পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। মনি দাস

ছবি
এক মেদিনীর দুই পারে ‘কিরে তোর হাতের খাঁড়া কই?’ -গায়ের রং কালো, তাই, এই বলে খেপাতো সবাই রাস্তাঘাটে। যখন তিনি ঘরে ফিরতেন পড়ন্ত দুপুরে ১৫-১৬ টা গরুকে গুটিয়ে। স্কুলের ফাঁকে বা স্কুল ফাঁকি দিয়ে এটাই ছিল তাঁর অন্যতম কাজ। আরো ছিল, যেমন চাষের কাজে বাবাকে সাহায্য করা, রান্নার কাজে মাকে সাহায্য করা, ধান ঝাড়া, গোলা গোছানো আর ছোট ভাইকে সামলানো। এসবের মাঝে পড়াশোনা সত্যিই যে কতটুকু হতো আর কতটুকুই বা মাথায় ঢুকতো কে জানে! আর এটাও কেউ জানতেন না যে, বাড়িতে কেউ এলে বা কোথাও কারুর বাড়িতে যাওয়ার হলে কেন লুকিয়ে পড়তেন তিনি ঘরের কোণে! সেটা লজ্জা ছিল, না ভয়, নাকি কুন্ঠা? হয়তো বা সবকিছুই একসঙ্গে। ১৪ বছর পর আজও হয়তো পাল্টায়নি কিছুই, প্রেক্ষাপট আর অনুষঙ্গ ছাড়া। তবে এখন নতুন কোন জায়গা এক্সপ্লোর করতে বা কারোর সাথে যেচে আলাপ করতে কোন লজ্জা হয় না তাঁর। তাই আজ আর কেউ তাঁর হাতের খাঁড়ার খোঁজ করে না। বরং জিজ্ঞেস করে ‘কিরে মনি তোর ক্যামেরা কোথায়? দিবি একটা ছবি তুলে!’ দিল্লিতে চলে যাওয়ার পর জীবনের ঝড় জল রোদে পুড়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে তাঁর সেই কালো রং। তাই রং-এর দুঃখ আজ আর ততটা নেই যতটা আছে একটা বড়সড...

চতুর্থ বর্ষ ।। চতুর্বিংশতি ওয়েব সংস্করণ ।। ২৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ০৮ এপ্রিল ২০২৪

ছবি
বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াই কোন পরিবারের বাচ্চার স্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে ওঠার পর সেই বাচ্চার বাবা-মা গৌরবান্বিত হয়ে প্রতিবেশীদের কাছে নিজেদের বড়াই করে বেড়ান যে, বহু কষ্টে বহু যত্নে বহু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে সন্তানের উন্নতি ঘটিয়েছেন তাঁরা। ঠিক সেভাবেই ভোটের মুখে নিজেদের বড়াই করে বেড়াচ্ছেন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। কোন বিশেষ অঞ্চলের জন্য কোনকিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করেও সেই অঞ্চলের উন্নতি নিয়ে নিজেদের নাম-গান করছেন দিনের পর দিন। যেন তাঁদেরই বিশেষ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে সেই অঞ্চলের উন্নতি সাধন সম্ভব হয়েছে।               আসল কথা বলতে গেলে, কোন উন্নয়নশীল দেশের বিশেষ কোন একটা পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের চারপাশের অঞ্চলগুলো, সে ভিন্ন রাজ্যের হোক বা নিজ রাজ্যের, অর্থনৈতিক দিক থেকে এগিয়ে থাকলে মাঝখানে থাকা সেই পিছিয়ে পড়া অঞ্চলেরও স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংঘটিত হয়। এবং সেই উন্নয়ন সংঘটিত হয় সেখানকার অধিবাসীদের প্রচেষ্টাতেই। কিন্তু রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা তখন সেই অঞ্চলের উন্নয়নকেও নিজেদের প্রচেষ্টার ফসল বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এবং বড়াই করতে থাকেন যে...

শিশির আজমের কবিতা

শিশির আজমের কবিতা ১. ইভের আপেল আপেলটা তো আমি খেতেই চেয়েছিলাম আমি ভাবলাম ইভ যদি আমাকে অনুরোধ নাও করতো তবু আমি আপেল খেতাম হ্যা আমি দ্বিধান্বিত ছিলাম শঙ্কা অস্থিরতা কিন্তু ইভ আমাকে কতটা ভালবাসে আমি জানতাম আর বাগানে কত কত ফল আর একটাই আপেলগাছ হ্যা আমি চেয়েছিলাম আপেল নিজ হাতে গাছ থেকে পেড়ে ইভ আমাকে খেতে দিক ২. রাত দুটোর খবর কফি আমার পছন্দ।                  আনা পাবলোভা গত রাত দুটোয় আমাকে কফি খেতে দিয়েছেন-                  উদয়শঙ্কর জানেন না! ৩. কালো গরু কালো গরু শীর্ণ তারাগুলোকে চিবিয়ে খাচ্ছে শূককীটগুলো তার আশ্রয় ভাল নেই মন্দ নেই জলের কথায় মিশরীয় গুহা মোমবাতি পোড়ে তো পোড়েই আর ভুলে যাওয়া মন হঠাৎ যখন তারা ফেরান অবিস্ফারিত জলের দিকে তিনি নেই ফিরে যাও জলের পাহাড় ফুল কই আর ভোর অব্দি উপোস কাটানো বিষাক্ত জলপোকা উড়– উড়– পাথরের একটা দিন শত শত দিনের অনিচ্ছা বয়ে বেড়ায় তিনি উড়ে বেড়ান  হস্তশিল্প নেশা ৪. মাটির নিচের বিষ্ময়কর রেখাচিত্র ঘাসের নিচে সাপ ঘাস আর সাপ কুয়াশা আর সূর্যের খামখেয়ালিতে ভরা শিউলিগন্ধের বৃষ্টির ভিতর জ্বলজ্বল করছে কুকুর ঘুমের দেয়ালে সরীসৃপের ক্রমবর্ধমান স্নেহবোধ এখানে এই বরফের গাছের নিচে ক...