কবিতা, শুভাশীষ ভাদুড়ী
শুভাশীষ ভাদুড়ীর কবিতা
১.
দিন থাকিতে দিনের সাধন
আমি হাঁটি চেনা গলি ধরে
একা একা, সঙ্গে কেউ নেই ,
গলিটা তো তিন-রাস্তা মোড়ে
হারিয়ে ফেলেছে তার খেই;
মিশে গেছে কর্মব্যস্ততায়,
একটানা একঘেয়ে সুরে
বড় ভারী গম্ভীর চাকায়
জড়িয়ে, সে চলে গেছে দূরে
আমার বিরক্তি জাগে খুব,
চেনা ভঙ্গি, জানা শব্দস্বরে
থমকে যাই নেশাড়ু-বেকুব,
ধুলো-ধোঁয়া চটি জাপটে ধরে।
ঝিমানো দুপুর গলি থেকে
কখন দাঁড়ালো পাশে এসে,
এতসব নড়াচড়া দেখে
তারও ভাতঘুম গেছে ফেঁসে,
মুখ এনে কানের ওপরে,
চুপি চুপি আলস্য জড়ানো
গলায় আমাকে প্রশ্ন করে--
নিরিবিলি কোনও প্রান্ত জানো?
আমি ভাবি...দুপুরও চিন্তায়...
শশব্যস্ত জঙ্গি ভূগোলের
কোন্ দিকে, কোন্ ঠিকানায়
ঝিম ধরে চলা যাবে ফের!
কোনদিকে গেলে তবে প্রায়
আরেকবার ফের হাঁটা যাবে
পাট-ভাঙ্গা নতুন রাস্তায়...
২.
নিচু তলার পদ্য
ও ফঙ্গ-বেনের দল ,
কোন রঙ্গবশে বল
অঙ্গ ভ'রে ছোপালি গুলাল ,
চেয়ে দ্যাখো চতুর্দিকে,
স'ন্দে হয়ে এল ফিকে ,
বের হচ্ছে রাতের কঙ্কাল
রাত বড় ঢ্যামনা বুড়ো,
কম্বলের ধরা-চুড়ো
পরে যদি হাজির এখানে,
আমরা কেন দুখ্খু করে
যাব চলে যম-দুয়োরে;
কেন ঘরে খিল দেবো মানে!
তাই এই নাচা-গানা ,
বিধি মতো নজরানা
দিতেই চ্যাতাচ্ছি এত ঢঙ ,
খাটিয়ায় হরিবোলে
রবি চন্দ্র তারা দোলে,
খসে পড়ছে মৃত্যুর ভড়ং...
তবে হোক ঢাকঢোল ,
বাজুক মৃদঙ্গ খোল
হইহাল্লা কানফাটা রবে,
জল ঝেড়ে গামছা নিংড়ে
ছুটে এসো এই ভিড়ে,
ফঙ্গ-বেনে জীবন উৎসবে ।।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন