পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চতুর্থ বর্ষ ।। চতুর্দশ ওয়েব সংস্করণ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩০ ।। ২৩ অক্টোবর ২০২৩

ছবি
প্রজাপতির ডানায় ভর করে উৎফুল্ল মনে উড়তে ভালোবাসি আমরা। আকাশকে নীল, হলদেটে, লাল দেখতে ভালোবাসি অহরহ। তার জন্য ছুটেও যাই যোজন যোজন দূর। কিন্তু তাকে স্থায়ী করার কথা ভাবি না। তাই সাড়ম্বরে পালিত উৎসবের পর স্পর্শ করে যায় দুঃখের রোজনামচা।             আমরা যতটা অভাবি রাজ্য বলে মনে করি বা দেখানোর চেষ্টা করি এই রাজ্যকে তা কি স্পষ্ট হয়ে ওঠে এখানকার বড় বড় উৎসব গুলোকে দেখে? কখনোই না। কিন্তু যে কোন একটা হাসপাতালে গেলে? সেখানে সব সময় একটা সত্যিকারের অভাব পরিলক্ষিত হয়। দেখা যায়, এই রাজ্য কতটা বিবস্ত্র। দেখা যায় পরিকাঠামোর অভাবে হাজার হাজার রোগী বাধ্য হয়েই ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছেন প্রতিদিন। সেই বাহানায় ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছে এই রাজ্যের টাকাও। অথচ কত কত টাকার প্যান্ডেলে, কত কত টাকার সোনার গহনা পরে বসে আছেন মা।                 সন্তানের এমন দুর্দশার সময় কিভাবে বসে থাকেন মা, এমন অবিচলিতভাবে?                এই সম্পদের একাংশ দিয়ে, সে সরকারি বা বেসরকারি যাই হোক না কেন, এখানকার চিকিৎসা পরিষেবার পরিকাঠামো বদলানো কি কোনভাবেই সম্ভব নয়? সম্ভব নয় ভিন রাজ্য থেকে বা ভিন দেশ থেকে আগত রোগীদের পরিষেবা দেওয়...

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। পলাশ রঞ্জন ঘোষ

ছবি
পরিচিতি   সুবিখ্যাত আলোকচিত্রী পলাশ রঞ্জন ঘোষের জন্ম ১৯৭২ সালে পুরুলিয়া সদর শহরে। পড়াশোনা করেন ঋষি অরবিন্দ ও পুরুলিয়া জেলা স্কুল থেকে। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি অটুট নেশা। পরবর্তীতে পুরুলিয়া জে.কে.কলেজ থেকে জীব বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।               তিনি যখন এগারো ক্লাসে, তাঁর বাবা এক অপার সম্ভাবনা নিয়ে নিজহাতে তাঁর কাঁধে তুলে দেন ক্যামেরা ( Zenith 12 xp , সেট ছিল SLR অ্যানালগ ক্যামেরা)। তাতে ফিল্ম রোল ভরে ছবি তুলতে হতো। অবশ্য সেসময় প্রায় সব ক্যামেরাই ছিল এ রকমই। ডিজিটাল ক্যামেরার চল খুব একটা হয়ে ওঠেনি। সেই ক্যামেরা নিয়ে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে সোজা চলে যান প্রথম ফটোগ্রাফির শিক্ষাগুরু, বিখ্যাত ফটোগ্রাফার শ্রদ্ধেয় সুবধ মুখার্জী মহাশয়ের কাছে। তিনিই বেসিক কিছু সেটিংস বুঝিয়ে দেন তাঁকে।                একটি রোল ভরে দিয়ে তিনি বলেন "ছবি তুলে নিয়ে এক সপ্তাহ পর দেখা কর"।                 এভাবেই শুরু হয় পথ চলা। পরবর্তী কালে পুরুলিয়ার কয়েকজন বিখ্যাত ফটোগ্রাফারের সান্নিধ্য পান তিনি। তাঁদের মুল্যবান পরামর্শে ক্রমশ নিজের দক্ষতাকে উন্নিত করার চেষ্টা করেন। পেশায় স্কুল শিক্...

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। অভিজিৎ মাজী

ছবি
পরিচিতি   পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার অন্তর্গত ভাগাবাঁধ গ্ৰামে ১৯৮২ সালের ১ লা মে জন্মগ্ৰহণ করেন আলোকচিত্রী অভিজিৎ মাজী। পেশায় শিক্ষক এই আলোকচিত্র শিল্পীর ছোটবেলা কাটে গ্ৰামের অত্যন্ত সহজ সরল পরিবেশে বেড়ে ওঠা আর পাঁচটা ছেলের মতোই। ফলে তখন থেকেই গ্ৰামের পরিবেশের সাথে একটা মেল বন্ধন গড়ে ওঠে তাঁর। সামান্য বিষয়গুলোর মধ্যে খুঁজে পান বিশেষ গভীরতা। হাইস্কুলের গন্ডি পেরিয়ে যখন উচ্চ শিক্ষার জন্য শহরে পাড়ি দেন তখনও ফটোগ্ৰাফির দিকে খুব একটা ঝোঁক ছিল না তাঁর। বরং সে সময় কবিতা লেখার প্রতি বিশেষ অনুরাগ লক্ষ্য করা যায়। সেই কবিতা লেখার সূত্র ধরেই অনিকেত গোষ্ঠীর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। এম এ( ইংলিশ ), বি এড করার পর শিক্ষকতার কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। তবে এই সময় ফোটোগ্ৰাফির নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। যখনই সুযোগ পান তখনই পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে খুঁজে আনেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা ভূমিরূপ এবং জনজীবনের ছবি। বিশেষ করে অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন এলাকাতে গিয়ে প্রকৃতি সম্পর্কিত তাঁর ফটোগ্রাফির যে সিরিজ রয়েছে তা সকলেরই মন কাড়ে। পেশা নয় কেবল নেশার তাড়নায় তাঁর এই কাজ মন কাড়ে আমাদেরও। তিনি নান...