তৃতীয় বর্ষ ।। সপ্তম ওয়েব সংস্করণ ।। ১ শ্রাবন ১৪২৯ ।। ১৮ জুলাই ২০২২
কেবলমাত্র পুরুলিয়া নয়, ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত প্রতিটি জায়গার ধান চাষ নির্ভর করে কেবলমাত্র বৃষ্টির জলের উপর। এখানে চাষের জমিতে সেচ দেওয়ার অন্য কোনো বিকল্প গড়ে ওঠেনি। গড়ে ওঠা সম্ভবও নয় খুব সহজে। তাই ধান চাষের জন্য চেয়ে থাকতে হয় আকাশের দিকে। যে বছর বৃষ্টিপাত পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়, সে বছর চাষবাসের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না চাষিদের। সাবলীলভাবে পেরিয়ে যায় চাষবাসের কাজ। কিন্তু সেই সৌভাগ্য প্রায় সময়ই হয়ে ওঠে না। তখন পড়তে হয় মহা ফাঁপরে। চেয়ে থাকতে হয় হা পিত্যেস করে। আর চাষ না হলেই চরম বিপদের মধ্য দিয়ে দিন গুজরান। অন্য কোনো কর্মসংস্থান নেই এলাকাতে। শিল্পনগরী জামসেদপুর এবং রাঁচি সংলগ্ন বেশ কিছু অঞ্চল ব্যতীত প্রায় সমস্ত এলাকার মানুষ নির্ভরশীল চাষের জমি থেকে পাওয়া সামান্য ফসলের উপর। এখন শ্রাবণ মাস। ১ লা শ্রাবণ। এখনও খুব একটা ভালো নয় চাষবাসের লক্ষণ। অর্থাৎ এ বছরও লক্ষণ ভালো নেই এই অঞ্চলের অর্থনীতির। চিন্তিত মানুষ। চাষবাস না হলে কিভাবে দিন গুজরান করবেন? এই ভাবনায় ভাবিত। সরকার কি এই ভাবনায় ভাবিত? খাতায় কলমে বাদ দিয়ে বাস...