কবিতা, প্রীতম বিশ্বাস




প্রীতম বিশ্বাসের কবিতা



১.

আশ্রয়


অতঃপর এসো, পাশে বসো৷

বিলি কেটে দিই চুলে৷

ধূসর ঝড় জমে আছে গহীনে;

জাপটে ধরো পিতার হৃদয়ের মতো এ বুক৷ এ অসুখে আলিঙ্গন প্রয়োজন৷


কথা বলো না, মাথা রাখো বুকে,

ঘুমাও,

তোমার দু'চোখে শতাব্দীর না আসা ঘুম জেগে আছে,

ঘুমাও।


চোখের থেকে ভালো কোনো বিরহমূলক উপন্যাস নেই৷

নীরব পাঠ করি আমি, শব্দের কী প্রয়োজন!

প্রতি পৃষ্ঠার পরতে পরতে মেঘ জমে আছে৷

ঝরুক,

জামা-বুক ভিজে যাক আমার৷


যেভাবে হঠাৎ আসা বৃষ্টিতে পথিকের আশ্রয় অচেনা ছাউনি, মনে করো তেমনি আমি৷

বৃষ্টি শেষে মেঘ কেটে গেলে ঘরে ফিরে যেও।


জেনো,

ছাউনির কোনো দাবি নেই,

থাকে না কখনো, পিতার মতো৷




২.

উপলব্ধি


একটি দুঃখ থেকে আরেকটি দুঃখে পৌঁছানোর মধ্যবর্তী সময়কে সুখ বলে জেনেছি।


সুখকে তাই অতিথি বলি দুঃখকে পরমাত্মীয়।


জেনেছি, সহজে সহজকে যায় না বোঝা,

শব্দের থেকে ধ্বনিময় হয় নিঃশব্দ।

জেনেছি যায় না মাপা শূন্যের পরিধি।


আমি তাই সহজের কাছে সরল হই,

শব্দের কাছে নির্বাক,

শূন্যের কাছে নত।




৩.

অনুরোধ


শব্দের চাবুক চালাও

সারা দেহে ছেপে দাও তোমার কবিতাক্ষর।

অথবা ছেনি দিয়ে খোদাই করো,

সাজাও একের পর এক মরমিয়া শব্দগুলি।


যাতে আমি হয়ে উঠি আদ্যপান্ত কবিতার বই।

আর আমাকে পড়ে, বলুক তোমার

কথা লোকে ___


কী দারুন! লিখেছে ঈশ্বর।







মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। সন্তোষ রাজগড়িয়া

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র শিল্প ।। মুকেশ কুমার মাহাত

পঞ্চম বর্ষ ।। তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ০২ অক্টোবর ২০২৪