কবিতা, সম্রাট সেনগুপ্ত
সম্রাট সেনগুপ্তের কবিতা
১.
এগিয়ে যাওয়ার পর
স্বপ্নের মধ্যে যারা এগিয়ে ছিল
তারা গেছে পিছিয়ে,
যারা স্বপ্নাদেশ পেয়ে চলে গিয়েছিল
ফিরে এসে দেখেছে বিক্রি হয়ে গেছে বসত বাড়ি,
একটা বয়সে সময়কে মনে হত কাল
আর পরশুকে পাশের বাড়ির জানালা,
স্বপ্নদোষ তখন রক্তে ভিজিয়ে দিত মন,
পোশাকের মধ্যে ফুলে ওঠা হৃদয়
বাড়িয়ে বার বার বুঝে গেছি ছোঁয়া যাবে না আকাশ,
তাই বাড়িয়ে দিয়েছি দুই হাত যাদের আলগা মুঠো,
স্বপ্নের মধ্যে যারা পিছিয়ে রয়েছে
তারা একদিন ফিরতি পথ খুঁজবে পদচিহ্নে,
আমি তখন দমকা বাতাস রাতের স্বপ্নাদেশ -
যার যোগফল শূন্যের কাছাকাছি।
বসতবাড়ি ভাঙার পর গভীর রাত্রে দেখি
নির্মীয়মান বহুতল - অর্ধেক বানানো সিঁড়ি,
স্বপ্নের মতো মধ্যরাতে উঠে বুঝে নেব এ জীবনে আর
পৌঁছানো যাবে না ছাদে -
টিলার ওপরে সূর্যাস্ত দেখার ছুতোয়
তবুও উঠে যাবো পাহাড়ের চূড়ার খুব কাছাকাছি,
সেরে গেলে স্বপ্নদোষ - হৃদয়ে ফুটো -
শরীর ভেঙে গড়ায় জল।
২.
না থাকার কবিতা
কালো রাত
কেটে গেলে তুমি এলে,
ছুঁয়ে যাও যেমন রোজ রোজ
আমার ঘুমন্ত কপাল,
জেগে উঠে দেখি
শিশির বিন্দু জমে আছে,
যেখানে না থাকা প্রতিদিন ঘুম হয়ে যায়।
কালো রাত কেটে গেলে
তুমি আসো, জমে ওঠে মেঘ,
নেশার যত আয়োজন,
সারাদিন ধরে সাজাই
প্রয়োজন আর
সন্ধ্যা হলে বেড়ে চলে পেগ,
পানাহার শেষ হলে
গেলাসে গেলাসে থাকে
রক্ত অথবা কালির আঁচড়,
সেইসব না থাকাই
প্রতিদিন লিখে ফেলে কালকের ভোর।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন