চতুর্থ বর্ষ ।। ঊনবিংশ ওয়েব সংস্করণ ।। ২৯ পৌষ ১৪৩০ ।। ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
তিলের পিঠে খাওয়ার পর তিল তিল পরিমাণে বাড়তে শুরু করে দিনের পরিধি। বাড়তে শুরু করে উষ্ণতা। শীতের কনকনে ঠান্ডাতে জবুথবু হয়ে ওঠার পর যার অপেক্ষায় দিন গুনি আমরা।
শুধু তিলের পিঠা না, গুড়-মুড়ি খাওয়ার কারণেই নাকি পিঠে রোদ লাগতে শুরু করে। মাঘের শুরুতেই রোদে দাঁড়ানো দায় হয়ে ওঠে দুপুরে। গুড় গলে গলে বেরিয়ে আসে ঘাম রূপে। ঘামে চকচক করে ওঠে শরীর। তখন সন্ধান করত হয় ছায়ার।
মকর পরব হলো মেয়ে বিদায়ের পরব। মেয়েকে একমাস ঘরে রেখে আদর যত্ন করার পর তার সমস্ত সাধ-আহ্লাদ মিটিয়ে বিদায় দেওয়া হয় মকর পরবের দিন। রোদন ভরা গানের সুর ভেসে ওঠে আকাশে বাতাসে। মেয়ে যে বছর না ঘুরলে আসবে না। দীর্ঘদিন থাকতে হবে মেয়ের মুখ দেখার অপেক্ষায়। তাই এই বিষাদের সুর। ভেসে ভেসে যায় নদীর জলের মতোই। যেমনভাবে ভেসে ভেসে যায় টুসুমণি। আমাদের মেয়ে।
"জলে হেল-অ জলে খেল-অ
জলে তোমার কে আছে?
মনেতে বুঝিয়ে দেখ-অ
জলে শ্বশুর ঘর আছে গো
জলে শ্বশুর ঘর আছে।"
জলে হেলে বেড়াচ্ছো। জলে খেলে বেড়াচ্ছো। জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে তোমাকে। এটা বেদনার মনে হলেও এটাই করতে হয় বাবা-মাকে। আপনজনকে। এটাই মেয়ে জীবনের বাস্তবতা।
এখন অনেক বোদ্ধা হয়েছে মানুষ। পরের মেয়েকে নিজের বাড়িতে বউ করে এনেও নিজের মেয়ের মতো করেই রাখতে শিখেছে। কিন্তু তখনকার সেই দিনগুলোতে নিজের মেয়ের মতো করে রাখার কোন সম্ভাবনাই ছিল না। শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া মানেই নানা অত্যাচার, নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনার শিকার হওয়া। বিয়ে দেওয়া মানে জলে ভাসিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তাই এই প্রতিকী উৎসব। এক মাসের টানা (সারা জীবনের লালন পালন) আদর যত্নের পর বুকফাটা কান্না নিয়ে টুসুকে (নিজের মেয়েকে) জলে ভাসিয়ে দেওয়া (শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া)। আর সেই রোদনের সুরে বুক ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া আদুরে টুসুরও। সেও যে ছেড়ে থাকতে পারে না আমাদের। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির গঞ্জনা, শ্বশুরবাড়ির শাসন কাটিয়ে বারবার আসতে পারার ক্ষমতা কই তার? সে যে পরাধীন।
উত্তম মাহাত, সম্পাদক
______________________________________________
যাঁদের লেখায় সমৃদ্ধ হলো এই সংস্করণ
______________________________________________
হাবিবুর রহমান এনার / শান্তনু রায়চৌধুরী / রামকুমার আচার্য / দেবযানী ঘোষাল / ভাগ্য / শ্যামাপদ মাহাত / উমাপদ / হিমাদ্রী মুখোপাধ্যায় / অনন্যা আচার্য /
_____________________________________________
হাবিবুর রহমান এনারের কবিতা
১.
আদম
উন্মনা...
এক নিশিতে বাবা আদম ভাবেন
বিবি হাওয়ার উরুতে মাথা রেখে
ঈশ্বর আমাকে সৃষ্টি করেছেন? না
আমি
ঈশ্বরকে ভালোবেসে সৃষ্টি করেছি?
২.
বাসনা
প্রজাপতি রঙিন বাসনা হৃদে
প্রবল উদ্যমে ডানা ঝাপটায়
বিস্তৃত আলোর পাঁজরে—
হয় আলোকিত
আমিও তো আলোর কাঙাল
কায়মনে যত চাই ফুটফুটে...
আলোর দিদার...দেব সাঁতার
আলোর আশায় বিভোর মন
তবু...ডুবে যাই অন্ধকারে
হায়
আমার জীবনে আলোর স্পর্শ
এবং নন্দিত নর্তন...বেগানা...
৩.
প্রজন্ম
ঘাস আর ফসলের বীজ
রোজ পল্লবিত হয় অজ্ঞাত ইচ্ছায়
পুষ্পের রেণু মাখে...কর্মপটু মধুকর
প্রজন্ম...আসে...প্রজন্ম চলে যায়...
কালের ভেলায় ভেসে যায় তরুলতা
ফুল পাখি ও পতঙ্গ বা শস্যের বীজ
বেড়ে ওঠে...ঝরে যায়, থাকে মমতা
অপরূপ প্রকৃতির ভাষা...খেয়ালি...
৪.
উর্বশী গোলাপ
শিশির সিক্ত প্রস্ফুটিত গোলাপটি—
মৌসুমি বয়ারে দোলে, অঙ্গে শিহরন
প্রিয়জনের মৃদু ছোঁয়া তার ...প্রশ্বাস
গোলাপটি আজ উর্বশী
প্রজাপতি রাঙিয়ে তোলে
পাখনার রঙ...গোলাপের কাঁচা রঙে
কিছুটা কাল্পনিক
শান্তনু রায়চৌধুরী
একটা তাজা কাটামুন্ডু আওড়াচ্ছে রামচরিত শ্লোক আর একটাতে লকলকে মৃত জীভের বিভৎসভাবে বেরিয়ে আসা। অন্যটার শ্বাস রোধে বিস্ফারিত চোখ। তিনটি তিন রকম আত্মঘাতী জন্মান্ধ ভালোবাসা। ভালোবাসার ভেতর ওত পেতে নিশ্চুপ আততায়ী ময়াল। আপাতনিরীহ প্রিজনভ্যানের দেওয়ালে লেখা অর্ধ উন্মাদ কবির দয়ালু কবিতাতে মাকড়সা বুনছে ঘাতক জাল।
কোন নাম ছিল না যে নামেই ডাকত সারা দিতাম ফলে অনেকগুলো নাম হলো।বেশিরভাগ নামই মুখটিপে আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করত। কতসব ন্যাকা ন্যাকা ছ্যাঁকা খাওয়া খিদে তেষ্টা পাওয়া সর্বনাম আর নামের ভিড়ে নিজেকে খুব একা পেলে চিৎকার করে কাঁদতাম। কান্না শুনে তুমি সহানুভূতি দেখিয়েছিলে ভুল করে ভাবলাম প্রেম।
রামকুমার আচার্যের কবিতা
১
অলংকৃতা
তুই এলি
ফুটফুটে সকাল হয়ে
তুই এলি
পাখিদের ঝাঁকে
শিউলি কুড়ানো আঙুলে
ফুলের রঙ তুলে রেখেছে মা
তোর কপালে টিপ দেবে
তোর ধুলো পা ধুয়ে দেব
আলো জলে
তোর জন্য রাখা আছে
অসংখ্য গাছ অসংখ্য তারা
তুইই সকাল
সবসময় দেখবি আমাকে
২.
দুই পৃথিবী
এক বিছানায় আমরা দুই বন্ধু
একসঙ্গেই স্কুল কলেজ।
হাসপাতালে বন্ধুর স্ত্রী
ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিয়েছে।
সকালেই বাবা হয়েছে বন্ধু
ছেলের নামকরণ নিয়ে ব্যস্ত সে।
আমার বাবা হাসপাতালের বেডে
নিউমোনিয়ার সঙ্গে লড়ছেন।
দুজনই ভাবছি বাবা ও সন্তানকে নিয়ে
ফিরে যাব নিজের নিজের ঘর
আমরা দুজন এক বিছানায় শুয়ে
দুজনের দুই পৃথিবী
দুঃস্বপ্ন
দেবযানী ঘোষাল
আমার স্বপ্ন দেখা দুটি নয়ন
হারিয়ে গেল কোথায় কখন
কেউ তা জানে না গো
কেউ তা জানে না।
ঐ যে শ্যাওলা মাখা আধ খোলা জানালা !
কপাট বন্ধ করতে গেলে মড়মড় শব্দে বলে দেয়,
না নানা বন্ধ করো না !
খুলে রাখো আমায়।
দেওয়ার মত ঐ সূর্যের আলোটুকূই তো প্রবেশ করতে পারে
আমার ভাঙা মরচে পরা কখানি শিক ভেদ করে।
বন্ধ করো না লক্ষ্মীটি ঐ কপাটখানি।
আঁধার ঘেরা বিবর্ণ ঘরটাতে তাই
একফালি রোদ এসে পড়ে সকাল সকাল।
আর আলো খেলে যায়
স্যাঁতস্যাঁতে ঘরটাতে একটুখানি উষ্ণতা দেবার আশায়।
কে কেড়ে নিল সে ইচ্ছাটুকু?
জানি না।
সত্যিই জানি না।
কোন অভিমান ছিনিয়ে নিল
এতটুকু কুসুম রাঙানো স্বার্থ?!
অনেক কিছুই তো বলা
বাকি রয়ে গেল !!
পেটের আগুন
ভাগ্য
ভাতের থালার মতো নরম সূর্য আকাশে
ধান ক্ষেতে কি আছে?
পুয়াল নাকি খড়!
নাকি গরীবের বেঁচে থাকার অবসর?
নাই, দুটার কিছুই নাই
নাই বলতে 'কিছুই নাই'
আছে পড়ে ইধার উধার পুয়ালের কুটি।
'কুটি' বোঝো বাবু 'কুটি'?
হলে ধান দুটি
উপাস থ্যাকত্য নাই পেটগিলা,
সেটাও খাল্য অটাইমের কাল জলে
দুদিন ভাল ধরে নাই চুলহা
ভিজা কাঠে কি আগুন জ্বলে?
চুলহার আগুন নিভে গেলেও পেটের আগুন নিভে কই?
আঘণ মাসে জল পড়ল্য বর্ষা থাকল্য ফাঁকা
পাকা ধানে মই পড়ল্য চাষার কপাল ফুটা।
লছু মাহতর দুটা ক্ষেত চারটা পেট
চুলহার আগুন আগেই গেছে নিভে
পেটের আগুন নিভে কই?
পাক
শ্যামাপদ মাহাত (বাঁশি)
টাঁড় থেকে বাইদ
বাইদ থেকে কানালি
বলদের সঙ্গে হেঁটে গেছি।
লাউলত আর সিমলতের সঙ্গেও জড়িয়ে গেছি।
শেয়ালেরও দুটি পা দেখেছি।
টিলায় বসে রামছাগলের জাবর কাটা দেখেছি।
বলদের উকুনের তরে আজও
সাদা বক ঘুরে বেড়ায় মাঠে মাঠে
কে বুঝে কার কারসাজি?
বন্ধু হে, আমিও তোমারই মতো
পাকে পাকে মুক্তি খুঁজি।
পোড়া বাঁশি
উমাপদ
ও নিপুণ বিরহের সুরেলা বাঁশি,
একটু প্রেমঘন আনন্দে বাজলে ক্ষতি কি?
দিব্যি সময় ভাঙবে এ চরাচরে,
এ হাত ও হাত ধরে ।
কাল চক্রের রথে ,তুমি কালজয়ী।
যে সুরেই তুমি বাজো না কেনো,
মন প্রান সদা উদ্বেল রবে নীরবে;
আস্তরণ নেই তবু, আভূষণে সজ্জিত।
তুমি উন্মুক্ত বলেই ,
হিয়ার মাঝে এত গোপন কলরব।
তোমার যাদুতে লিপিবদ্ধ হয়
প্রকৃতির যত রূপ -রস বর্ণ।
ধন্য শিল্পি ,ধন্য শিল্প।
যুগোপযোগী হয়ে চলুক বিচরণ,
মুখরিত হোক আকাশ -বাতাস,
মায়াময় -মোহময় নব নব সুরে |
হিমাদ্রী মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
চাষী
রাজা ও ঈশ্বরের গল্প শোনাতে শোনাতে
হঠাৎ একদিন দেখলাম
আমার হাতে কাস্তে,
সামনে উষর ক্ষেত
এবং সমস্যা।
চাষের জন্য বরাদ্দ জল
চলেগেছে মাঠ পেরিয়ে কারখানার দিকে।
ফসলের সুফলা গন্ধ
আড়তদারের গোডাউনে
আর -
খাদ্যের প্রতিটা দানা রোজগেরে শহরে...
আমার ঘরে ভাত বাড়ন্ত,
খাবার জলে আর্সেনিক
আর পরিধানে ছেঁড়া কৌপীন।
ঘর বলতে _
কেবল প্রত্নশহরের রেখাচিত্র
অথবা হরপ্পার ধ্বংসস্তূপ।
আমার হাতে কাস্তে আছে
কিন্তু জমিতে কেবল পার্থেনিয়াম।
আমার ঘরের ছাদ বোঝায় আকাশ,
দূরে ইলেকট্রিক বাতির আলো দেখা যায়।
আমি রাজা কে বললাম__
এ ধান আমার চষা।
এই আলোর জন্য
হাজার বছর আমি কয়লা খাদানের শ্রমিক।
আমার কাপাস ক্ষেত ছাড়া আর কোথাও
এই তুলো জন্মায় না।
এই জল আমার সন্তানের প্রথম হাসির মতো পবিত্র_
এ সব আমাকে ফেরত দেওয়া হোক...
রাজা বললেন
উৎপাদনই তোমার মূল কর্তব্য,
ফলের চিন্তা না করে কর্তব্যপরায়ণ হওয়া ধার্মিকতা!
অতএব কর্তব্যপরায়ণ হও। ধার্মিক হও।
আমি ঈশ্বরকে বললাম_
ঈশ্বর, এ মাটি আমার মা,
এ জল আমার অধিকার,
এ সবুজ আমার সৃষ্টির রঙ।
এই সব কিছু আমার চাই-ই চাই।
ঈশ্বর মুখ ফেরালেন কুরুক্ষেত্রের দিকে।
অথচ
আমি চাষী,
আমার হাতে কাস্তে,
মুখে রাজা ও ঈশ্বরের গল্প...
উপলব্ধি
প্রেমিকার শরীরে প্রত্ন-শহর খুঁজতে গিয়ে
নাবালক আঙুল হারিয়ে ফেলেছে যে ছেলেটা,
তার কথা আজ থাক।
অসুস্থ বাপ, ক্যান্সার মা
আর ছোটো বোনের বিয়ের ভার কাঁধে নিয়ে,
রাস্তার ধারে আলুকাবলি বেচতে বেচতে-
যে ছেলেটা অ্যাটলাস হয়ে গেল...
তার কথাও বলবো না আজ।
বরং
আজ তোমার কথা বলি_ প্রিন্স আনোয়ার শাহ্ রোড...
বৈভবের প্রাচীর ঘেরা ঝুলবারান্দায় এখন অন্ধকার,
তোমাদের প্রাসাদোপম রসনার ভেতর
ঝুলে আছে যে সব দিন
কোনো এক কালে তাতে চাকচিক্য ছিল,
নহলী মেয়েদের হাতের মতো সুন্দর করে-
কাঁকন বাজাতে জানত দুপুর
অথচ সে সব রেখে
গুমখুন হয়ে গেল প্রেমিক বয়স!
এক মধ্যবয়সি হিজড়ের হাত ধরে
জীবন বেরোলো মূল্যায়নের খোঁজে...
আর 'সত্যি'_ বুক ঠুকে দাঁড়াতে শিখলো বৈভবের ওপর,
তখন তুমি ক্লান্ত, জিরোতে চাইলে ছায়ার শরীরে!
ছায়া তোমাকে শোনালো বৃক্ষগান।
উপলব্ধি আসলে সেই বৃক্ষের নাম
যার বোধছায়া মানুষকে বিশ্রাম দেয়।
স্নান - ৩
হাঁ-মুখে উগরে ধরো ব্রহ্মসত্ত্ব-মাটি
তৃষ্ণাকে কৌমার্য স্নানে চিনিয়েছ জল_
বামন-দ্বিপদ তোলো, শ্রমণ মুদ্রাটি
চাষের বিকারে ভাঙে পুরুষ লাঙল...
মোহবালি সিক্ত হয় গর্ভ-ইঁদারাতে
সনাতন মুখে ফোটে ঘামের প্রবাদ
লবনের দোষ জমে সাগরের হাতে
মোহনা মুছিয়ে দেয় ঢেউয়ের প্রমাদ;
কুমারী নৈবেদ্যে তুলে ধরেছি অঞ্জলি
এই নাও মূলচক্র, বিল্বগ্রাম শিলা,
যেই বাক্যে খুলে পড়ে মোহন-কাঁচুলি
মৈথুনে স্তম্ভনে সে-ই চৌপদ কাফিলা...
এই মাত্র আছে দেবী বল্কল বিস্তার,
তোমাতেই মুগ্ধ ডুব, দেহাতি সাঁতার।
কাঁসাইয়ের জলের আনন্দে মিশে থাক
অনন্যা আচার্য
কবিতার মালাখানি আজ থাক কবির হৃদয়ে। আমি গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা রূপকথার রাজপুত্র দেখব। রঙ লিখব বলেই তো প্রতিদিনের দু'চোখ মেলা। রূপকথায় ফ্যাকাসে রঙেরাও আনন্দের ছবি আঁকতে জানে। আমি শুধু গাঁথতে জানি পলাশের মালা। পলাশের রঙ দিয়েও তো ছবি আঁকা যায়! জানতে হয় বুননের কৌশল।
কবিতায় আমি রঙ দেখি। প্রকৃতির রঙ। অকৃত্রিম সেই রঙের আনন্দে নেই কোনো ফাঁকি। আছে চঞ্চলতা ও নদীর পাড়ের সন্ধ্যে। কতকিছু তোমাকে দেওয়া হল না। অভিমানের মাঝেও যদি রঙ খুঁজে নিতে পারতে, তবেই তো পেতাম সেই ফুলেদের দেখা। রঙের মালা গাঁথা সেদিন হয়ে উঠত সম্পূর্ণ।
জ্যোৎস্নার রঙ আজ দুজনের কাছেই ভিন্ন। তবুও চাঁদ যে একটিই। পথ অনেক হলেও ভিজে মাটির গন্ধ, পাহাড়িয়া সন্ধ্যের ধীর চলন কভু বদলাবে না। আর বদলাবে না সেই পাহাড়ের স্বপ্ন ও তার রঙ। স্বপ্নের লালনের মাঝেও রাঙিয়ে নেওয়া যায় তার ভালোবাসার পরিসরখানি। ঘরেতে সে নাই বা এলো। কাঁসাইয়ের জলের আনন্দে সে মিশে থাক অথবা পলাশের ব্যথা হয়ে।
______________________________________________
আমাদের বই
সম্পাদক : উত্তম মাহাত
সহায়তা : অনিকেতের বন্ধুরা
অলঙ্করণ : টুসু, আন্তর্জাল
যোগাযোগ : হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৯৩২৫০৫৭৮০
ইমেইল - uttamklp@gmail.com
খুব সুন্দর হয়েছে।
উত্তরমুছুনচমৎকার, ঋদ্ধ আয়োজন
উত্তরমুছুনঅভিনন্দন ও শুভ কামনা নিরন্তর!
অনবদ্য সম্পাদকীয়। কবিতা এবং ছবি বেশ স্পর্শিল– উপানন্দ ধবল
উত্তরমুছুন