পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তৃতীয় বর্ষ ।। সপ্তম ওয়েব সংস্করণ ।। ১ শ্রাবন ১৪২৯ ।। ১৮ জুলাই ২০২২

ছবি
কেবলমাত্র পুরুলিয়া নয়, ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত প্রতিটি জায়গার ধান চাষ নির্ভর করে কেবলমাত্র বৃষ্টির জলের উপর। এখানে চাষের জমিতে সেচ দেওয়ার অন্য কোনো বিকল্প গড়ে ওঠেনি। গড়ে ওঠা সম্ভবও নয় খুব সহজে। তাই ধান চাষের জন্য চেয়ে থাকতে হয় আকাশের দিকে।               যে বছর বৃষ্টিপাত পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়, সে বছর চাষবাসের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না চাষিদের। সাবলীলভাবে পেরিয়ে যায় চাষবাসের কাজ। কিন্তু সেই সৌভাগ্য প্রায় সময়ই হয়ে ওঠে না। তখন পড়তে হয় মহা ফাঁপরে। চেয়ে থাকতে হয় হা পিত্যেস করে। আর চাষ না হলেই চরম বিপদের মধ্য দিয়ে দিন গুজরান। অন্য কোনো কর্মসংস্থান নেই এলাকাতে। শিল্পনগরী জামসেদপুর এবং রাঁচি সংলগ্ন বেশ কিছু অঞ্চল ব্যতীত প্রায় সমস্ত এলাকার মানুষ নির্ভরশীল চাষের জমি থেকে পাওয়া সামান্য ফসলের উপর।              এখন শ্রাবণ মাস। ১ লা শ্রাবণ। এখনও খুব একটা ভালো নয় চাষবাসের লক্ষণ। অর্থাৎ এ বছরও লক্ষণ ভালো নেই এই অঞ্চলের অর্থনীতির। চিন্তিত মানুষ। চাষবাস না হলে কিভাবে দিন গুজরান করবেন? এই ভাবনায় ভাবিত। সরকার কি এই ভাবনায় ভাবিত? খাতায় কলমে বাদ দিয়ে বাস...

‘নেই বাড়ির মেয়েরা’; মেয়েদের ‘বাড়িবোধ’ এর এক আশ্চর্য উপাখ্যান।

ছবি
‘নেই বাড়ির মেয়েরা’; মেয়েদের ‘বাড়িবোধ’ এর এক আশ্চর্য উপাখ্যান। মধুপর্ণা অঙ্কন রায়ের উপন্যাস ‘নেই বাড়ির মেয়েরা’ প্রকাশিত হয় পৌষমেলা, ২০১৯ সালে। প্রকাশক বই ওয়ালা বুক ক্যাফে, রতনপল্লী, প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন অর্চিতা মুন্সী। লেখক বিহারের পূর্ণিয়া থেকে শান্তিনিকেতনে এসে রবীন্দ্রসংগীতকে নিত্যসঙ্গী করে এখানেই রয়েছেন শান্তিনিকেতনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে, পরিবারে নির্যাতিত মেয়েদের নিজেদের জীবনের আত্মবিশ্লেষণ এবং তাদের আশ্রয়স্থল ‘আলোকবর্তিকা’ নামে একটি বাড়ীর অন্দরমহল – এই উপন্যাসটির উপজীব্য। এই উপন্যাসটি তিনি উৎসর্গ করেছেন টিঙ্কু খান্নাকে, যিনি ‘ঘর হারা’ মেয়েদের নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। লেখকের আরো অন্যান্য বই – ‘কিছু পলাশের নেশা’, ‘রাংতাকুচির ভোর’, ‘বন্ধ বাড়ির রহস্য’ ইত্যাদি।   এই উপন্যাসটির নাম “নেই বাড়ীর মেয়েরা” আশ্চর্যভাবে তাৎপর্যময়। নির্যাতিত, 'পরিত্যক্ত' মেয়েরা যাদের ‘বাড়ী’ বলে কিছু ‘নেই’ তারা বাস করে একটা জায়গায় সেটিও একটি বাড়ী অথবা সেটি কি তাদের বাড়ী? বাড়ী বলতে আসলে আমরা কি বুঝি? এবং বিশেষ আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে বদলে যায় ‘বাড়ি’র সংজ্ঞা। নিরাপত্তা, আশ্রয়, ...

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। অভিজিৎ মাজী

ছবি
পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার অন্তর্গত ভাগাবাঁধ গ্ৰামে ১৯৮২ সালের ১ লা মে জন্মগ্ৰহণ করেন আলোকচিত্র শিল্পী অভিজিৎ মাজী। পেশায় শিক্ষক আলোকচিত্র শিল্পীর ছোটবেলা কাটে গ্ৰামের অত্যন্ত সহজ সরল পরিবেশে বেড়ে ওঠা আর পাঁচটা ছেলের মতোই। ফলে তখন থেকেই গ্ৰামের পরিবেশের সাথে একটা মেল বন্ধন গড়ে ওঠে তাঁর। সামান্য বিষয়গুলোর মধ্যে খুঁজে পান বিশেষ গভীরতা। হাইস্কুলের গন্ডি পেরিয়ে যখন উচ্চ শিক্ষার জন্য শহরে পাড়ি দেন তখনও ফটোগ্ৰাফির দিকে খুব একটা ঝোঁক ছিল না তাঁর। বরং সে সময় কবিতা লেখার প্রতি বিশেষ অনুরাগ লক্ষ্য করা যায়। সেই কবিতা লেখার সূত্র ধরেই অনিকেত গোষ্ঠীর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। এম এ( ইংলিশ ), বি এড করার পর শিক্ষকতার কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। তবে এই সময় ফোটোগ্ৰাফির নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। যখনই সুযোগ পান তখনই পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে খুঁজে আনেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা ভূমিরূপ এবং জনজীবনের ছবি। বিশেষ করে অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন এলাকাতে গিয়ে ঢোলবুরু সম্পর্কিত তাঁর ফটোগ্রাফির যে সিরিজ রয়েছে তা সকলেরই মন কাড়ে। পেশা নয় কেবল নেশার তাড়নায় তাঁর এই কাজ মন কাড়ে আমাদের। বছরের একটা বিশেষ...

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। সুমিত সরকার

ছবি
পশ্চিমবঙ্গের বৈচিত্র্যপূর্ণ ভূমিরূপ এবং বিচিত্র জনজাতিতে পরিপূর্ণ পুরুলিয়া জেলার সদর শহরে ১৯৮৩ সালে জন্মগ্রহন করেন সুনিপুণ আলোকচিত্র শিল্পী সুমিত সরকার। ছাত্রজীবন থেকেই ছবি আঁকার প্রতি অটুট টান ছিল এই শিল্পীর। কিন্তু পড়াশোনার চাপ ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে তা আর বেশিদূর এগোয়নি। অচিরেই নিভে যায় সেই আলোকবর্তিকা। পড়াশোনার সেইসব পাঠ চুকে গেলে, শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত হন তিনি। তারপর হঠাৎ করেই দেখা যায় ছবি তোলার প্রতি ঝোঁক। আর, এতে ইন্ধন যোগায় বেশ কয়েকজন বন্ধু-আলোকচিত্রীর সঙ্গ।                  পুরুলিয়া জেলার প্রথম সারির বিখ্যাত আলোকচিত্রীদের তোলা ছবিও অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে তাঁর। যার থেকে পথ চলা শুরু। অন্যদিকে পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য, গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিভিন্ন ধর্মীয় আচার এগুলোও বারবার টেনে নিয়ে যায় গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। যার প্রতিফলন ঘটতে থাকে আলোকচিত্র শিল্পীর প্রতিটা কাজের মধ্যে।                  আলোকচিত্র শিল্পী হিসেবে পথ চলতে গিয়ে ২০১৭ সালে উত্তরবঙ্গের নর্দার্ন ফটোগ্রাফিক সোসাইটি থেকে আয়োজিত অনলাইন ছবি প্রদর্শনীতে তৃতীয়...