পোস্টগুলি

মে, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চতুর্থ বর্ষ ।। তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ ।। ২২ মে ২০২৩

ছবি
বাংলার অরাজকতা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বহুকাল আগেই। এখন তা একেবারেই চরম। সমস্ত রকম ভাবে মানুষকে ঘিরে ধরার এই পন্থা এর আগে চোখে পড়েনি। একেবারেই নিচের সারিতে থাকা মানুষের কাজ ছিনিয়ে নেওয়ার এ এক নজিরবিহীন ঘটনা।              বলতেই পারেন, এ আবার কেমন কথা?               সোজা করে বলতে গেলে, নগদে ট্রাক্টর কেনার ক্ষমতা গ্ৰামাঞ্চলের এইসব সাধারণ মানুষগুলোর থাকে না। ঋণ ধার করে খানিকটা জোগাড় করে বাকিটা কিস্তি রেখে নিয়ে আসে গাড়ি। ভাবনা থাকে, খানিক মাটি, খানিক বালি বা ইট ফিট চালিয়ে শ্রাবণে লাঙ্গল চালাবে। পাঁচ সাত বছরে কোনোমতে কিস্তি শোধ করে নিজের হবে গাড়ি। তারপর দেখতে পাবে দু' এক টাকার মুখ। কিন্তু সেইসব কর্মকাণ্ড একেবারেই বন্ধ। অনুমতি নেই বালি তোলার। অনুমতি নেই মাটি খোঁড়ার। কি করবে গ্ৰামের মানুষ? সরকারের দেওয়া সামান্য নজরানাতেই বুঝি সাঙ্গ হয় সংসার খরচ?              বালি তোলার অনুমতি না থাকায় বন্ধ নির্মাণ কাজ। রাজমিস্ত্রি, কুলি, কামিন সকলেরই কাজ বন্ধ। নিজের বাড়ির জন্যেও নিজের ট্রাক্টর...

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। জয়দেব চক্রবর্তী

ছবি
ঘোড়ামারা দ্বীপ হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সুন্দরবন এলাকার একটি দ্বীপ। দ্বীপটি বর্তমানে ভাঙ্গন সমস্যার সম্মুখীন। দ্বীপটি হুগলি নদীতে মুড়িগঙ্গা নদীর উৎস মুখে অবস্থিত। সাগর ব্লকের এই ঘোড়ামারা দ্বীপে আছে প্রায় ১২০০ পরিবারের বাস। প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটার আছেন। আর জনসংখ্যা ৫ হাজারের মতো। আছে প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল, পঞ্চায়েত অফিস, পোস্ট অফিস, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আছে সুফলা চাষের জমি। একটা সচ্ছল জনপদে যা যা থাকে— তার সবই আছে। কিন্তু, দ্বীপের আয়তন ছোট হয়ে আসছে ক্রমশ! রোজই নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে তার ভূমি, তার সম্পদ। পরিবেশ দূষণ, ভূমিক্ষয়, সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতাবৃদ্ধি, এই তিনটি কারণে এই দ্বীপের অস্তিত্ব আজ প্রায় বিপন্ন। এই ছবিগুলো দিয়ে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে এবং তার ক্ষয়ে যাওয়াকে কিছুটা হলেও ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন এই সুদক্ষ আলোকচিত্র শিল্পী। ১৯৬৫ সালের ৬ই জুন কলকাতার এক ব‍্যবসায়িক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অসাধারণ এই আলোকচিত্র শিল্পী জয়দেব চক্রবর্তী। ফটোফ্রেমিং এবং বাইন্ডিং এই ছিল ওঁদের ব‍্যবসা। সেই সূত্রে ছোটোবেলা থেকেই বিভিন্ন নামী অনামী চিত্রশিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্মের স...

চতুর্থ বর্ষ ।। দ্বিতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ২৪ বৈশাখ ১৪৩০ ।। ০৮ মে ২০২৩

ছবি
____________________________________________ পুরস্কার বা সম্মান কবি নির্মল হালদারের মতো কবির পথ চলাকে প্রভাবিত করতে পারে না। পারে না অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতেও। তাই কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় নামাঙ্কিত পুরস্কার পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি থেকে প্রাপ্তির পর বাড়ি ফেরার পরমুহূর্তেই কবি নির্মল হালদার লিখে ফেলেন এই কবিতা-  "শাল -পিয়ালের চিঠি ---------------------------- ঘাম ও তেল ------------------- কচড়া তেলে রান্না নিম তেল মাখামাখি অনন্ত বেসরার গায়ের ঘাম নুন যেমন তেমনি তেল নুনে--তেলে ঢেঁকি শাক ভাজে, মা বসুমতি। খ: নিম তেল মাখামাখি কচড়া তেলে রান্না ডুমুর ফেটে গেলেই অজস্র বীজ, মস্ত পরিবার। চোখে আলো জ্বলে নকুল মুড়ার। গ: কুড়ালটা হাত থেকে ফস্কে যেতেই, যুধিষ্ঠিরের মনে হলো, রাগ করছে গাছ-গাছালি গাছে থাকা পোকারাও। কুড়ালটা ছুঁড়ে দিয়ে সে গাছের পায়ে কপাল ঠেকায়।" -----২১ বোশেখ ১৪৩০ ----৫---৫---২০২৩ -----নির্মল হালদার অর্থাৎ কবির কলম থেকে সাবলীলভাবে বেরিয়ে আসে প্রতিবাদের ভাষা। কবি প্রমাণ করে দেন পুরস্কার বা সম্মান পাওয়ার পরও তিনি নির্মল হালদারই। এই কথা আরও বেশি করে সুপ্রতিষ্ঠিত হয় তাঁরই এক...