তৃতীয় বর্ষ ।। দশম ওয়েব সংস্করণ ।। ১২ ভাদ্র ১৪২৯ ।। ২৯ আগষ্ট ২০২২



ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হবে ভেবে ঠক বাছতে ছেড়ে দেওয়ার অর্থ কোনো না কোনোভাবে তাদের সাথে বসবাস করতে চাওয়া এবং কোনো না কোনোভাবে তাদেরকে রেখে নেওয়ার ইচ্ছাকে গোপনভাবে জাগিয়ে রাখার চেষ্টা। কিন্তু কেবলমাত্র ঠক দিয়েই তো একটা গাঁ হয় না। সেখানে ভালো মানুষেরও বাস থাকে। ঠকদের সঙ্গে বাঁচতে গেলে তাঁদেরকে ছাড়তে হবে এক সময়। অর্থাৎ তাঁরা নিজেরাই সরে যাবেন সেখান থেকে।
    যখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার, যখন সংখ্যায় কম ছিল তারা, তখন সিদ্ধান্ত নাওনি। এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছো না। উল্টে বিলিয়ে যাচ্ছো নানা বাহানায়। কালোকে সাদা করার চেষ্টা করছো। অর্থাৎ তাসের ঘর বানাচ্ছো দিবারাত্রি। সামান্যও ঝড় সইতে পারবে তো এই তাসের ঘর? নাকি পঁয়ত্রিশ বছরের পুরনো তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে পড়বে একদিন?
              কথা যাই হোক, মানুষের মনের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গেরোয়া পছন্দের নয়। তার মূলে একটা ভয়ও আছে। তার বদলে অন্য কোনো রং যদি দেখা দেয় আকাশে, উল্লাসে ফেটে পড়বেন মানুষ। বেরিয়ে পড়বেন রাস্তায়। মুক্তির হাসিতে ভরে যাবে চারপাশ।
               মনে রাখা ভালো, কলসির পিছনে অর্থাৎ বাইরে আঠা দিয়ে জল আটকানো যায় না। আঠা দিতে হয় ভিতরে।
             

উত্তম মাহাত, সম্পাদক 



______________________________________________
যাঁদের লেখায় সমৃদ্ধ হলো এই সংস্করণ
______________________________________________
হাবিবুর রহমান এনার / উমা মাহাতো / অয়ন জোয়ারদার / তানিয়া চক্রবর্তী /  দেবাশিস সরখেল  / উৎপল দাস / সত্যম কুড়মি  / মধুপর্ণা কর্মকার /  তপন পাত্র / 
______________________________________________



হাবিবুর রহমান এনারের কবিতা 


১.
দু'হাত পূর্ণ পাপে 


উষ্ণতা তালাশ করতে গিয়ে দেখি- দু'হাত পূৰ্ণ পাপে 
রোদন-সপ্নে ঘুম টুটে— জেগে উঠি নিদারুণ সন্তাপে

জ্যৈষ্ঠে ফিরে এসো বৃষ্টির ছলে ধুয়ে দিও বোধ আর 
বিবেক

নিশি-রাতের প্রতিটি শৈল্পিক স্পর্শ-আমার সপ্নময় 
বুকের উত্তাপ ছেড়ে— মোহমেঘে আলো ফেরি করে 
শশধর

ধীরে ধীরে পথ হারানো রাতের তাবৎ আঁধার গিলে 
খায়— বর্ষণের নগর  
তথাপিও- আলো-অন্ধকারের পূর্ণ থলে শূন্য হয় না 
কখনো!




২.
শুষে নেয় মাটির যতো দীর্ঘশ্বাস 


সারো পাখির পায়ে হলদে রঙ হয়ে জড়ায়ে থাকি শুষে
নেয় মাটির যতো দীর্ঘশ্বাস

বর্ষার বৃষ্টি জানে না বাতাসের গায়ে লিখে রেখেছি
রকমারি ফসলের শত ইতিবৃত্ত

আঁতকে ওঠা শিশিরের চাঙর ভোলাতে পারে না-
নবান্নের যতো সব সুমধুর গল্প 

কৃষকের গতরে গতরে দ্যাখো কাদারই রোশনাই
কৃষাণীর হাতে হাতে মঙ্গল কুলা

আঁধারের অন্তরাল হতে ফিরে আসে সুসময়--

মাঠ-ঘাট কিংবা গাঁয়ের ধুলো-বালি পাছে ফেলে
সড়কের মসৃণ বুকে দাঁড়াতেই, দু'পায়ে জড়ালো 
চঞ্চলা--
কৃষক বালিকার মায়ার শিকল!






কাঁটা

উমা মাহাতো 


সবার মতো  মাঠে ঘাটে  হেঁটে বেড়িয়েছি।
মুক্ত পা। ছোটবেলার গ্রামজীবন। সুন্দর। স্বাভাবিক।
বাবলা, বেগুন,জংলী-ক্যাকটাসের ফুল দেখতে গিয়ে কতবার কাঁটা বিঁধে বিঁধে  নাকাল
...  সোজা হয়ে পা ফেলতে পারিনি উঠোনে।ছুটতে পারিনি ঘাসে।


অনেক পথ পেরিয়ে এসেছি আজ।
জুতোজোড়ার মতো হাসি দিয়ে
ঢেকে দিয়েছি কাঁটা বিছানো জীবন।

বেদনা সরে সরে ঊর্ধ্বগামী অজান্তেই
ব্যথা হারানোর ব্যথা
হৃদয়ে গোপন আঁতাত 

তেমন টসটসে যন্ত্রণা   জারিয়ে রাখছে না বহুদিন।
যা কিছু ফেলে এসেছি কাঁটা, সব আজ বিস্মৃত ফুল।ফুটুক। আবার ফুটুক।






এপিটাফ-৪

অয়ন জোয়ারদার


শুধু বলো লোকটা সব মিলিয়ে খারাপ ছিল না।
দোষ ছিল, স্বার্থপরতা ছিল, প্রতিহিংসা ছিল।
ভালবাসা পাওয়ার জন্য নিজের সাথে নিজেই যুদ্ধ করত।
খিদে ছিল, মাথাব্যথা ছিল আরও কিছু যা মানুষের থাকে
ঘুম ছিল না, চিন্তা ছিল - ব্যর্থতার জন্য হতাশ ছিল।
প্রকৃতির মধ্যে ছিল। কীট থেকে শুরু করে মহীরুহ পর্যন্ত  
অকৃপণ যাতায়াত ছিল।
অন্যায় করেছিল... কষ্ট পেয়েছিল... কষ্ট দিয়েছিল।
তাও একবার বলো, লোকটা একেবারে অমানুষ ছিল না।




তানিয়া চক্রবর্তীর কবিতা 

১.
গন্ধ ও টান


কী এক শব্দ বলেছিলে তুমি মিত্র...
সু মিত্র ধারণ করো  অন্তরে...
নারকেলের মতো দক্ষিণ ভারতীয় তুমি...
 তখন আমি ডাল ভাত খাই

মাংসে অরুচি ছিল খুব...
তুমি দেশীয় মাংস তন্দুরের মতো রাখলে...
এবারে ভাবলাম গন্ধ ও টান..
একটু মাংস খাই....
খিদে তো অন্তরে থাকে...পাপী খিদে...
খাদ্যের লোভ মন দেয় ঢেলে...
গন্ধ চেনা কুক্কুরীর জাত...
আমি সে জীবের গুণ চুরি করে...
মানবে সাজাই....ফলে প্রকৃতি ব্যঙ্গ করে...


গন্ধ হারায়....গন্ধের অভাবে টান শুকিয়ে আসে..

গ্রীষ্মের নারকোল তুমি...ভেবেছি শোষণকারী

তাই নুন দিয়েছি গোঁড়ায়


জাত ভুলে তুমি শৈত্যপ্রবাহের দেশে গেছ...এখন আর নুন...


যখন নুন তোমার বুক থেকে বাড়াবে স্পৃহা...
আমার গন্ধস্রোত প্রকৃতি ফেরত নেবে জেনো...




২.
শূন্যের দাম


পুরোটাই এখানে.... এইখানে শূন্যে

এই যে শব্দ আসে বাক্য ধরে

কোথা হতে আসে? 
কোথাও কী থাকে জমা হয়ে!!


শূন্য থেকে আসে....
শূন্য কত জন্মকামী ভাব...
আগে যদি বুঝত এ প্রাণ...
তবে কিছুতেই নিত না দেহরূপী সংকেত!
প্রকাশে হত্যা করি শূন্যের শরীর...
এ পাপ ধরে ধরে মৃত্যুগামী হই...




সন্ধ্যা কাক অগ্নিবলাকা

 দেবাশিস সরখেল 


যা  খাচ্ছো 
 তা বাপের জন্মে পাওনি ।
 যে মেয়েটা রান্না করে
 আগুনের পাশে ঘাম ঝরে  
          খেতে বললে ছুটে পালায়
 পাঁচ ঘরে সামান্য কামায় ।

 তোমার রসনার আরাম
 প্রকৃতপক্ষে বহু মানুষের  রক্ত অশ্রু ঘাম ।
 বেঁচে আছো পথ্যে  , টেবিলে মেডিসিন
 বেঁচে আছো , কর্মহীন দীপ্তিহীন
                           ধূসর সন্তাপে ।
  অসুখের ভেতর একটুখানি সুখ থরথর কাঁপে
                                         এই বুঝি এলো ডাক
 দিনান্তের সন্ধ্যাকাক
                     লজ্জার মাথা খাওয়া
       শ্রমের ঘামের  নুন কেড়ে খেয়ে  টিকে থাকা
         হয়েছো  ঘাড়ছোলা  পাড়ুক  ,
                                   চেয়েছিলে সিন্ধুবলাকা  ।
 একদিন লজ্জার বসন খসে যাবে
 ডাক দেবে সন্ধ্যাকাক , জীবন জুড়োবে ।





উৎপল দাসের কবিতা

১.
পরব-পার্বণ


কাশ ভর্তি মাঠ আর সদ্য বেড়ে ওঠা 
সবুজ ধানের ভিতর দিয়ে দ্রুত ছুটে চলা
নদীর কলকল শব্দে আড়ি পেতে শুনি
পরব পার্বণের উৎসকথা। 
বেলনদড়ি ঘাসের খোঁজে মা ঘুরছে নদীর পাড়ে 
হাতি ঘোড়া শিয়াল শকুনের পূজা... 

কাঁধে ঢাক তুলে কাশবনে দাঁড়িয়ে আছে 
হাড়িরাম নাটুয়া 



২.
দাগ


কৌষিকী অমাবস্যা রাতে 
উঠোনে গাছ ভর্তি জোনাকি 
শুভেচ্ছায় ভরে উঠতো মন 
তুমি তখন ষোলোর আগুনে 

সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে সেদিন 
ঝমঝম বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে 
আমাদের গায়ে কাদা লেগেছিল...




লিপিকথা 
           
সত্যম কুড়মি 


পৃথিবীর কঠিতম অসুখ কি জানো প্রিয়? প্রিয়জনকে না পাওয়ার বেদনায় প্রতিটি ঋতু অতিবাহিত করা। হাঁসফাঁস করতে করতে দৌড়ে টিকিট কেটেছিলাম। টিকিট ছিল হাতে। অপলকে ট্রেনটা চলতে শুরু করলো। 
                আমি স্থবির হয়ে থাকলাম। নড়াচড়ার ক্ষমতা ছিল না। কখন যে চৈতী হাওয়ার মতোই ট্রেনটি একরাশ ধূলোর কুন্ডলী পাকিয়ে আমার দশদিক অন্ধকার করে দিগন্তে মিলিয়ে গেলো, বুঝতেও পারিনি। অথচ প্রতি মহুলের ঘ্রাণে আমি রাতচরা হরিণের অপেক্ষায় ছিলাম। সারা শরীর জুড়ে শীতল হিম শিশিরের পরত ক্ষমশঃ অনুভূতিগুলোকে স্নায়ুহীন করছে। 
               আসলে প্রতিটি মানুষের  একা বাঘ হয়ে বাঁচার ইচ্ছে অমোঘ, চিরকালীন। অথচ জীবনের প্রতিটি পাকদন্ডীতে সে নির্ভাবনাময়, নিরাপদ, কোমল হাতের কুটীরের সন্ধান করে। এরই নাম ভালোবাসা। না পাওয়া আক্ষেপ, পাওয়ার নিদারুণ আকুতি এখানে উহ্য.. প্রতিক্ষণের  অনুভূতিটাই মুখ্য। 
                এত্তো কথা লিখছি। ঈশ যদি বোঝাতে পারতাম? না বোঝাতে পারাটা আমার নিতান্তই ব্যর্থতা.. স্বীকার করে নিচ্ছি। 
              ভালো থেকো। আর কিচ্ছুটি না।
              ব্যথানীল বিষ সইতে সইতে পাওয়ার আশায় দিন গুণছিলাম। তোমার ফেবুতে দেওয়া ক্ষুদে কালো অক্ষরের ট্যাগ গুলো কবে নীলচে ফ্লুরোসেন্ট অক্ষরে জ্যান্ত হয় তার প্রতিক্ষায় নির্নিমেষ  গত দুই  বছর ফেসবুকে কাটিয়েছি। জানাশোনা যোগাযোগের অনেক মাধ্যম থাকা সত্বেও তোমার সম্মানের কথা ভেবে বিরত থেকেছি। লকডাউনের শুরুর দিকে সবকটা সময় কলকাতাতে ছিলাম। একটি নিউজ এজেন্সির কাজে। 
                 বাড়ির পাশে সবুজের মেলা। ডাইনে বাঁয়ে পেয়ারা, কলা, নারকেলের বাগান। শ্রমিকদের সাথে কথা বলে দিনমান বেশ পেরোতো। নদীবাঁধ ও বাঘের গল্প শুনতে বেশ লাগতো। সবগুলোই সুন্দরবনের অত্যন্ত গরীব পরিবারের।
                 ঐ সময় তোমার অভাবজনিত একাকিত্ব আমায় বেশ গ্রাস করেছিল। বিকেলের দিকে সব পাখি সমুদ্র সুন্দরবনের দিকে সার বেঁধে জ্যামিতিক ছবি  আমার কাল্পনিক হৃদয়ে আঁকতে আঁকতে এগিয়ে যেতো। 






একটি দলিত গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাঃ “প্রাণনারী” কল্যাণী ঠাকুর চাঁড়াল।
                                            
মধুপর্ণা কর্মকার 


গুরুচাঁদ ঠাকুর এবং হরিচাঁদ ঠাকুর মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনের শিক্ষার প্রতি দিয়েছিলেন সর্বাধিক গুরুত্ব। মানুষকে শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে চেয়েছিলেন। তাঁরা উপলব্ধি করেছিলেন, শিক্ষাই পারে নিগড় গুলো একে একে খুলে দিতে, অধিকার অর্জনের পথ প্রশস্ত করতে। আম্বেদকর দলিতজনের শিক্ষা ও অধিকারের প্রায়োগিক লক্ষ্যে বহুল পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেই পদাঙ্ক অনুসরণ  করে দলিত নারীবাদী, বিশিষ্ট দলিত স্বর, লেখক কল্যাণী ঠাকুর চাঁড়াল ১১/০৮/২০২২ তারিখ তাঁর জন্মস্থান নদীয়ার বগুলা গ্রামে প্রতিষ্ঠা  করলেন ‘রেণুকা ঠাকুর দলিত গ্রন্থাগার’।   


নদীয়া জেলার বগুলায় ১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহন করেন কল্যাণী ঠাকুর চাঁড়াল। বি কম পাশের পর তিনি রেলে চাকরি পান এবং চাকুরিরত অবস্থায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম কম পাশ করেন। ১৯৯৪ সালে আরও পড়ুন






এ ভরা ভাদর

                 তপন পাত্র


সাহিত্য-শিল্পের প্রধানতম বিষয়টি যে প্রেম একথা রসিকজন মাত্রই স্বীকার করবেন। বিদগ্ধজনেরাও বিপক্ষে যাবেন না। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ, বলা যায় সর্বশ্রেষ্ঠ প্রেমের ভান্ডারটি বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্য। রাধা-কৃষ্ণের সরস প্রেমলীলা তথা শ্রীরাধার প্রেমের ক্রমবিকাশ যে শুধুমাত্র স্বর্গীয় নয়, কল্পরাজ্য বৈকুন্ঠের সম্পত্তি নয়, এই মর্ত্যের তরুণ তরুণীর, মানব মানবীর প্রণয় লীলা এ কথা আমরা প্রায় সকলেই স্বীকার করি। মানবপ্রেমিক রবীন্দ্রনাথও বৈষ্ণব কবিদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলেছিলেন --

     "সত্য করে কহ মোরে, হে বৈষ্ণব কবি,
      কোথা তুমি পেয়েছিলে এই প্রেমছবি,
      কোথা তুমি শিখেছিলে এই প্রেমগান
      বিরহ-তাপিত? হেরি কাহার নয়ান,
      রাধিকার অশ্রু-আঁখি পড়েছিল মনে?
      বিজন বসন্তরাতে মিলন-শয়নে
      কে তোমারে বেঁধেছিল দুটি বাহুডোরে,
      আপনার হৃদয়ের অগাধ সাগরে
      রেখেছিল মগ্ন করি! এত প্রেমকথা,
      রাধিকার চিত্ত-দীর্ণ তীব্র ব্যাকুলতা,
      চুরি করি’ লইয়াছ কার মুখ, কার
      আঁখি হ’তে ?"


              আসলে প্রকৃত প্রেম যেখানে, সেখানে মানব ও দেবতার মধ্যে কোন ব্যবধান নেই। তাই তো ছন্দের যাদুকর কবি সত্যেন্দ্রনাথ বলেছিলেন,
   "দেবতারে মোরা আত্মীয় জানি, আকাশে প্রদীপ জালি, 
আমাদের এই কুটিরে দেখেছি মানুষের ঠাকুরালি।"
          সে কারণেই -- আরও পড়ুন

                 


                           আমাদের বই  














সম্পাদক : উত্তম মাহাত
সহায়তা : অনিকেতের বন্ধুরা
অলংকরণের ছবি : পটচিত্র
যোগাযোগ : হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৯৩২৫০৫৭৮০
ইমেইল - uttamklp@gmail.com




মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র শিল্প ।। মুকেশ কুমার মাহাত

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। মুকেশ কুমার মাহাত

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। নাচনী শিল্পীদের আলোক-চিত্র ।। সন্দীপ কুমার