জলশ্যাওলার বিরহকথা
জলশ্যাওলার বিরহকথা
দীপংকর রায়
১৬ তম পর্ব
এই সকালবেলায় দু'একজন বাজার-মুখো মানুষ আর ক্ষেত-পরিদর্শক চাষি ছাড়া আর কাউকেই দেখতে পেল না সে এখান দিয়ে যেতে-আসতে। একটা সিগারেট ধরাতে খুব ইচ্ছে করছিল তার। ধরালোও হাঁটা থামিয়ে। তারপর ধপ্ করে বসে পড়লো ঘাসের উপর। অনেকক্ষণ বসে থাকলো কর্মহীন মানুষের মতো একা একা। তারপরে কখন উঠে অনেকটা দূর অবধি আরো খানিকক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে চললো। পরে মনে হলো, অনেকটা চলে এসেছে সে। তাই ফিরতি পথ ধরলো। পায়ের চটির তলা ধুলো-শিশিরে ঘাসমাটি জড়িয়ে মাখামাখি। পথের পাশে পড়ে থাকা পাটকাঠির টুকরো দিয়ে কিছুটা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে চটির তলা পরিষ্কার করে নিয়ে আবার বসে থাকলো কিছুক্ষণ, সেই ক্ষেতের পাশে পথের ধারে। তার মনের ভেতর কোথাও যেন কোনো তাড়া নেই ফিরে যাবার। গত রাতের সেরকম কোনো স্বপ্ন- আকাঙ্ক্ষাও এখন আর তেমন করে স্পর্শ করে নেই তাকে। এখন যেন সে অনেকটাই হাত পা ঝাড়া । বাড়ি ফেরারও তাড়া নেই সেরকম । তার মনে হচ্ছে, যতক্ষণ না ওই গাছের ছায়া সামনের ফসলের ক্ষেতের উপর থেকে ঘুরে যায় ততক্ষণ সে সেখানেই চুপ করে পড়ে থাকবে। যদিও যথেষ্ট দূরেই রয়েছে সেইসব দেবদারু, পুয়ো, জাম গাছের অবিন্যস্ত সারীরা।
ছোটো ছোটো অড়হর গাছের ছায়াও আছে। বাবলার ঝিরঝিরে আলো বাতাসের দোলাদুলিও রয়েছে ওপাশে খানিকটা। এগুলির কোনটা যে কোন্ দিক থেকে তাকে কীভাবে আলোড়িত করে তুলতে থাকলো কিছুক্ষণ তাও সে অনুভবে ধরে নিতে পারলো না। অনেকক্ষণ তাদের মাঝে সে একাকী নানা স্মৃতিপথে যাওয়া আসা করলো এই দেশটার অতীত দিনগুলির মাঝে।
------ জানি না তো বাপু! দেখ ও কোনায় নোয়াকাকুর ওখানে আছে কি না ! ঘাটের দিকে গেছে কি না তাও জানি না! কাল একবার ওদিকে ঘোরাঘুরি করছিল দেখেছিলাম। ওদিকে মামাবাড়িতেও যেতে পারে , ----- আচ্ছা বাজারের দিকে গেল না তো!
সে তা শুনে বললো, কি জানি ----- বেলাও তো কম হলো না, খাওয়া-দাওয়া করবেই বা কোন্ কালে?
এদিকে ---- এই বাড়িতে , এবারে বুঝি জামাইয়ের খোঁজ পড়লো। আর সেই খোঁজের সূত্রপাত করেছে বিছানার থেকে মুখ তুলে নিচে নেমে এসে উর্মি--ই । আবার এঘরে ওঘরে উঁকি মেরে শেষমেষ সে তার জেঠিশাশুড়ির কাছেই জিজ্ঞাসা করলো, জামাইবাবু কোথায় গেল বলেন তো----ও জেঠিমা?
মেজ কাকিশাশুড়ি অর্থাৎ তার শাশুড়ি বউমাকে উদ্দেশ্য করে বললো, কি হচ্ছে কি, জামাইবাবুকে পাওয়া যাচ্ছে না বুঝি?
সে বললো, না মা, দেখেন না কোথায় যে গেল?
তিনি বললেন, সেই তো! তা আমিই বা কি করে বলি বলো তো, তোমরাই যদি না জানো --- !
তিনি এমন করে বললেন, আন্তরিকভাবে, যাতে এইসব সম্পর্কগুলির মাধুর্য কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তা ভাবলেও যেন যে কারোর বিষ্ময় জাগে। এই ধরণের হাসি ঠাট্টা আনন্দ আজও যে এই বাঙলার ঘরে ঘরে অনেক ব্যঞ্জনা নিয়ে বেঁচে আছে তা ভাবলে আর কারোর ভালো না লাগলেও পথিক যদি একবার শুনতো, তাহলে মনে হয় আরো ভালো করে এই অনুভবের ব্যঞ্জনার প্রকৃত অর্থগুলি অনুভব করতে পারতো।
মেজ কাকিমা বউমাকে তার অধিকারের সম্মন্ধে আরো কিছুটা সচেতন করে, এইসব দায় দায়িত্বগুলোর, ভালোবাসাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে তাদের ভূমিকা কতটুকু তা যেন মনে করিয়ে দিয়ে তিনি তার কাজে চলে গেলেন। ওদিকে জেঠিমাও খানিকটা এই ছেলেমানুষীর মধ্যে আরো খানিকটা দায়িত্ববোধের কথা মেজ কাকিমার মতোই একি সুরে সুর মিলিয়ে আরো কিছু উপদেশ তিনি তাকে কথায়বার্তায় বুঝিয়ে দিয়ে তিনিও তার কাজে চলে গেলেন।
উর্মি এতে লজ্জা পেল, না আরো বেশি করে আনন্দ পেল, এ কথাটি সেই জানে ভালো ---- তবে সে তার শাশুড়ির মুখে এই কথাটা শুনে প্রথমে কিন্তু একটু চমকেই উঠেছিল। সেই যে তার শেষ কথাটা ---- জামাইবাবু চলে গেলে বউমা যে থাকবে কি করে তাই ভাবছি ,----- মিলেছে বেশ দুই পাগলে ভালোই ----- ।এবং এই কথা বলতে বলতে তিনি কিছুটা দুই চোখের কোণা ভিজিয়েও ফেললেন চোখের জলে। এই ভেজা চোখের জলের ভাষা সবটা কি উর্মিও বুঝে উঠতে পারলো?
পথিক বাজারের মুখে প্রবেশ করতেই কোথা থেকে যে ঈদ্রিশ আলী বেরিয়ে পড়লো তা সে আগে থেকে একবারও টের পাইনি।
যাই হোক সে একেবারে খপাত করে দুই হাত চেপে ধরেই বলতে শুরু করলো ---- আরে, বাপজান যে আমার ---- কোথায় ছিলে বাজান, কোথায় গেছিলে বাপ --- তুমি এসেছো অথচ আমি কিছুই জানি না! জানো বাপ, কতবার যে তোমার খোঁজ নি এদের সকলের কাছে ; কাল ও বাড়িতে গেছিলাম তো! কই কেউ কিছু বললো না তো! আচ্ছা যাক গে সে সব, তা বাপ আমার একটু নাস্তাপানি, চা টা চলবে তো?
সে বেশ হতচকিত হয়ে গেল। কেন তা সে নিজেও জানে না। বললো, হ্যাঁ হ্যাঁ --- তা তো চলতেই পারে কাকু ; কিন্তু এই সকালে আপনি কোথা থেকে ----- এসে পর্যন্ত আমিও কিন্তু আপনাকে আশা করেছিলাম, অথচ দেখিনি কোথাও।
----- আহারে! বাপ আমার ! একেবারে আমাদের বিয়ান ; কী ভাষা! কী মধুর কন্ঠ! ও হোঃ! সেকি ভোলা যায়! আমি যখন ওদেশে নার্সিংহোমে, ফোন করলাম, বললাম, বিয়ান, আমি কি করবো, ভয়ে যে আমার হাত-পা একেবারে পেটের ভেতরে সিঁধিয়ে যাচ্ছে ----- ও বিয়ান, আমি বেঁচে দেশে ফিরতে পারবো তো! ও হোঃ, কি অভয়, কি কন্ঠ সে! আমার অর্ধেক হয়ে গেল ভয়ডর সমস্তকিছু ----- বললেন, কোনো ভয় নেই, আমরা আছি তো সকলে ভাই, মনোজ আছে, আমি আছি, আপনাদের জামাই এখানে থাকলে সেও থাকতো তো----- দেখবেন সেও এসে পড়বে দুই একদিনের মধ্যেই হয় তো ; কোনো চিন্তা নেই আপনার, আমরা সকলেই আছি আপনার কাছে ; ----- আহাঃ আমার প্রাণের বিয়ান! আমার মায়ের মতো যেন : তাছাড়া মনোজ, সেও তো আমার মায়ের পেটের ভাইয়ের থেকেও অধিক ; আমি একবার মনোজকে বললাম, আমি যদি চলে যাই, তুই আমার লাশটা আমার ছেলে মেয়েদের কাছে নিয়ে যাস ভাই । আর আমার কবরে তুই কিন্তু একমুঠো মাটি দিস ; ---- আহা , আমার বিয়ান তাই না শোনার পরে কিভাবে ধমক দিলেন আমারে! বললেন, ঠাকুর আছে না! আপনার কিচ্ছু হবে না দেখবেন, আপনি ভালোভাবে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে যাবেন; দেখবেন, আমার কথা মিলিয়ে নেবেন!.....
কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গি তার কথাবার্তায় বরাবরই ----- খানিকটা যেন যাত্রা করার ভঙ্গিতে কথা বলে ঈদ্রিশ আলী ----- এবং এটা তার সতস্ফুর্ত ভঙ্গি।
ঈদ্রিশ আলীর গলায় একটা সিস্ট হয়েছিল। তাই নিয়ে তার ভয় হয়েছিল, তার বুঝি ক্যানসার হয়েছে। সেই কারণেই সে কলকাতায় গেছিল চিকিৎসার জন্যে। সেখানে গিয়ে সে কাছের মানুষের খুব অভাববোধ করেছিল। তাই সেখানে সে যে আন্তরিকতা পেয়েছিল পথিকের পরিবারের সকলের কাছ থেকে। বিশেষ করে পথিকের মা, সাথির কাকা এদের সকলের কাছ থেকে, সে কথাগুলিই বলছিল সে এতক্ষণ।
সে কট্টর জামাতপন্থী। বর্তমানে নাকি বি .এন. পি. পার্টি করে, বি. এন. পি. পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। তা সত্তেও সে এই পরিবারের ভীষণ একাত্ম বলেই মনোজের উপর ভরসা করে সে ওদেশে পা বাড়িয়েছিল । এমনিতে সে আবার সাথির মণি কাকুর ছেলেবেলার বন্ধু । এখনো যেন এক আত্মা এক প্রাণের মতো সম্পর্ক তাদের। শুধু সে একটু ধর্মভীরু হয়ে পড়েছে ইদানিং এই যা। তবে উগ্র ধর্মান্ধতা তার মধ্যে কখনো পথিক দেখেছে বলে মনে করতে পারে না। যদিও এ ক্ষেত্রে এ দেশের অনেকেরই এই দুর্বলতার দিকটার প্রতিই টানটা বেশি যে তা সে লক্ষ করে দেখেছে বেশ । বুঝতে পারে না সে তার সঠিক কারণটা কি। তাই ঈদ্রিশ আলীর সমস্যাটাও সে খানিকটা ওই সাধারণ চোখ দিয়েই দেখে।
এরপর তার সামনে প্লেটে করে দুটো বড় বড় রসগোল্লা দিয়ে মিষ্টির দোকানের মালিক নন্দ কাকা বলে গেল, দুটি সেরা আইটেমই দিয়ে গেলাম জামাইয়ের জন্যে। নাও বাপু, খেয়ে দেখো ----
পথিকের নজর রয়েছে অন্য দিকে। দোকানের ভেতরে পেছনের দেয়ালে সে দেখতে পেল যে, সব ছায়াছবির জগতের পোষ্টার সাঁটা আছে। বড় বড় কাগজের ফেস্টুন । নানান ভঙ্গিতে তরোয়াল বন্দুক নিয়ে নানা সংগ্রাম মুখর ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে সার সার যেন। কোথাও আবার লাস্যময়ী নাচের দৃশ্য। নাচনেওয়ালীর কামিজ উৎলে বেরিয়ে আসছে স্তনযুগোলের বিভাজিকার অংশ। তার সঙ্গে খলনায়কের দাঁত খিচানো ভঙ্গিমায় টানাটানির দৃশ্যও। কোথাও বা কোমর ধরে নায়ক নায়িকার নাচগানের দৃশ্য। রঙে ভঙ্গিতে সে একেবারে রঙবেরঙের পতাকার সারি মনে হয় যেন!
সে মনে মনে ভাবে, এইসব ছবি এখনো এই দেশের গ্রামে-গঞ্জেই চলে বুঝি, না কি শহরেও চলে? যদিও এখন যেন ওদেশেরও এমনই অবস্থা ; সেখানেও খানিকটা মুখ পাল্টে নিলে যা দাঁড়ায়, তেমনই যেন বা। শুধু পার্থক্য মনে হয় এইটুকুই, এখানের কাহিনীর মধ্যে বেশির ভাগটাই হয়তো পৌরানিক কাহিনী ঘেঁষা, ওখানেও যে একেবারেই সেটা না, তাই বা বলি কি করে! ওখানেও তো রয়েছে, তবে সেসবের মধ্যে অনেকটাই "আমার মায়ের দেওয়া সিঁদুরের মতো নাম করে।" বা "সিঁদুর নিও না ফিরিয়ে।" যদিও এমন সব নামকরণে যে সব রঙ-চঙ আলোর জেল্লা থাকে, সেরকমই বিষয় ,আর কি!
এইসব ছবির বাজার এখনো এদেশ ওদেশ মিলিয়ে সমানই রয়েছে। তা না হলে এখানে তো সিনেমা হল নেই! তাহলে এই প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তার এত বেশি প্রভাব কেন?
কেন জানে না সে, তার চোখে পড়ে গেল এইসব ছায়াছবির বাজারই মহড়া। সেই আশির পরপরই যেন এইসব ছবির বাজার শুরু হয়ে গেল! কিন্তু ওখানের চায়ের দোকানে কি এমন ধরণের সব রঙবেরঙের ফেস্টুন লাগানো থাকে গ্রামে - গঞ্জে ? হ্যাঁ..... তাও তো থাকতে দেখেছে সে! সেবার যখন মেদিনীপুরের একটি গ্রামে বিবাহের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল সেখানেও তো দেখেছিল এই একই অবস্থা। তবে পশ্চিমবঙ্গের বা ভারতের অন্যান্য প্রদেশে কতটুকুই বা ঘোরা আছে তার ?
সিনেমার জগতের মধ্যে ডুবে থাকতে থাকতে ঈদ্রিশ আলীর গোল্ডলীভ সিগারেট আনা হয়ে গেছে। সম্পর্কে জামাই-শ্বশুরের এই একসঙ্গে সিগারেটে আগুন সংযোগ করা দেখে পাশের থেকে একজন বলে উঠলো, বা বা, এমন জামাই-শ্বশুর আর কোথায় পাওয়া যাবে!
যে বললো তাকে পথিক চেনে। তবে তার প্রকৃত নামটি যে কি তা সে জানে না। তার এই অহেতুক মস্করা করাকে সে খুব একটা ভালো ভাবে নিতে না পারলেও, সামান্য সময়ের মধ্যেই স্বাভাবিক করে নেয় ভেতরে ভেতরে। কিছু বলে না। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তার আরো অন্য কথায়, অন্য অভিজ্ঞতায় পুরোনো দিনের নানা গল্প-গাছায় এই মানুষটি-ই যেন পথিকের চোখে অন্য মাত্রা এনে দেয় । ঈদ্রিশ আলীও মাঝে মাঝে সেইসব প্রসঙ্গের মধ্যে একটু-আধটু ঢুকে পড়ে।
তার মধ্যে বর্তমান সরকারের ভালো মন্দ কাজকর্ম নিয়ে গালগল্পও জুড়ে যেতে লাগলো। এবং সেসব প্রসঙ্গ প্রসঙ্গান্তরে যেতে যেতে এতটাই অন্য দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো যে তারপর পারলে লোকটি পথিককে এখুনি নিয়ে গিয়ে তার বাড়িতে ঘুরিয়ে কিছু কিছু এখানকার পুরোনো দিনের কাগজপত্র ও ঈদ্রিশ আলীর বলা বর্তমান সরকারের নানা অক্ষমতার ক্ষেত্রগুলিও সে আরো ভালো করে প্রমান সহ দেখিয়ে দিতে পারে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক ভালো-মন্দের একটা টানা হিসাব নিকাশ তার কাছে ধরা আছে যে, সে কথা মুখেই বলছে না, দরকার হলে সামনাসামনি দেখাতেও পারে।
আজই প্রথম জানতে পারলো সে, যে সে ফকির গোষ্ঠির মানুষ। তার অর্থ সে ফকির ধর্মাবলম্বি । অনেকটা বাউলদের লোকাচারে বিশ্বাসী তারা-- কয়েক ঘর আছে নাকি এ অঞ্চলে। ঈদ্রিশ আলী যতবার তাকে নানা কথাবার্তায় রাজনীতির আলোচনায় নিয়ে যেতে চায়, সে ততবারই এখন দেখা যাচ্ছে সে আর সে পথে যেতে চাইছেই না বরঞ্চ সে মাটির কথা বলছে। বাউলের সাধন ভজনে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে । সেইসব কথায় সুর ধরে দুই এক কলি শুনিয়ে দিতে চাইছে বার বার। গেয়েও উঠল, খাঁচার ভেতর অচিন পাখি থেকে আরশিনগর পর্যন্ত।
তার সঙ্গে কথোপকথনে নানা দিক সে ইতিমধ্যেই গুলিয়ে ফেললেও সে কিন্তু গোলায় না। বারবারই তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাবার জন্যে অনুরোধ জানাতে থাকে ----- তাতে সেও ভাবে, মন্দ হয় না গেলে। তবে লোকটির গলায় সুর আছে। ভক্তিও কম না তো! তাই তাকে আরো ভালো করে জানতে হলে অবশ্যই তার ওখানে যাওয়া দরকার বৈকি।
চলবে........
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন