পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গুচ্ছ কবিতা ।। তৈমুর খান

ছবি
গুচ্ছ কবিতা তৈমুর খান ১ নিশিবেলায় পাখির মতো ক্লান্ত দিন চলে যায় যেতে যেতে ডাকে ডাকার সংকেতে নিভে যায় আলো আঁধারের চুলগুলি জড়াই প্রিয়ার মতোন চোখেমুখে ২   আমার ঘর  এখানে শহর নেই  মাটির বাড়ির দাওয়ায়  নিঃস্ব পিতার ছায়া পড়ে আছে  মায়ের নিকোনো উঠোনে বৃষ্টির দাগ  আমাদের কিশোরবেলা আজও ছুটোছুটি করে  অদূরে মাটির কলসি ঠাণ্ডা জল নিয়ে বসে আছে  পিপাসা পেলে যাই তার কাছে  পাতার জ্বালে সেদ্ধ হয় ভাত  নতুন ধানের গন্ধে ঘর ভরে আছে  ৩ খিদে    পালাতে পারি না কোথাও  আমি ও আমার ছায়া কাছাকাছি থাকি  দুপুরে গরম ভাতের ঘ্রাণ এলে  খিদে পায়  রোজ রোজ খিদে পায় শুধু!  এই পুকুরের ঘাটে দু'দণ্ড বসি  বহু পুরনো সিঁড়িতে দেখি নূপুরের শব্দ লেগে আছে  আলতা পরা খালি পা কার উঠানামা করে?  দুয়ার খোলা আছে  বাগানের হাওয়া আসছে বসন্তের আমন্ত্রণ নিয়ে  সব কুঁড়ি ফুটবে এবার অনুরাগের পরশ পেয়ে!  পালাতে পারি না,  মাঝে মাঝে কোকিলের মতো ডাকি—  কেন ডাকি?  আমার ছায়াটি বোঝে সব, শুধু আমিই বুঝি না;  আমার শুধু খিদে পায়  এ আর এক অন্য খিদে— খিদের আগুনে হৃদয় সেঁকি!  ৪   প্রস্তুতি     তোমার আঁচলে কত নক্ষত্র ফুটেছে  বিচিত্র আলোর ঝিকিমিকি  ...

চতুর্থ বর্ষ ।। দ্বাদশ ওয়েব সংস্করণ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩০ ।। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছবি
শুধুমাত্র পুরুলিয়া বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারাদেশেই জাতি বিবাদ এবং ধর্ম বিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়াচ্ছে যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আমরা এই জাতি বিবাদ এবং ধর্ম বিবাদের কোন্ ভয়ংকর আগুনে নিক্ষেপ করে যাচ্ছি, তা ভাবলেও গা শিহরিত হয়ে ওঠে। আমরা কি সত্যি সত্যিই তাদেরকে সুরক্ষিত করে যাচ্ছি? নাকি সুরক্ষিত করার নামে আরও বেশি করে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছি?             ভোটব্যাংকের রাজনীতি করতে গিয়ে ভারতবর্ষের প্রতিটা দলই শুরু করেছে তোষণ নীতি। যার ফলস্বরূপ জন্ম নিচ্ছে জাতি বিবাদ, ধর্ম বিবাদ, কর্ম সংকট এবং অর্থনৈতিক চরম সংকট।              কর্ম সংকট এবং অর্থনৈতিক সংকট ঢাকাতে রাজনৈতিক দলগুলো আরও বেশি করে ভুলভাল নীতি প্রণয়নের দিকে এগোচ্ছে, যাতে তাদের দোষগুলোকে আড়াল করা সম্ভব হয়। ধোঁকা দেওয়া যায় পাবলিককে। আর তাদেরকে বাঁচাতে বদ্ধপরিকর তেল মারা মিডিয়াগুলোও নিজেদের কর্তব্য ভুলে কেবলমাত্র তাদেরই জয়গান গেয়ে চলেছে সবসময়। তারাও পালন করে চলেছে দলের মুখপাত্রের ভূমিকা। এহেন পরিস্থিতিতে কোন্ দিকে এগোবে দেশ? নিশ্চয়ই শান্তির দিকে না। বিশ্বশান্তির বাণী ছড়ানো এক, তাকে ...

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। সন্দীপ কুমার

ছবি
পরিচিতি   আলোকচিত্রী সম্মাননা পাচ্ছেন আলোকচিত্রী "আমি তোমারই মাটির কন্যা.... জননী বসুন্ধরা" রবীন্দ্রনাথ ও মা দুর্গা দুজনেই পরপর দুবছর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। একজন মর্ত্যের কবি, অপরজন স্বর্গের দেবী। বাঙালির বিশ্বকবি ও বিশ্বজননী। বেশ বড়সড় দুটো ইন্ডাস্ট্রি। দুজনকে কেন্দ্র করে কত কত মানুষের পেটের অন্নের জোগান হয়। বিশ্বকবি তাঁর কাব্যের উপাদান জোগাড় করতে মাটি, জল, আলো, ফুল, অরণ্যের কাছে বারবার হানা দিয়েছিলেন। বিশ্বজননীর অবয়ব তৈরি করতে মানুষ মাটি, জল, আগুন, কাঠ, খড়, নানান কিছুর সাহায্য নেয়। বিশ্বজননীর আরাধনা করতেও প্রকৃতি থেকে ফুল, ফল হনন করে নিয়ে আসি আমরা। এ ভারতবর্ষ বড় অদ্ভুত। এখানে দেবদেবীরা কোটি কোটি টাকার গহনা পরে সুসজ্জিত হন। আর হাজার হাজার নাগরিকগণ নগ্নপায়ে, নগ্নপোঁদে সর্বত্র বিচরণ করে বেড়ায় একটু সুরক্ষিত হয়ে জীবন যাপন করবে বলে। এ ভারতভাগ্যবিধাতার কপালটাই পোড়া। এ নিন্দা তবু সর্বজন গ্ৰাহ্য নয়। এ ভারতভূমি.... এ বসুন্ধরা যে মা উমার বাপের বাড়ি। বছরে একবার মেয়ে বাপের বাড়ি আসেন; কাশফুল শিউলি ফুল নিয়ে প্রকৃতিও যেন তাতে সামিল হয়। মানুষ মাট...