নৈঃশব্দ এবং ‘এক ভূ-পর্যটকের দলিল’ বিষয়ে।
নৈঃশব্দ এবং ‘এক ভূ-পর্যটকের দলিল’ বিষয়ে।
মধুপর্ণা কর্মকার
“সমস্ত জায়গায় একটা নৈঃশব্দের ভূগোলের উপস্থিতি কাজ করে। যেখানে লুকিয়ে থাকে অসংখ্য ছোট-বড় উপাদান। বিশ্লেষণী চোখে বা গুরুত্বের বিচারে সেইসব উপাদানের ভূমিকাও যে অনস্বীকার্য। বাস্তবের মাটিতে অনুভূতির পরিসরটাই পারে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ভাবে কোনো বিষয়টি বোঝার বা চেনার”।… মলয় মুখোপাধ্যায়। ( নৈঃশব্দের ভূগোল, পৃ – ১৪৫)
‘নৈঃশব্দের ভূগোল’ বইটি লেখক উল্লেখ করেছেন ‘এক ভূ-পর্যটকের দলিল’ হিসাবে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০২২ সালের ১৫ই আগস্ট। প্রকাশক পরন্তপ চক্রবর্তী, ‘বিরুৎজাতীয় সাহিত্য সম্মিলনী’। বইটির লেখক মলয় মুখোপাধ্যায় উৎসর্গ করেছেন “যাঁরা ভূগোলকে ভালোবাসেন বা ভালোবাসতে চান” তাদের। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। সূচীপত্রে বিষয়গুলি বারোটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে । ২১৯ পৃষ্টার এই বইতে ৪৪ টি সংক্ষিপ্ত রচনা সংকলিত হয়েছে। অধ্যাপক মুখোপাধ্যায়ের ছাত্রাবস্থায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিসারর্টেশন তৈরির ক্ষেত্রসমীক্ষা থেকে তাঁর নিজের গবেষনা, তাঁর ছাত্রদের গবেষনার ক্ষেত্রসমীক্ষা এবং সেমিনার, সম্মেলন উপলক্ষে দেশ বিদেশে ভ্রমণকালীন অভিজ্ঞতার, উপলব্ধির কোলাজ এই বইটি। তাঁর গবেষক সত্তার এক বিস্তৃত বিচরণভূমি আজীবনের ক্ষেত্রসমীক্ষার সমান্তরালে প্রবাহিত হয়েছে । প্রতিটি অধ্যায় শেষে একদিকে যেমন ভ্রমণবৃত্তান্ত পাঠের স্বাদ পাওয়া যায় তেমনি অজানা চমকপ্রদ প্রচুর তথ্য অবলীলায় জানা হয়ে যায়। নদী, পাহাড়, ভূমিরূপ, জঙ্গল; সক্রিয়, জীবন্ত চরিত্রের মত পাঠকের সঙ্গে ইন্টারেকশন করতে থাকে। প্রকৃতির, সমাজের অন্দরমহল থেকে লেখক নিপূণ হাতে নৈঃশব্দের নিবিড় মণি-মাণিক্য একে একে কুড়িয়ে নিয়েছেন। এই সংগ্রহ এক দিনের নয়, দীর্ঘ বছরের, কয়েক দশকের।
সমাজ বিজ্ঞানের শাখা গুলিতে ক্ষেত্রসমীক্ষা গবেষনার কেন্দ্রে অবস্থান করে। এই ‘ক্ষেত্র’ প্রকৃতি, সমাজ , মানুষ তাদের কার্যকারণ। ক্ষেত্রসমীক্ষা গবেষকের নির্মোহ নৈর্বক্তিকতার মধ্য থেকেও বের করে আনে ব্যক্তি মানুষটিকে, গবেষকটিকে। প্রতিটি সমাজ বিজ্ঞানের গবেষক ক্ষেত্রসমীক্ষার আগে ও পরে কি একই ব্যক্তি থাকেন ? নাকি পরিবর্তিত হতে হতে যান? ব্যক্তির ছাপ গবেষণা পড়া যাবে না। সমাজ বিজ্ঞানের শাখা গুলিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট বাধা নিষেধ রয়েছে। নির্মোহ, নৈর্বক্তিক পর্যবেক্ষণ উঠে আসবে। অবশ্য মানবীবিদ্যার ক্ষেত্রসমীক্ষার রীতিনীতি ভিন্ন কথা বলে। ব্যক্তিকে ছেঁটে ফেললে অভিজ্ঞতার আত্মা এবং বৈচিত্র্য বাদ পড়ে যায়। গবেষকের অবস্থান এবং গবেষনার বিষয়ের অবস্থান দুটির প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতার চিত্র তুলে আনে। ব্যক্তি গবেষকের সঙ্গে গবেষনার সম্পর্ক – তা গবেষককেও অনেকখানি বদলে দেয়, সদর্থক বা নঞর্থক ভাবে। গবেষনার শুরু এবং শেষে একজন গবেষক, একজন ব্যক্তি কি একই ব্যক্তি থেকে যান ? অথবা সারাজীবন বিচিত্র গবেষনার মধ্যে একজন গবেষক কি ধরনের উপলব্ধির প্রবাহের মধ্য দিয়ে যান? গবেষনা সন্দর্ভ এবং গবেষনা পত্রে যার দেখা পাওয়া যায় না, “ফরমাল” অ্যাকাডেমিয়ায় যা বাদ দিতে হয়। অথচ একটি প্রবাহ প্রতিটি সংবেদনশীল গবেষকের মননে চলতে থাকে। থিসিসের বাইরে , পেপারের বাইরে , নির্দিষ্ট নিয়মানুবর্তিতার বাইরে প্রচুর কথা, অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি জমা হতে থাকে। ক্ষেত্রসমীক্ষা কালে গবেষকের ভিতরে আরো একটি প্রবাহ চলতে থাকে যা তাকে ব্যক্তি হিসাবে বদলে দেয়, বদলে দেয় পারিপার্শ্বের সঙ্গে তার সম্পর্ক। তাই গবেষকের নোটবুক একদিকে যেমন তার গবেষনার সহায়ক হয়ে ওঠে তেমনি নোটবুকের আনাচ কানাচ থেকে বেরিয়ে আসে আরোও কিছু মানস পরিক্রমা। পর্যবেক্ষনের স্বাতন্ত্র্য থেকে চেনা যায় একজন গবেষকের ব্যক্তিগত বিবর্তন। গবেষনার গুরুত্বপূর্ণ কেজো অংশ ছাড়াও ক্ষেত্রসমীক্ষা থেকে বহু ‘উদ্বৃত্ব’ এসে জমা হয়। সেই সব উপাদেয় হয়ে ওঠে পরবর্তীকালের গবেষকদের কাছে। ক্ষেত্রসমীক্ষার সূক্ষ্মতা মানস ভ্রমণে নিয়ে যায় আগামীর গবেষককে। নলেজ প্রোডাকশনের যে বিধিবন্ধ নিয়ম তার বাইরে গবেষকের নোটবুক বিশেষ কয়েকটি জানালা খুলে রাখে। যেখানে সেই বিধিবদ্ধতার বাইরে দেখা দেয় বহুল সম্ভাবনা। জ্ঞান নির্মাণের স্বীকৃত এবং প্রচলিত নিয়মের মধ্যে থেকেও গবেষকের নোটবুক একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করে যা পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অধ্যাপক মুখোপাধ্যায়ের “নৈঃশব্দের ভূগোল” বইটি সেদিক থেকে সমৃদ্ধ উদাহরণ। সমস্ত বই জুড়ে ছড়িয়ে আছে কিভাবে আমরা জ্ঞান নির্মাণকে ক্রমে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছি আমাদের পারিপার্শ্ব থেকে, কিভাবে জ্ঞাননির্মাণের আত্মশ্লাঘা আমাদেরকে আমাদের থেকেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে খুব দ্রুত – তার প্রতি লেখকের প্রশ্ন এবং জিজ্ঞাসা। তিনি ক্ষেত্রসমীক্ষার বর্ণনা থেকে বারবার তুলে ধরছেন কিভাবে আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে জ্ঞানের নির্মাণ এবং ফলপ্রসূ প্রয়োগ, তার চর্চা। যা বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। অন্বেষা এবং অনুসন্ধিৎসা কেবল মিলিয়ে নেবার অবকাশ দেয়, রচনা করবার নয়। ক্ষেত্রসমীক্ষার পূঙ্খানুপুংখ থেকে লেখক কিছু মৌলিক প্রশ্নের সম্মুখীণ করেছেন পাঠককে। যেখানে ‘ক্ষেত্রসমীক্ষা’র সম্ভবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
বইটির রচনাগুলিতে লেখক বিছিয়ে দিয়েছেন একটি অ্যাডভেঞ্চারের চাদর। প্রতিটি লেখায় ক্ষেত্রসমীক্ষার শুরু হয়েছে অসীম আগ্রহ নিয়ে যা দিয়ে ছড়িয়ে থাকা নৈঃশব্দ থেকে ভুগোলকে আহরণ করা হয়েছে আশ্চর্য মমতায়। অধ্যাপক মুখোপাধ্যায় বারংবার সংবেদনশীলতার কথা, মমত্ববোধের কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছেন যেন প্রকৃতির সঙ্গে ব্যবহারে আমাদের সংযম আসে। “মানবিক” দম্ভ কিভাবে আমাদের করে তুলেছে অসংযমী, স্বেচ্ছাচারী। সেই দম্ভ নিপীড়কের ভূমিকায় উপনীত করেছে। প্রকৃতির সংগে, পারিপার্শ্বের সঙ্গে মানুষের সম্বন্ধের বয়ান বদলে গেছে, বদলে গেছে বিদ্যমান ক্ষমতার ক্রম। নদীর প্রসঙ্গে, বাঁধের প্রসঙ্গে তিনি বারবার চিহ্নিত করছেন এই ক্রুরতার কথা। আবিষ্কারের আনন্দ, প্রকৃতির সঙ্গে সংযুক্তির একটি প্রতীতি তৈরি করে যা গবেষকের চেতনাকে উদ্বেলিত করে। যার ছাপ বইটির সর্বত্র।
প্রতিটি লেখায় রয়েছে আশ্চর্য সব চমকপ্রদ ঘটনার বিবরণ। ছোট ছোট অদ্ভুত পর্যবেক্ষণ যা তিনি প্রকৃতি এবং জনবসতি থেকে সংগ্রহ করেছেন। পাহাড়ের উঁচু মাথায় সংগৃহীত বৃষ্টির জলে তৃষ্ণা মেটান ঘুরতে ঘুরতে। মুঙ্গের আর ভাগলপুর জেলার মাঝাখানে পড়ে বলে একটি পাহাড়ী মন্দিরে ডাকাতির অভিযোগ কোনো থানা নিতে চায় না। তিনি ঘুরে আসেন সেই গ্রাম যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সৈনিকরা যেখানে স্বেচ্ছায় দুই বিঘা জমি নিয়ে এদেশেই থেকে গেছেন। তিনি খুঁজে দেখেছেন মুর্শিদাবাদ জেলায় কিভাবে আফ্রিকার মোড় অবস্থান করে। জঙ্গলের মধ্যে পানিলতায় কিভাবে জলের অভাব মেটানো যায়। বাঘের দুধের বোতাম সংগ্রহের অভিজ্ঞতাও তাঁর রয়েছে। ছাত্রদের নিয়ে তিনি খুঁজে দেখেছেন কিভাবে পবিত্রকুঞ্জ বা স্যাকরেড গ্রোভ এ ধর্মচর্চার পাশাপাশি কীট পতঙ্গ, পশু পাখি নিশ্চিন্তে আশ্রয় নেয়। অজয়ের উৎস মুখের সন্ধান করতে গিয়ে তিনি সদলবলে সেখানে মার্কার স্টোনে চিহ্নিত করে এসেছেন। তিনি অবাক বিশ্ময়ে দেখেছেন কিভাবে গঙ্গায় পূন্যার্থীদের উৎসর্গীত পয়সায় জীবিকা নির্বাহ হয় অনেকের। ফ্লোরিডায় তিনি দেখেছেন কিভাবে মাছের নামকরন হয় অক্ষাংশ পরিচয়ে, “সিক্সটি সাউথ স্যামন”। তিনি দেখেছেন কিভাবে নৈঃশব্দের ভুগোলের বার্তাকে অস্বীকার করে উন্নয়নের মডেল এক ছাঁচে সর্বত্র ভায়োলেন্স করে চলেছে প্রকৃতির সঙ্গে। তবে তিনি উপলব্ধি করেছেন, “ আসলে খাতায় কলমে চুরি ঢাকা দেওয়া গেলেও প্রকৃতির নিয়মের কাছে চালাকি ধরা পড়ে যায়। এখনও পর্যন্ত মানুষের হাতে প্রকৃতিকে সম্পূর্ণভাবে ঠকানোর ছল-চাতুরী আসেনি। এটাই বাঁচোয়া। অনেকেই মনে করেন যে, মানুষের কর্মকাণ্ডের সুক্ষ্ম ও শ্রেষ্ঠ বিচারক হল প্রকৃতিই। “ ( এতটা জল গেল কোথায়, পৃ – ৫১) তিনি ছাত্রছাত্রী, গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত হেঁটেছেন, ময়ূরাক্ষী, কোপাই আরো কয়েকটি নদীর। তিনি জানাচ্ছেন, “ আমাদের পরিভ্রমণের উদ্দেশ্য হল নদী পাড়ের মানুষদের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক আজ কোথায় এসে ঠেকেছে তাকে বোঝার চেষ্টা করা।“ ( এবার শাড়ীর বদলে মশারী, পৃ – ৬১) অন্যদিকে তিনি দেখেছেন কিভাবে অরুনাচল প্রদেশের “আপাতানি” সম্প্রদায় রাসায়নিক ছাড়া চাষবাস করে থাকে এবং এই চাষবাসে আকৃষ্ট হয়ে জলপাইগুড়ি থেকে কেউ কেউ স্থানান্তরিত হয়েছেন ( মাইগ্রেশন ফর এনভাইরনমেন্টাল এথিক্স), তিনি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষেত্রসমীক্ষা থেকে উপলব্ধি করেছেন, “সব জায়গায় স্থানীয় মানুষরাই হল সেই জায়গার প্রকৃত ভূগোলবিদ” (পাটাজালে মাছ ধরায়, পৃ – ৮৫) পুরুলিয়ার অযোধ্যায় ‘পাখি পাহাড়” এ স্থানীয় শিল্পীরা পাথরের গায়ে পাখি এঁকে চলেছেন বা খোদাই করে, যাতে ঠিকাদাররা না পারে ডিনামাইট ফাটাতে। তিনি গবেষক ছাত্রদের নিয়ে উপলব্ধি করেছেন “ এ যে এক প্রতিবাদের অন্য হাতিয়ার” ( পাখির ডানায় বাঁচবে কি অযোধ্যা, পৃ - ৯৫) আন্দামানে ওঙ্গেদের জীবনযাপনে উন্নয়নের হস্তক্ষেপ দেখে তাঁর আক্ষেপ “ আমরা যখন আমাদের জীবন চর্চাতে সন্তুষ্ট নই, যখন আমাদের রোজের জীবন সঠিক বলে ভাবতে পরি না, যখন বারবার নিয়মের ফাঁকফোঁকর ঢাকতে নতুন নতুন আইন তৈরি করি, সুস্থ ও সঠিক পথ পেতে আমরা দিশেহারা, তখন কোন আধিকারে উন্নয়নের নামে ঐ একমুঠো প্রকৃতিবান্ধব সম্প্রদায়ের মানুষদের জীবনবোধকে পাল্টিয়ে দিতে যাই। নিরীহ একদল ওঙ্গে মানুষদের আমাদের মূল স্রোতে নিয়ে আসার মতো মস্ত ভুল বোধহয় আর হয় না। আমাদের ভুলে ভরা মূলস্রোতে না এনে যদি তাদেরকে নিজের মত বাঁচতে দিতাম, তাহলে মনে হয় সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানমনস্কতার পরিচয় দিতে পারতাম আমরা আগামী প্রজন্মের গবেষকদেরকে”। (ওঙ্গেদের জীবনবোধের সুরটা যে অন্য, পৃ – ১১০)
নৈঃশব্দের ভিতর থেকে লেখক ‘ভূগোল’ খুঁজে নিয়েছেন, তারাফেনি নদীর চর থেকে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মেঝেতে, শ্রীলঙ্কার শিগিরিয়া পাহাড় থেকে অযোধ্যার পাখি পাহাড়ে, কোপাই নদীর উৎস থেকে অরুনাচলের ‘জিরো’ উপত্যকায়। ভুগোলের বৃহৎ আঙিনা যেখানে জু জিওগ্রাফি থেকে পলিটিক্যাল জিওগ্রাফি, এটোমলজিক্যাল স্টাডি, ইকোলজির ফুড চেন, ইকোনমিক জিওগ্রাফি, কালচারাল জিওগ্রাফি, এনভাইরনমেন্টাল জিওগ্রাফি, সেটেলমেন্ট জিওগ্রাফি, মানবিক ও প্রাকৃতিক ভূগোলের সূত্র তিনি বর্ণনা করেছেন বইটির প্রতিটি পাতায়। বিধিবন্ধ এবং স্বীকৃত জ্ঞানচর্চার “উচ্চকিত” জগৎ থেকে এই “নৈঃশব্দ” একটি মগ্নপাঠের জন্ম দেয়। প্রকৃতির বিশালতার, বৈচিত্র্যের সামনে ক্রমে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে আসতে থাকা পাঠক চিত্তের এক অদ্ভুত তৃপ্ত আবেগমোক্ষণ হয়। সংক্ষিপ্ত রচনাগুলির আঁকে বাঁকে নতুন অজানা তথ্যগুলি রোমাঞ্চ তৈরি করে। অধ্যাপক মুখোপাধ্যায়ের গল্পবলার সৌন্দর্যে ভূগোলের বিস্তৃত উঠোন থেকে নৈঃশব্দের স্থৈর্য্য পাঠকের মধ্যে সঞ্চারিত হয়ে যায়। পাঠ শেষে বইটি একটি অদ্ভুত স্নিগ্ধতায় আচ্ছন্ন করেছিল আমাকে। ভূগোলের প্রথাগত শিক্ষা না থাকা পাঠকের কাছেও বইটির আবেদন রয়েছে আর সেখানেই লেখকের নৈপূণ্য অথবা গল্প বলার আশ্চর্য ক্ষমতার প্রকাশ।
পরিচিতি
মধুপর্ণা কর্মকার। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবীবিদ্যা চর্চাকেন্দ্রে গবেষণা করেন। লিখেছেন - ' গার্লস হস্টেল ; আবাসিক নারীর মানসভূমি।'(২০১৮)
তাঁর ব্লগ লিঙ্কে প্রবেশ করুন
তাঁর লিঙ্কট্রি লিঙ্কে প্রবেশ করুন
মধুপর্ণার আগের সংস্করণের লেখা পড়ুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন