গোটা আকাশ জয় করার জন্য, তার কাছে বাসা বলে কি আদৌ কিছু থাকে বা থাকতে পারে? আর বাসার অস্তিত্বই যদি না থাকে, পথ ভুল করার কোনো প্রশ্নই থাকে না... আমরা সবাই কোনো না কোনোদিন একটা পাখী হতে চাই, চার দেওয়ালের বাসায় ফিরতে চাই না, ডানা মেলে উড়তে চাই, থাকতে চাই মুক্তমনা!! তাই কি অনেক সময়ে সুন্দর করে দিক নির্দেশক থাকলেও আমাদের তৈরী করা কালো বিটুমেনের রাস্তাগুলো আমাদেরই ভুল রাস্তায় নিয়ে যায়? তখন কালো রাস্তায় সাদা কালিতে আঁকা তীরগুলো মাঝে মাঝে আমাদের দিকেই ধেয়ে আসে...আমরা বুঝি যে জীবন শুধু শাদা-কালো নয়...তা বলে কি জীবন থেমে যায়? কোনো সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো নয়, চলতে থাকাটাই নাকি জীবন... আজকে আমরা এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স আর ক্রমশঃ বেড়ে চলা যান্ত্রিক ক্রীতদাসত্বের বোঝা কাঁধে নিয়ে নুয়ে পড়া জীবনের ভারে আবার দিশেহারা, কিছুটা হলেও ভয়ার্ত... শান্ত, কম্পোজড, ম্যাচ্যিয়র্ড হয়ে ওঠাই যখন যুগের ধর্ম, কেমন যেন বারবার মনে পড়ে কত কত বইতে পড়া, সিনেমায় দেখা, গল্পে শোনা সেই প্রাণচঞ্চল, আবেগভরা ছেলে-মেয়েগুলোর কথা, সমাজ বিবর্তনের বিপরীত স্রোতে হেঁটে ফিরে দেখতে ইচ্ছে করে সেই সব দামাল দিনগুলো, কলম্বাসরা আসুক ফিরে, দিক ভুল করুক আবার, নতুন কোনো সীমানাহীন দেশের নাম জানুক সবাই, পাখীর মতই তারা ডানা মিলে জয় করুক সারা আকাশ, ক্লান্ত দিনের শেষে যেখানে তারা আশ্রয় নেবে, সেটাই হবে তাদের বাসা, প্রত্যন্ত সাহারার বুকে বা গভীর ছোটোনাগপুরের মালভূমির জঙ্গলে, বা কংক্রীট জঙ্গলের কোনো এক চূড়ায়.. আজকের এই শান্ত, মেপেঝুকে চলা আমাদের চারপাশে হোক কলরব!! নির্মল হালদার প্রায় এই রকমই একটি কথা বলতে চেয়েছিলেন -
"...আপাতত শান্তি কল্যানে ঢেকে আছে সারা দেশ,
এই শান্তি আমরা চাই না
আমরা ফিরে পেতে চাই সাতের দশকের ছেলেগুলিকে..."
______________________________________________
আগের সংস্করণের পাঠ প্রতিক্রিয়া
______________________________________________
১/ খুব ভাল লাগল ভাই... বিশেষত শেষের গদ্যরচনাটি... তোমরা কিছু দরকারী কথা বলছ, দরকারী কাজ করছ... যেন ক'রে যেতে পার' এভাবেই... ...
-------------কবি অনির্বাণ ধরিত্রীপুত্র
২/ পড়ি প্রায় নিয়মিতই।
এবারেও ভালো লাগল। আনন্দ হল।
------------ রামানুজ মুখোপাধ্যায়
৩/ ছবিগুলো অপূর্ব -------------অনন্যা
৪/ দুর্গা দত্ত ও বেণু মাহাত-র কবিতা পড়ে মন ভরে গেল, বারবার পড়লাম। কবিদের আমার অভিনন্দন ও নমস্কার। বাকি লেখাগুলোও বেশ।
তীর্থঙ্কর বাবুর ছবি অভিভূত করেছে আমাকে।
---------------বিজয়াদিত্য চক্রবর্তী
৫/ খুব ভালো, ছিমছাম হয়েছে পত্রিকা, ছবিগুলোও অপূর্ব।
--------------কবি অয়ন জোয়ারদার
৬/ অনেক গুলো ভালো কবিতা পড়লাম - মন ভরে গেল - আমিও দেব কবিতা -নিয়ম জানাবে ৷
--------------আভা চট্টরাজ
৭/ প্রতিটি সংখ্যা খুব ভালো হচ্ছে। কবিতাগুচ্ছ এত সুনির্বাচিত এবং স্বাতন্ত্র্যে উজ্জ্বল যে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিটি ছবি কথা বলে সমাজের, সময়ের।
-------------কবি অনিমেষ মণ্ডল
৮/ চমৎকার আয়োজন সুহৃদ! 🌺❤️ শুভ কামনা সতত!!
------------কবি হাবিবুর রহমান এনার
৯/ আশা করি ,সকলে ভালো আছেন। মিঃ ওঝার সব ছবিই অনবদ্য। তবে তারই মধ্যে দু-চারটে ছবি মনে দাগ কেটে যায়। কবিতাগুলোও অসাধারণ। সব থেকে ভাল লাগল বেণু মাহাতর কবিতা।
---------------কবি তনয় চক্রবর্তী
______________________________________________
আমাদের বই
সম্পাদক : উত্তম মাহাত
সহায়তা : অনিকেতের বন্ধুরা
অলঙ্করণ : সুপ্রিয় দেওঘরিয়া
যোগাযোগ : হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৯৩২৫০৫৭৮০
ইমেইল - uttamklp@gmail.com













সময়োপযোগী সম্পাদকীয় মনকে নাড়িয়ে দিল - বাস্তব কে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে - উত্তম ভাই '
উত্তরমুছুনঅরন্ধনের সব কবিতা এবং ছবি খুবই সুন্দর ৷
সুন্দর একটা সংখ্যা। খুব সুন্দর নির্বাচন।
উত্তরমুছুনময়ূখ দত্তের ডায়েরির ছেঁড়া পাতার কলম্বাসরা (আবেগভরা ছেলেমেয়েগুলো) ফিরে আসুক, দিক ভুল করুক বারবার..
যত বার পাঠিয়েছ পড়েছি। কত ছিমছাম, সুসজ্জিত একটি পত্রিকা। যেমন কবিতা তেমনি গদ্য সংগ্রহ। ছবির দিকটা তো আমাকে অভিভূত করে। আজকের এই অসংগঠিত জীবনের মাঝে সুসংগঠিত পত্রিকা কিভাবে করো ! তোমাকে কুর্নিশ।
উত্তরমুছুন<<< পার্থসারথি মহাপাত্র