চতুর্থ বর্ষ ।। একাদশ ওয়েব সংস্করণ ।। ২৪ ভাদ্র ১৪৩০ ।। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হিসেব বহির্ভূত সম্পদ ঢাকাতে চটি পরি পায়ে। হাওয়াই চটি। নীল-শাদা। হিসেব বহির্ভূত সম্পদ ঢাকাতে বলি,"সংসার নেই আমার।" অথচ হিসেবের হিসেব সংসার, ভরা সংসার, কুটুম্ব-আত্মীয় সবই আছে। 
           তাদেরকে কেউ নিয়ে যেতে চাইলে, কপালে ভাঁজ পড়ে। চোখের কোলে কালি পড়ে আমার। চোরের মায়ের মতো কেঁদে উঠি মুখ আড়াল করে আঁচলে।
           দীর্ঘ বর্ষা সময়ে, তৈরি করেছি ব্যাঙ্গাচি বন্দর। হাজার হাজার ব্যাঙ্গাচি। কথা নেই, বার্তা নেই, কোন প্রতিবাদ নেই। সামান্য কীটাণুর বিনিময়ে পশ্চাদানুসরণ দিবারাত্র। দিবারাত্র শোভাবৃদ্ধি চারপাশে। চলনে বলনে কথনে হ্যাঁ তে হ্যাঁ।
------মুরগির ডাকে বৃষ্টি হয় তো?
------হ্যাঁ মুরগির ডাকেই বৃষ্টি হয়।
------রামায়ণ রাবনে লিখেছিলেন তাই না?
------ঠিক তাই ঠিক তাই।
          মাথা চুলকিয়ে উত্তর দেয় অস্থিহীন জীব-----আমার সে রকমটাই মনে পড়ছে। অন্য কারোর কী অন্য কিছু মনে পড়ছে?
------না না না না। সেটাই ঠিক।
            সমসুরে বলে ওঠে বাকি অস্থিহীন, হস্তহীন জীবগুলো।
             আচ্ছা, চাঁদের গায়ে কে নেমেছিল যেন? রোশন? 
             অস্থিহীন জীবগুলো "আপনি" বলতে পারলে বেশি খুশি হতো। কিন্তু তা আর বলতে পারলো না। কারণ, তারা জানে, চাঁদের মাটিতে রোশনজি যাননি। তাই এবারও বলে উঠলো-----হ্যাঁ হ্যাঁ, তিনিই গিয়েছিলেন। তিনিই।
             উজ্জ্বল হয়ে উঠলো নীল চটি পরিহীতার মুখ। চারদিকে তখন হো হো হো হো, হো হো হো হো। পর্দার আড়াল থেকে জ্বল জ্বল করে উঠলো বেশ কিছু পুরস্কারের ঝলকানি। সাহিত্য বিভাগ, শিল্প বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, আরও অনেক অনেক বিভাগের।


উত্তম মাহাত, সম্পাদক 



______________________________________________
যাঁদের লেখায় সমৃদ্ধ হলো এই সংস্করণ
______________________________________________
সংঘমিত্রা ঘোষ / পঙ্কজ মান্না / শৈলেন চৌনী / গৌতম দত্ত / অঙ্কন রায় / দেবাশীষ সরখেল / সুশান্ত সেন / সুজন পণ্ডা /
______________________________________________



তারার চাদর

সংঘমিত্রা ঘোষ


দিন কাটছে আকাশ দিকে চেয়ে
চোখের ওপর মৃত দাদার লাশ...
জেগে আছে,সেদিন থেকে মেয়ে
আঁধার নিয়ে,এখন বারোমাস।
 
সারি সারি রক্তমাখা হাত...
ঘুমের ভেতর,এপাশ ওপাশ ফেরে,
সঙ্গী শুধু বালিশ ভেজা রাত
দাদা গেছে মায়ের আঁচল ছেড়ে।
 
ক্ষমতা যার,তারই জানি জোর।
শিঁড়দারাতে,জড়িয়ে গেছে ভয়,
শহর জুড়ে,চোখ রাঙানো ঘোর।
পুড়ছে,শরীর অনন্ত এই ক্ষয়।

মারল কারা, মারল কারা,চেনে,
চুপ বলেছে, চুপ বলেছে, লোক,
বিপদ হবে, বিপদ হবে, মেনে। 
তারার দিকে,তাকিয়ে আছে শোক।

গোপন আগুন জ্বলবে যেদিন জানি,
একলা হলেও দমের হবেই জয়।
স্মৃতির উপর মায়ার চাদরখানি।
মিটিয়ে দেবে অজানা সব ভয়।
 
তারা হয়ে গোটা আকাশ জুড়ে,
মৃতেরা সব অন্তত কাল বাঁচে।
মিশেই যায় দিন যাপনের ভীড়ে
স্তব্দ হয়ে,থাকে বুকের আঁচে।






পঙ্কজ মান্নার কবিতা

১.
কী কথা 

কী কথা আড়চোখে কহিছে পুঁজিবাদ 
প্রশ্ন করলে চক্ষুশূল 
রাজার কানে কানে কুবের বলে যায়
কবির জন্মই মস্ত ভুল 

কবি ও কবিতার নিভৃতি রচনায় 
ঘটক সেজেছে দুপুর রোদ...
কবিতা-শিক্ষক, এবার রাজারে
শিখিয়ে দিও তো জীবনবোধ 

আমরা এখনও পাষাণ হইনি ,
রাজা কি কবিতার ধর্মষাড় !
কাব্যমদিরা যাঁহারা চেখেছে
কবিতা তাঁহাদের কন্ঠহার




২.
এসো


সন্ধেবেলা জীবন কানাকানি 
তখন সবে হাসির রেখা ঠোঁটে
ফুল্ল ভোরেই ঝরতে হবে,জানি
এসো,এ-পার ও-পার কাঁপাই প্রাণের চোটে 

অল্প আয়ুর মিথ্যে খরচ বেশি
বল না,শশী, বল তো, ধ্রুবতারা--
তোদের মতো দীর্ঘ আয়ু পেলে 
কাটতো কী রাত এমনি তন্দ্রাহারা! 

কল্প-ডানায় ওড়ার সময় কমই 
হাসির রেখাও আঁকবে না সুখ ঠোঁটে
ঝরার সময় অতর্কিতেই আসে 
তাই এ-পার ও-পার কাঁপাই প্রাণের চোটে 

পানে যদি চুন হয়ে যায় বেশি
কেমন লাগে ঠানদি ভালোই জানে 
হোঁচট এবং ধোঁকার চোটেই নীল 
তোমার আমার কালশিটে দাগ প্রাণে 

আর দু'দিন পরেই উঠবো ফেরার বোটে
তাই এ-পার ও-পার কাঁপাই প্রাণের চোটে






৩.
কবি

ক)
কবির কপাল দেখে বলে দিতে পারি তোমার বিরহযোগ ;
শোকই পরম ধন...এই সত্য ব্যাসদেব ক'ন,
এরপর সাতজন্ম অনন্ত বিষাদগান গেয়ে যেতে হবে 

আর যারা নর্ম্যসুখে আইঢাই জৈব-অভিসারী,
চোখের অশ্লীল খিদে যাহাদের আমূল গিলেছে 
তারা কেউ কবিতা লেখেনি 


খ)
কবিতা কি ভাঙা কুলো , প্রেমহীন ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট সরাবে! 

কবি কি ভাঁড়ের  জাত,
নগ্ন রাজা বসবে বলে কবিতার জানু পেতে দেবে 





৪.
কবি ভালো নেই


ভালো নেই , ভালো থাকার জো নেই যেন 
আমার বেহাল সংসার-জুড়ে প্রত্নকাল আসে যায় 
ইহকাল এলোমেলো ইলোরা বিশ্বাস 

মৃত কোনো নক্ষত্রের আলো 
ভুল পথে নেমে আসে গৃহিণীর পুরনো আঁচলে;
বলি,যাও, দু'টো দিন শান্তিলতা উঠোনে বসুক...
মৃত্যু বড় কন্ঠলগ্ন ,প্রাণের নবান্ন দিনে নাছোড় উৎসুক 

ভালো নেই কোনো কবি, পৃথিবীর অক্ষরপুরুষ,
যে ভালো থাকে মদ্যে মাংসে অন্ধ-কূপ জৈবতৃষ্ণায় সে কখনো কবিতা লেখে না ;
আকাশের তারাখসা দেখে কাঁদতে শেখেনি সে
হৃদয়ও হয়েছে তাঁর আকাট বনসাই 

ভালো নেই ফাটা দিন রঙচটা রাতের নিঝুম ,
আমার হেলে পড়া ঘরের চালায় শব্দে বর্ণে নরম জমির খোঁজে বীতকাম বিষাদ আঁচড়ায় 

আমার কন্ঠ শুকিয়ে কাঠ যেন রোদে পোড়া ভুষুণ্ডির মাঠ...
কবিতায় নদী আঁকা, স্বর ও ব্যাঞ্জনবর্ণে মানুষের আলো তৃষ্ণা আঁকা 
ভগীরথ শান্তিজল আঁকাবাঁকা গঙ্গা গোদাবরী,
আর আমার দিবস শর্বরী 
জাগ্ৰত ভূমার মতো প্রত্নকাল আসে যায় 
ইহকাল এলোমেলো ইলোরা বিশ্বাস 








অস্থাবরতা 

শৈলেন চৌনী 

এই প্রেতসর্বস্ব স্থানে কে কাকে লিখেছে প্রথম? পৃথক ছায়ার আঙুলে কে কারে করেছে গাঢ়? আরো ছায়াময়.. 


সুডৌল রোদের দিকে আমার হারানো জুতো, ভেসে যায়.. আমি ডুব দিয়ে গান লিখিনি তো কোনোদিন। আমি তো জিপসির মতো জন্মাতে চেয়েছি বারবার। 


তোমাকে লিখেছি আমি, তুমিও লিখেছো কথা ভাসবার…









গানে গানে তব বন্ধন যাক টুটে

গৌতম দত্ত 


বড় পিচ্ছিল পথ
মনের কোনো সাড় নেই 
শরীরের ভরকেন্দ্র ঠিক রাখা চাই

ঠিক থাকে না
কিছুই ঠিক থাকে না
মানুষের, মানবের

অপ্রাপ্ত মন
অশক্ত শরীর নিয়ে সপাট
এক তেলাপোকার মতো
পিছলে যেতে হয়

গিয়ে পড়ে এক
মরণান্তক খালে
অনিন্দ‌্য জলের স্রোতে

স্রোতে থাকে
সেই সমবেত স্বর
আর সুরে সুরে
ভেসে যাওয়া শুধু









গান

অঙ্কন রায়

চরাচরে আজ অসীম উঠেছে জেগে,
দিগন্ত জুড়ে বিহানদ্যুতির ছটা।
গান ভেসে আসে উদয় দিগঙ্গনে,
সুর খুঁজে পায় আলোকের ঘনঘটা।

এমন সকালে পুবের জানলা খুলে
প্রথম আলোর চরণের ধ্বণি শুনি।
মগ্নতা এসে গান হয়ে বাজে বুকে...
সে গানের তালে কালের প্রহর গুনি।

এমন সকালে স্বর্ণালী নীলাকাশ
আদরে আদরে বলে যায় কত কি যে!
কথা ও সুরের আলপথ বেয়ে বেয়ে
এসে ধরা দেন রবীন্দ্রনাথ নিজে।।







কাদা  

দেবাশীষ সরখেল


মলমাস। শুখা ডোবা। কাদা থিক থিক।
কাদা ঘাঁটে, পল্লবী পালান।
পল্লবী পিলচু হয়, পালানের পৃথিবী প্রখর ।
অঙ্গে ভরা কাদার পোশাক।
কিছু চ্যাং ধরা পড়ে, কিছু চ্যাং পুচকে পালায়।
পালান পল্লবী ,কাদা কাদা দেহ রঙ।
পল্লবী কাদার মন্ড
পালান প্রচন্ড।
কাদা জল। কাদার শরীর।
কাদা প্রেম।
পল্লবী প্রীতিময় কাদার ভেতর।
কাদায় কাঁদায়, কত চ্যাং জেগে ওঠে।
শরীর নাচায়।









সুশান্ত সেনের কবিতা

১.  
চিঠি

চিঠি ফেলতে থাকুন চিঠি-বাক্সে 
পরপর, সঠিক ঠিকানায়
না হলে এর দায় ওর ঘাড়ে চেপে
একটা বিতিকিচ্ছিরি কাণ্ড হবে।
ঠিকানা মিলিয়ে মিলিয়ে তাই দুপুর কেটে
বিকেল হয়ে গেল,
একটু পরেই নেমে আসবে সন্ধ্যা ।
তখন ত কাজের সময় শেষ।
সব চিঠি তবু বিলি করে যেতেই হবে
না হলে রাগারাগি করবেন বড়বাবু।
তাই
শেষ ঠিকানাটা খুঁজে নিতে চাই
এই ভর সন্ধেবেলা।
আর ত সময় নেই।


২.  
স্বপ্ন

সাম্প্রতিক কালে অপু ও দুর্গা যখন কাশবনে দৌড়াচ্ছিল
তখন বৃষ্টি ভরা মেঘ আকাশে ভরভর
ক্যামেরা হাতে সুব্রত মিত্র 
আলো, ছায়া আর আকাশের রং এর কথা ভাবছিলেন।
সাত এক্কে সাত, সাত দু-গুণে চোদ্দ
নামতা আওড়াচ্ছিল পাঠশালার শিশুরা।
কে যে জলদ গম্ভীর কণ্ঠে "কাট" বলে উঠলো
আর বলার সঙ্গে সঙ্গে 
চিত্রকল্পটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেল,
দেখা আর হলো না।
নতুন এক সময় শুরু হয়ে গেছে।









ফিনিক ফোটা জোছনা

আড়াল

সুজন পণ্ডা

কপালে ছোট্ট একটি চন্দনের ফোঁটা। রাজু... রাজু মণ্ডল রোজ সকালে ট্রেনে ধূপকাঠি বেচতে যেতো। যায় এখনো।
স্কুল কলেজের ডিগ্রি বিহীন এই মানুষটির গভীর আগ্রহ পড়াশোনায়। আমার সাথে আলাপ সেই সূত্রেই।
এক বগি খদ্দেরের সামনে একটানা পুরাণের গল্প শুনিয়ে শেষে এগিয়ে ধরত ধূপের প্যাকেট।

নীল মাধব জগন্নাথ থেকে বাসুদেব কোনোদিন বিশ্বনাথ শিবের কোনো কাহিনী.... অজস্র গল্প তার ঝুলিতে।

একদিন বললাম রাজু তুমি যে এত গল্প শোনাও, সেগুলো সত্যি বলে মানো?

রাজু হেসে বললো সত্যি মিথ্যে জানিনা তবে সুন্দর নিশ্চিত।
ঈশ্বর বলুন আর প্রকৃতি বলুন সুন্দরের আড়ালে মিথ্যে অথবা মিথ বরাবর লুকিয়ে রাখে।

সেও আমার এক ইশ্বর চেনা। রাজুর সাজানো খুশির আড়ালে তার ক্ষুধার্ত পরিবার লুকিয়ে।

সমাজের এই নিচু তলার মানুষটি ক্রমশ আমার খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিল। শেষ ট্রেন ধরে একসাথে বাড়ি ফিরতাম আমরা, অন্ধকার রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে প্রৌঢ় রাজু মণ্ডল আমাকে চিনিয়ে দিচ্ছিল অন্যরকম এক ইশ্বর ভাবনা। আমার ইশ্বর আমার প্রকৃতির মাঝে স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে তখন। সুন্দর সত্যি আর মিথ এক একেকটি ধারণা ভেঙে পড়েছে এক একদিন।

রাজুর কাছে গল্প শুনেছি অনেক, কিছু চেনা কিছু একেবারেই নতুন। হয়তো ওর নিজেরই বানানো। কিন্তু প্রতিবারই শুনতে ভালো লেগেছে।
হয়তো দুর্বল ছিলাম ওর প্রতি, হয়তো ভালো লাগবে ভেবেই শুনতে শুরু করতাম।হয়তো ওর আর্থিক অবস্থা আমার মনকে ভিজিয়ে দিয়েছিল কিছুটা। 
হয়তো আরো অনেক কিছুই। অস্বীকার করিনা আবার নিশ্চিত জানিও না।

সেবার ঝুলন পূর্ণিমার রাত্রে ট্রেন বেশ কিছুটা লেট। স্টেশনে নামলাম যখন মধ্যরাত অতিক্রান্ত। আমাদের আধা শহরের রাস্তা ঘাট নীরব নিশ্চুপ।
রোজকার অভ্যেস মতোই বাইক স্ট্যান্ডের দিকে হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম জ্যোৎস্না ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্টেশন চত্বর। দুধ শাদা আলোতে থইথই করছে ওভারব্রিজ আর মাথার ওপরে দেশের পতাকা। শুধু বলেছিলাম রাজু দেখ....

ও বললো "আলহামদুলিল্লাহ...."

অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম।

রাজু বললো স্যার দুটো কথা এক আপনি কখনো জানতে চাননি, তাই আমি কিছু লুকিয়েছি তা বলা যায় না। আর দ্বিতীয়ত আমার বাবা অবশ্যই মুসলিম কিন্তু আমি আর আমার পরিবার ক্ষুধার্ত।

আর কিছুই বলতে পারিনি, কপালের ছোট্ট ফোঁটাটি বেয়ে তখন জোছনা চুঁইয়ে পড়ছে। সেই গলিত জ্যোৎস্নায় আমি ঋজু এক যোদ্ধাকে দেখলাম।

প্রকৃতি বলুন আর ইশ্বর বলুন একটি অপ্রয়োজনীয় সত্যকে সেই সুন্দর যোদ্ধার আড়ালে কিভাবে যেন লুকিয়ে ফেলেছে চিরতরে।









______________________________________________
আগের সংস্করণের পাঠ প্রতিক্রিয়া 
______________________________________________

১/ উত্তম,
অরন্ধনের এই সংখ্যায় সুনীল বাবুর চিত্রকর্ম অসাধারণ বললে কম বলা হয়। গ্রাম বলতে আমরা যে সমস্ত দৃশ্য দেখি, সেই দৃশ্যগুলি আড়ালে রেখেও নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপিত করেছেন গ্রাম জীবনের ছবি।

তুলনা নেই।

তাঁকে আমার অভিনন্দন।
                            ----------কবি নির্মল হালদার 

২/ শুধু মাত্র সম্পাদকীয়ের জন্য ই পত্রিকা টা অনেক উঁচুতে চলে গেল কবিতা তো এখন পড়িই নি, মানে শুধু টেইলারেই কামাল করে দিলি উত্তম, পিকচার আমি এখন দেখাহি নেহি ।
                             ---------কবি সূবোধ পরামাণিক 

৩/ সম্পাদকীয়তে সম্পাদকের যে নির্মোহ নিরপেক্ষ সত্যনিষ্ঠার পরিচয় পেলাম তার জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।

কবি দেবাশিস সাহার 'বেহিসাবী' কবিতাটি অসাধারণ লেগেছে আমার। কবিকে শুভেচ্ছা জানাই।
                                         ----------কবি পঙ্কজ মান্না

৪/ বাহ্! অরন্ধন এগিয়ে চলুক অপ্রতিরোধ্যভাবে।
                               -----------কবি ডরোথী দাশ বিশ্বাস 

৫/ দারুন হয়েছে উত্তমদা। ছবিগুলা দেখলাম। তবে পড়া হয় নাই এখনও।
                            ----------আলোকচিত্রী অজয় মাহাত

৬/ তোমার সম্পাদকীয় ভালো হয়েছে । যথার্থ বলেছ । 

কবিতায় তপন পাত্র এবং দেবাশিসের দ্বিতীয় লেখাটি ভালো লেগেছে ।

প্রবীর ভট্টাচার্যের লেখা দুই নম্বর টি  গভীর বলে মনে হলো বেশি ....।
                                      ----------কবি দীপংকর রায় 

৭/ লেখা ছবি দুটোই সুন্দর।
সম্পাদকীয় যথার্থ মনে হয়েছে দাদা।
                          -----------কবি শ্যামাপদ মাহাত (বাঁশি)

৮/ এবারের সংখ্যা বেশ ভালো হয়েছে। সম্পাদকীয় বাস্তব। সকলের কবিতা মন ভরিয়ে দিয়েছে। ময়ূখের গদ্য আমার খুব ভালো লাগে।
                                   -----------কবি অমিত মণ্ডল 


______________________________________________

                                        আমাদের বই











সম্পাদক : উত্তম মাহাত
সহায়তা : অনিকেতের বন্ধুরা
অলঙ্করণ :  দক্ষিণ ভারতীয় পেন্টিং, আন্তর্জাল
যোগাযোগ : হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৯৩২৫০৫৭৮০
ইমেইল - uttamklp@gmail.com





 

মন্তব্যসমূহ

  1. সম্পাদকীয়র বিষয় নির্বাচনের জন্য কালো থাবা নেমে আসার ভাল সম্ভাবনা আছে, সাবধান!! সুজন পন্ডার সরল সাদাসিধে লেখাটি মন্দির-মসজিদ বৃত্তের বাইরে ঘোর বাস্তবের পটচিত্র..... সংঘমিত্রা ঘোষ এবং পঙ্কজ মান্নার কবিতা খুব ভাল লাগল....ভাল থাকবেন।

    উত্তরমুছুন
  2. সম্পাদকীয় ভালো হয়েছে উত্তম দা। কবিতাগুলি বেশ ভালো লেগেছে। এই পত্রিকার ছবি প্রদর্শ শালার বিভাগটির আমার ভীষণ ভালো লাগে। শুভেচ্ছা জানাই।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। সন্তোষ রাজগড়িয়া

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র শিল্প ।। মুকেশ কুমার মাহাত

পঞ্চম বর্ষ ।। তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ০২ অক্টোবর ২০২৪