পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তৃতীয় বর্ষ ।। একবিংশতি ওয়েব সংস্করণ ।। ১৫ মাঘ ১৪২৯ ।। ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

ছবি
মানুষ যখন নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারতে শুরু করেন তখনই প্রাইভেটাইজেশন শুরু হয়। মোদ্দা কথা হল প্রাইভেটাইজেশন শুরু হওয়ার পিছনে মূল দায়ী আমরাই।       আমি সরকারি কর্মচারী। উচ্চমানের বেতন গ্রহণ করি প্রতি মাসে। অথচ যে কাজ করার কথা সেই কাজ করি না। বরং উল্টোটা করতে করতে এগিয়ে চলি।             আট ঘন্টা ডিউটি করার পরিবর্তে তিন চার ঘন্টা করে পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি করি গোড়া থেকেই। সেই প্রবণতা ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তাকে বলবৎ করতে নানা পন্থা অবলম্বন করি। সেটা রাজনৈতিক বা নারকীয়ও হতে পারে।             আমি শিক্ষক। দেরিতে স্কুলে এসে খানিক মোবাইল চালিয়ে ছেলেদের মিড ডে মিল খাইয়ে চেষ্টা করি আড়াইটা নাগাদ স্কুল থেকে বেরিয়ে যেতে। এর পিছনে আমার নানা হিসেব, গুন ভাগ যোগ থাকলেও ছেলেরা তা কখনোই শিখতে পারে না। পারে না রিডিং পড়তেও।              স্কুলের উন্নয়নে কোনো স্কিম এলে তার থেকেও সামান্য রোজগার করে নেওয়ার সুযোগকে হাতছাড়া করি না কখনো। তার জন্য খারাপ গুণসম্পন্ন উপকরণ লাগাতে হলেও লাগিয়ে দিই।              আমি রেলে চাকরি করি। ডিউটিতে গিয়ে মদ খেয়ে পড়ে থাকি রেল লাইনের ধারে।          ...

সুজন পণ্ডার কবিতা

ছবি
আকাশ অংশত মেঘলা ছিল ১. একটি একটি করে শিশির বিন্দু মাটিতে নামছে। আরো হাজার বছরের শীত আরো হাজার বছরের স্মৃতি। বুকের মধ্যে জমানো পৌষের দীর্ঘ রাত্রি। এই আঁধার বড়ো ব্যক্তিগত। নিভৃত এক প্রশ্নের জন্ম দেয় ঠিক কতখানি ব্যথা পেরোলে মারা যায় বিশ্বাস? ২. কি দেবো তোমাকে? আমার নিরব শ্বাস? আমার নিঃস্ব সময়ের কিছুই তোমাকে দেওয়ার মতো না। অণু দিন। ভূমিহীন অস্পষ্টতা। আমার সঞ্চয় সাকুল্যে শূন্য বই তো নয়। কি দেবো তোমাকে? আমার ভঙ্গুর অভিমান? আমার বিছানার পাশে পড়ে থাকা নিরব আলো অথবা যে ছোট্ট মহাকাশ গায়ে জড়িয়েছি? কি দেবো তোমাকে? ৩. তোমার জন্য আমার ভালোবাসা শিশুর নখের মতো। শুধু নিজেই আহত হই। বাকিটা ক্ষমতাহীন। নিষ্পাপ। জানালার ওপাশে রোজ সকাল হয়। গোধূলি আসে।  আলোকে মনে হয় মায়া তোমার জন্য আমার ভালোবাসা মায়ার মতো শুধু নিজেই মোহিত হই। বাকিটা ক্ষমতাহীন। নিষ্পাপ। ৪. সূর্য ডুবছে। স্লেটের মতো রাত। কালো। ভারী। শেষ যাত্রী এসে দাঁড়াবে ঘাটে। শেষ খেয়া। নদী ছায়াহীন। স্রোতহীন। শেষ স্রোত আমি মুঠোতে ভরেছি। ৫. প্রতিটি নিঃশ্বাসে বুক উঠছে নামছে । এই শরীর যেন ধান ক্ষেত। হাওয়ায় দুলছে সোনার ফসল। এই শরীরই নদীচর। অজস্র ঢেউ-- ...

দুর্গা দত্তের একগুচ্ছ কবিতা

ছবি
হাতের পাঁচ : এক তুমি যে আগুন আমি জানি তুমি যে সমুদ্র আমি জানি তুমি যে বিকেল জুড়ে শালবনে ডুবে যাওয়া সূর্যাস্তের আভা আমি জানি তুমি যে সেই অলৌকিক তিরতিরে স্রোতে কেঁপে ওঠা পুণ্ডরীক আমি তা-ও জানি আজ বালির ওপরে চেয়ে দেখি আঁকি বুকি করে গেছি তোমার মুখের রেখা রক্তাভ অক্ষরে ভূর্জপত্রে দিনরাত সারাটা জীবন ... হাতের পাঁচ : দুই শব্দেরও কি রঙ থাকে ? লাল ! নীল ! হলুদ ! সবুজ ! ... শব্দেরও কি গোত্র থাকে ? আদিম ! কৌমতন্ত্রী ! আলোকিত! ইয়াহু সজীব !... তোমাকে শীতের চিঠি লেখবার আগে এই নিঝুম ঠাণ্ডায় ভোররাতে মাঝগঙ্গায় ডুব দিয়ে সব শব্দ ঠুকে ঠুকে ধুয়ে মুছে চোখ বুজে আসনে বসেছি... শব্দের যদি কোনো প্রাণ তুমি না-ই খুঁজে পাও আমাকে দুষো না কোনোদিন -- জেনে রেখো মন্ত্রাচারে আমি কোনো ফাঁকই রাখিনি -- চুপ করে সব কিছু দেখে শুনে মেনে নিয়ে সাবলীল লালন করেছি তাই বলে মনে কোরো না আমি কখনও হাতে নিইনি ভূর্জপত্র বেলকাঁটা তুলোট কাগজ -- মনে কোরো না যেন আমার এই স্বরধ্বনি বৃক্ষমূলে রৌদ্রস্নানে কখনও ডোবেনি !! হাতের পাঁচ  :  তিন  ইতর জীবন এই দুপায়েই জড়িয়ে মড়িয়ে হামাগুড়ি দিয়ে দিন ঝরে গেছে বনে ও বাদাড়ে খোলশ ...

ছবি প্রদর্শ-শালা ।। আলোকচিত্র ।। অভিজিৎ মাজী

ছবি
পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার অন্তর্গত ভাগাবাঁধ গ্ৰামে ১৯৮২ সালের ১ লা মে জন্মগ্ৰহণ করেন আলোকচিত্রী অভিজিৎ মাজী। পেশায় শিক্ষক এই আলোকচিত্র শিল্পীর ছোটবেলা কাটে গ্ৰামের অত্যন্ত সহজ সরল পরিবেশে বেড়ে ওঠা আর পাঁচটা ছেলের মতোই। ফলে তখন থেকেই গ্ৰামের পরিবেশের সাথে একটা মেল বন্ধন গড়ে ওঠে তাঁর। সামান্য বিষয়গুলোর মধ্যে খুঁজে পান বিশেষ গভীরতা। হাইস্কুলের গন্ডি পেরিয়ে যখন উচ্চ শিক্ষার জন্য শহরে পাড়ি দেন তখনও ফটোগ্ৰাফির দিকে খুব একটা ঝোঁক ছিল না তাঁর। বরং সে সময় কবিতা লেখার প্রতি বিশেষ অনুরাগ লক্ষ্য করা যায়। সেই কবিতা লেখার সূত্র ধরেই অনিকেত গোষ্ঠীর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। এম এ( ইংলিশ ), বি এড করার পর শিক্ষকতার কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। তবে এই সময় ফোটোগ্ৰাফির নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। যখনই সুযোগ পান তখনই পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে খুঁজে আনেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা ভূমিরূপ এবং জনজীবনের ছবি। বিশেষ করে অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন এলাকাতে গিয়ে পলাশ ও প্রকৃতি সম্পর্কিত তাঁর ফটোগ্রাফির যে সিরিজ রয়েছে তা সকলেরই মন কাড়ে। পেশা নয় কেবল নেশার তাড়নায় তাঁর এই কাজ মন কাড়ে আমাদের। বছরের একটা ব...

তৃতীয় বর্ষ ।। বিংশতি ওয়েব সংস্করণ ।। ১ মাঘ ১৪২৯ ।। ১৬ জানুয়ারি ২০২৩

ছবি
কত মানুষের মুখোমুখি দাঁড়াতে হলো কয়েকদিনে। কত মানুষের মননের কাছে হার মানতে হলো। অস্ফুটে, নত মস্তকে স্বীকার করতে হলো আমার এই অপারগতা। চলন নিতান্তই মন্থর সে এক অন্য জিনিস, আর ঝরা পাতার সামনে দাঁড়ানো সে এক অন্য। ঝরা পাতার সামনে দাঁড়িয়ে আমি যদি বলতে পারি, আরও কয়েকটা দিন বৃন্তের মধ্যে থেকে যাওয়ার কথা; অবশ্যই অক্সিজেন দেবে সেও। সেও চেষ্টা করবে সবুজ হয়ে থাকতে। বাড়াতে প্রবাহ শিরায় শিরায়।            পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে রাখতে এক সময় দূরেই চলে যাই আমরা। চলে যাই নাগালের বাইরে। তারপর শত চেষ্টাতেও নাগাল পাই না। এ এক দুর্ভাগ্য। কিন্তু হঠাৎ করে যখন অনেক মনের মানুষ সামনে এসে যান সেই দুর্লভ মুহূর্তটা যে কেমন বিস্ময় জাগায় তা না ঘটলে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। সেই মিলন ক্ষেত্র টুসুমেলা হতে পারে। হতে পারে লিটলম্যাগ মেলা অথবা "অনুবর্তন"-এর এক নিতান্তই ঘরোয়া আড্ডা।               ভালোবাসা মানুষকে বাঁচতে শেখায়। কিন্তু সেই ভালোবাসাকে কে কোন পর্যায়ে নিয়ে যাবেন তা কে কাকে শেখাবেন? সে তো নিজে নিজেই পরিচালিত হয়ে একটা গন্তব্যে পৌঁছে দেয় আমাদের। আর আমরা তা মেনেও নিই বাধ্য করে। তবে ...