পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র শিল্প ।। পৌষালী চক্রবর্তী

ছবি
এই সংস্করণের আলোকচিত্র শিল্পী পৌষালী চক্রবর্তীর আগ্রহের বিষয় কেবলমাত্র একটা নয়, কবিতা, ইতিহাস, দর্শন, উনিশ শতক প্রভৃতি নানা বিষয়ে তাঁর আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন বিষয়ের উপর আবর্তিত হয় তাঁর কর্মকাণ্ড। সেইসব নেশার মধ্যে বই পড়া, ফটোগ্রাফি, পাহাড়ে বেড়ানো আর ভারতীয় মার্গ সঙ্গীত শোনার নেশাও তাঁর এক বিষয়।              রসায়ন, তুলনামূলক সাহিত্য ও বাঙলা সাহিত্য নিয়ে তাঁর পড়াশোনা। পেশায় তিনি রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিক। সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে সামলেও লেখালেখির কাজে তিনি বিশেষভাবে দক্ষ। তাঁর লেখালেখির শুরু কবিতার হাত ধরে। ইতিমধ্যেই তাঁর বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে একটি গল্পের বইও। এবার তাঁরই কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরা হলো আপনাদের সামনে। উত্তম মাহাত, সম্পাদক  মূল পাতায় যান।

দুর্গা দত্তের কবিতা

ছবি
আখেটিক পর্ব : সাত খণ্ড আখেটিক : এক ১ শিকারপর্বের শেষ । স্বর্ণগোধিকার ছাল ছিলায় বেঁধেছি যত্ন করে । আমানির ঢোঁক নিয়ে এই আমার শিক্ষা দীক্ষা মন্ত্রগুপ্তি ক্রিয়াকর্ম বৃত্ত উদ্ভাবন -- আমাদের জ্যা থেকে সুকৌশলে হাড় মাস নিয়ে গেছে প্রচলিত যোগ্য কোনো জুতসই ধ্রুপদী শিকারী-- আমাদের হাড়ে দুব্বো গজিয়েছে বছর বছর ২ স্বর্ণগোধিকার কোনো জন্ম ইতিহাস  কোনো পরম্পরা আমরা জানি না এই নে ফুল্লরা তোর হাড় জ্বালিয়ে কেউ তোকে  বিরক্ত করবে না এই দুপুর বেলায় -- আমানির গান তুই তুলে রাখ গর্তে গর্তে , শিকেয় সাজিয়ে। এই নে রে ছাল তুই ইষ্ট গোধিকার, নে সোনালি চামড়ার -- যা ইচ্ছে তাই কর তুই,  প্রাণেতে  যা চায় তোর, যেমনটি চায় -- সাধ মিটিয়ে দেখ সব ছিঁড়ে খুঁড়ে শৌখিন বাগান ৩  আমাদের গাথা কোনো মঙ্গল আখ্যানে লেখা নেই। ফুল্লরা রে, আমানির চেনা স্বাদে জন্মান্তরে কাঁথা মুড়ি দে -- স্বর্ণগোধিকার ছাল ছিলায় ঝুলিয়ে নিয়ে   আমাকেও ফিরে আসতে হবে -- যদ্দিন না সেই গোধিকার অন্তঃসার , কানাকড়ি  তোর দাওয়া-তে  নিয়ে আসতে পারি !  আখেটিক  :  দুই এই নে ফুল্লরা তুই  ...

চতুর্থ বর্ষ ।। প্রথম ওয়েব সংস্করণ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩০ ।। ২৪ এপ্রিল ২০২৩

ছবি
দেখতে দেখতে তৃতীয় বর্ষ পার হয়ে চতুর্থ বর্ষে পা রাখলো আমাদের প্রিয় অরন্ধন ওয়েব পত্রিকা। ভালো মন্দ যাই হোক না কেন, সকলকে সঙ্গে নিয়ে সকলের ভালোবাসা নিয়ে এইভাবে একটু একটু করে এতটা পথ এগিয়ে আসার জন্য যে আন্তরিক ভালোবাসা ও সহায়তা পাওয়ার প্রয়োজন ছিল পাঠক ও লেখক লেখিকা বা কবি শিল্পীদের কাছ থেকে, তার এক চুলও খামতি ছিল না কোথাও। আগামীর দিকে হেঁটে যাওয়ার জন্যও এই ভালোবাসা ও সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। সকলের ভালোবাসা ও সহায়তা ব্যতিত একটা লিটলম্যাগ, সে অনলাইন বা অফলাইন যাই হোক না কেন, চলতে পারে না। তাই সকলের জন্য শুভ কামনা জানিয়ে ও সকলের কাছ থেকেই শুভ কামনা প্রার্থনা করে সামনের দিকে হেঁটে যাওয়া আমাদের। সবাই ভালো থাকুন। হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলুন সৃজনশীলতার দিকে। সুন্দরের দিকে। উত্তম মাহাত, সম্পাদক  ______________________________________________ যাঁদের লেখায় সমৃদ্ধ হলো এই সংস্করণ ______________________________________________ দুর্গা দত্ত / তাপস ভট্টাচার্য / দেবাশিস সাহা / শংকর ব্রহ্ম / বিশ্বম্ভর নারায়ণ দেব / হামিদুল ইসলাম / সুশান্ত সেন / তপন পাত্র  _________________________________________...

তৃতীয় বর্ষ ।। ষড়বিংশতি ওয়েব সংস্করণ ।। ২৬ চৈত্র ১৪২৯ ।। ১০ এপ্রিল ২০২৩

ছবি
কবি হয়ে উঠতে গেলে লেজ দরকার। তেল দরকার। দরকার চরণ ধোয়া জল। যেমন দেবতার কাছে মানত পূরণ করার জন্য দরকার বলিদান। দরকার বেলপাতা। আতপ চাল। তেমনি কবি হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও বলিদান দরকার! ঠিক পশু না। তার বিপরীতে থাকা বস্তুগুলোকেই বলিদান দিতে হবে এখানে। এমনই কথা ভেবে বেড়ায়। ভেসে বেড়ায় অলিগলি। ঠিক যে সকল পথে কবিদের যাতায়াত চোরাগোপ্তাভাবে।            অনেকেই আবার কবি সাজার কথা বলেন। কিন্তু কবি সাজব কীভাবে এই বিভ্রান্ত বিষয়টি বুঝে উঠলাম না এখনও।               শরীরকে সাজানো যায়। যেমন খুশি সাজানো যায় যে কোনো সময়। তার জন্য কবি হওয়ার দরকার পড়ে না। তাহলে কবি হওয়ার জন্য বিশেষভাবে সাজতে হবে কেন? বুঝতে পারি না।               অনেকগুলো রাত পেরিয়ে গেল। পেরিয়ে গেল অনেকগুলো দিনও। আমার হিতিকা হসপিটাল থেকে ফিরে বর্তিকা দিদির কাছে পৌঁছালো। আকাশের দিকে তাকাতে শুরু করলো। কিন্তু আমি তো একটাও কবিতার জন্ম দিতে পারলাম না। কত রকম সেজেও পারলাম না। তবে কি শারীরিক সাজার সঙ্গে কবিতার কোনো সম্পর্ক নেই। কেবলমাত্র মানষিক সাজার সঙ্গেই তার গভীর সম্পর্ক?                কবি হতেই হবে আমাকে এমন ভেবে কবিতা ভাবতে ভাবতে ...