পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতা, শুভজিৎ মাহান্তী

ছবি
শুভজিৎ মাহান্তীর কবিতা ১. অনামিকা অনামিকা, তুমি থেকে যাও আমাদেরই কাছে । হয়তো বা সঞ্জীবনী হয়ে মৃত শঙ্খের শরীরে শাদা এঁকে দিয়ে যাও আর একটুখানি তোমার চোখে এখন পৃথিবীর যত চিতার লালাভ আগুন, কিন্তু চিন্তার আগুনে দগ্ধ তোমার মুখের সামনে কৃষ্ণপক্ষের নীল কুয়াশা এসে জুটেছে । দূর্বার নরম শরীরে শীতমাসের শিশিরের কবোষ্ণ চুম্বন তোমার শরীরে কী স্থবিরতা এনে দেয় ? অনামিকা, তুমি যেয়োনা আর থেকে যাও আমাদেরই কাছে । ২. নিরুপমা একদিন কৃষ্ণচুড়াও কেঁদেছিল রক্তের দিকে চেয়ে । যৌবনের খরস্রোত পেরিয়ে, অসময়ের কিউমুলোনিম্বাস আমাকে আরো দূরে ঠেলে দিয়েছিলো তোমার থেকে নিরুপমা । ঘাসের শব্দ শুনে শুনে আমি বার বার গেছি দরজায় অল্প বাতাসে তোমার গন্ধ পেয়েছি সেদিন রাতে দুজনের উষ্ণ শরীরে রক্ত কেমন প্রয়াগের মতো উত্তাল হয়েছিল। আমার পাশবিক ভ্রূকুটি টুকু নিস্তেজ করে দিয়েছে তোমার পরশ আবার ঘাসের শব্দ শুনে শুনে আমি যাই সেই দরজায়। ৩. আশ্বিনের কবিতা  প্রত্যেক দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর তুমি ।ক্ষুধার অগ্নি কালপ্রবাহের সাথে ঊর্ধ্বগামী, যেন অর্জুনের গান্ডিব নাভিমুন্ড থেকে সমস্ত উষ্ণ নিঃশ্বাস সন্ধান করেছে আশ্বিনের আকাশে । আমার প্রত্যেক দ্বিতীয় ...

পঞ্চম বর্ষ ।। তৃতীয় ওয়েব সংস্করণ ।। ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ০২ অক্টোবর ২০২৪

ছবি
মহালয়ার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই সকলকে। ভালো থাকুন সকলেই। পুজোর দিনগুলো আনন্দে কাটুক। ______________________________________________                           আমাদের বই কবিতা   যশোধরা রায়চৌধুরী  শুভাশীষ ভাদুড়ী  দীপান্বিতা সরকার  মনীষা মুখোপাধ্যায়  সম্রাট সেনগুপ্ত  প্রীতম বিশ্বাস  গৌতম কুমার গুপ্ত  দেবযানী ঘোষাল  পর্ণা দাশগুপ্ত  নূপুর রায় ( রিনঝিন ) দেবাশীষ সরখেল  অঙ্কন রায়  রূপক চট্টোপাধ্যায়  শুভজিৎ মাহান্তী গদ্য তপন পাত্র  ডরোথী দাশ বিশ্বাস  ময়ূখ দত্ত ______________________________________________ আমাদের কথা  যোগাযোগ করুন  ______________________________________________

গদ্য, তপন পাত্র

ছবি
"মহালয়া" কী ও কেন ... তপন পাত্র _________________________________ কথা হচ্ছিল দু'চার জন গৃহবধুর সাথে । প্রসঙ্গ : "মহালয়া" । তাঁরা তখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রী । মহালয়ার ভোরে প্রায় জোর করেই তাঁদের জাগিয়ে দেওয়া হতো । স্কুল মাঠের বকুলতলায় ঢুলু ঢুলু চোখে বসে পড়তেন তাঁরা । ছোট্ট আয়তাকৃতির একটা বাক্স থেকে ভেসে আসতো কী সব গান আর খুব গম্ভীর গলায় যত্তোসব মন্ত্র !  একসময় সকাল হয়ে যেত । তাঁরা একে অপরকে জিজ্ঞাসা করতেন , ''তুই আকাশের দিকে তাকিয়ে মহালয়া দেখতে পেয়েছিস ? " উত্তর আসতো --"না" ।  আর তুই ?   প্রতিউত্তর --"না" । দীর্ঘ কয়েকটা বছর তাঁদের ধারণা ছিল মহালয়া মানে ,  ভোর বেলায় আকাশে হয়তো বিশেষ কিছু দেখতে পাওয়া যায় । তাঁদের দুর্ভাগ্য তাঁরা দেখতে পাননি । কড়া মেজাজের দিদিমণিদের এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করারও সাহস হয়নি ।  পরে ধীরে ধীরে বড়ো হবার সাথে সাথে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো তাঁদেরও ধারণা বদলালো । তাঁরাও ভাবলেন , মহালয়া মানে বাণীকুমার সম্পাদিত গীতি আলেখ্য "মহিষাসুরমর্দিনী" ।...

কবিতা, রূপক চট্টোপাধ্যায়

ছবি
অস্পষ্ট হয়ে আসছে রূপক চট্টোপাধ্যায় ১. ওরাই ডেকে নিয়ে গেল ওরাই অপেক্ষা করলো সূর্যাস্তের ওরাই শ্বাসনালী কেটে গড়িয়ে দিল পৃথিবীকে নদীর পাড় থেকে গভীরে। ...… তারপর বহুদিন হলো আমরা মোমবাতি জ্বেলে হেঁটে যাচ্ছি। রোজ।  কিন্তু কেন তা ঠিক জানি না! ২. হিংসার মুখ থেকে বারুদ বমি করেছে সদ্য  কালো ধোঁয়ার জাহজে লাশ বোঝাই হলো সবাই শিশু। বেশ নরম নদীর মতো শরীর রক্ত তখনও ঝরছে, ইতিউতি। গোঁগানি মৃদু। একটু দূরেই মহাজাগতিক প্রাণীরা দাঁড়িয়ে  ছবি তুলছে।  সবার মুখ ঘোড়ার মতো লিঙ্গ লম্বা আর মাথায় শিং। পৃথিবী, কিছুতেই বুঝতে পারছে না ঘূর্ণন গতিটা  কখন পূব থেকে পশ্চিম দিকে হয়ে গেছে!  মূল পাতায় যান 

কবিতা, মনীষা মুখোপাধ্যায়

ছবি
পুজো রিলিজ মনীষা মুখোপাধ্যায় ছোটবেলায় আমরা গরিব ছিলাম। তার মানে এমন নয়, এখন খুব বড়লোক এখনের কথা থাক ছোটবেলার কথা শোনো পাশের বাড়িতে মাংস রান্না হলে আমরা সেদিন লতা ও হেমন্ত শুনতাম মন দিয়ে যেদিন ওদের পোলাও, সেদিন আমাদের সন্ধ্যা নয়তো অশোকতরু। মান্নার বিরহ বেজে উঠত অন্যের ইলিশ মাছের দিনে। আমার আটপৌরে মা গান ধরতেন ওদের দার্জিলিং ভ্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। এখন দিন ঘুরেছে   বছরে দুটো বেড়ানো দিনান্তে রাইস, চিল্লি চিকেন, আমাদের পাথরের মেঝে আর নতুন দেয়ালে  নকল যামিনী রায় দোলেন মান্না হেমন্ত অশোকতরুরা কে কোথায় ছিটকে গিয়েছে! বাবার পুরনো দেরাজে মুখ গুঁজে পড়ে আছে পুজো রিলিজের লতা আশা। মায়ের স্বরলিপির খাতা  নিয়ে গিয়েছিল ও পাড়ার মিলুদি। ওর বাবা রেলের হকার ছাদে মাদুর পেতে  সন্ধেয় গান ধরে মিলুদি, বাতাসের কানে কানে তার ঘোর লাগা শব্দ  আমাদের বারান্দার কাছে এসে থমকে দাঁড়িয়ে যায়।  মা তখন মুখে আঁচল চাপা দেয় সত্যিই একসময় আমরা খুব গরিব ছিলাম তবে একদিন  এমন নিঃস্ব হয়ে যাব এ কথা কেউ ভাবিনি। মূল পাতায় যান 

কবিতা, শুভাশীষ ভাদুড়ী

ছবি
শুভাশীষ ভাদুড়ীর কবিতা ১. দিন থাকিতে দিনের সাধন আমি হাঁটি চেনা গলি ধরে একা একা, সঙ্গে কেউ নেই , গলিটা তো তিন-রাস্তা মোড়ে হারিয়ে ফেলেছে তার খেই; মিশে গেছে কর্মব্যস্ততায়, একটানা একঘেয়ে সুরে বড় ভারী গম্ভীর চাকায় জড়িয়ে, সে চলে গেছে দূরে আমার বিরক্তি জাগে খুব, চেনা ভঙ্গি, জানা শব্দস্বরে থমকে যাই নেশাড়ু-বেকুব, ধুলো-ধোঁয়া চটি জাপটে ধরে। ঝিমানো দুপুর গলি থেকে কখন দাঁড়ালো পাশে এসে, এতসব নড়াচড়া দেখে তারও ভাতঘুম গেছে ফেঁসে, মুখ এনে কানের ওপরে, চুপি চুপি আলস্য জড়ানো গলায় আমাকে প্রশ্ন করে-- নিরিবিলি কোনও প্রান্ত জানো? আমি ভাবি...দুপুরও চিন্তায়... শশব্যস্ত জঙ্গি ভূগোলের কোন্ দিকে, কোন্ ঠিকানায় ঝিম ধরে চলা যাবে ফের! কোনদিকে গেলে তবে প্রায় আরেকবার ফের হাঁটা যাবে পাট-ভাঙ্গা নতুন রাস্তায়... ২. নিচু তলার পদ্য ও ফঙ্গ-বেনের দল , কোন রঙ্গবশে বল অঙ্গ ভ'রে ছোপালি গুলাল , চেয়ে দ্যাখো চতুর্দিকে, স'ন্দে হয়ে এল ফিকে , বের হচ্ছে রাতের কঙ্কাল  রাত বড় ঢ্যামনা বুড়ো,  কম্বলের ধরা-চুড়ো পরে যদি হাজির এখানে, আমরা কেন দুখ্খু করে  যাব চলে যম-দুয়োরে; কেন ঘরে খিল দেবো মানে!  তাই এ...

কবিতা, যশোধরা রায়চৌধুরী

ছবি
যশোধরা রায়চৌধুরীর কবিতা ১. মধ্যমেধার গল্প কাজে লেগে যাবে ভেবে মধ্যবিত্ত আলমারিতে তুলে রাখল কতবিধ মেধা ও মনন তুলো মুড়ে তুলে রাখল প্রতিবাদ, লকারে লকারে রইল ভাবার অভ্যেস পাশাপাশি রাখা রইল গরিবের কথকতা, মার্ক্সদেবতার গীতা , ভূতের গল্পেরা পাশাপাশি নিরুদবেগ, শোকেস-সাজানো রইল ধর্ম, বক, জিরাফ, জৃম্ভন। মধ্যমেধা শুদ্ধ করে রেখেছিল অন্তরের ধন আলমারিতে তুলে রাখল রবীন্দ্র রচনাবলী, বিপ্লব, কীর্তন। আজ পাশে রেখেছে কুড়িটি খুন, দশ থ্রিলার, চারিটি ওটিটি মধ্যমেধা আপাতত প্রাপ্তবয়স্ক হল, ছেঁটে ফেলে চরিত্রের ভিতু ভিতু কুন্ঠিত ত্রুটিটি ২. সাফল্যবিভ্রম "success has no taste or smell and when u get used to it it is as if it never existed" dialogue from spanish film  "all about my mother "  এই সেই প্রত্যাশাপূরণ।  এই সেই চূড়ান্ত অধিষ্ঠান, আরো বেশি সুখের মরণ।  এর পর নেই কিছু আর।  আছো তুমি স্বর্ণবুদবুদে।   কে তোমার মুখে দেবে খুঁটে হে খাবার?  মুখমন্ডলের মধ্যে একবার প্রবেশ করলে খাদ্য হয় ঢেলা।  দাঁতে চিবনোর আগে আদিম সম্পর্কলোভী,  তোমাদের নেই হেলাফেলা...  কাতর সে...

কবিতা, দীপান্বিতা সরকার

ছবি
সন্ধ্যাতপ দীপান্বিতা সরকার অস্তোন্মুখ কোন পথ ধরে এলে শিমুল, পলাশ, কুসুমের দিন? পাহাড়তলির পাথরে প্রান্তরে আজও কত ঘুম লেগে আছে৷ একা হাঁটি একা ছুঁই দু'ধারে শাল পিয়ালের জঙ্গল৷ ডাল কলমীর ফুল আত্মজা যেন, জড়িয়ে ধরেছে দুই চোখ। জলের শরীরে জল, শুধু আত্মরতি ওই পায়ে। উঠেছি পাহাড়চূড়োয় আবার আবার, দেখেছি সন্ধ্যাতপ, টুপটুপ মহুয়া ফুলের ঝরে পড়া। সব গান ভেসে গেল পাহাড়ের মেঘে, বনান্তরেখায়, শান্ত মুরুগুমা... মূল পাতায় যান 

গদ্য, ডরোথী দাশ বিশ্বাস

ছবি
বিশ্ব ক্ষুধা দিবস ডরোথী দাশ বিশ্বাস ক্ষুধা!!! পেটের ক্ষুধা, দেহের ক্ষুধা, মনের ক্ষুধা, জ্ঞানের ক্ষুধা--- কত রকম ক্ষুধা! পেটে নেই ভাত, লেখালেখিতে কাবার হয় রাত! পেটে নেই খাদ্য, তবু পড়তেই হবে পদ্য, লিখতেই হবে গদ্য, হবে না সে গুরুজনের কথার অবাধ্য। মেটে নি, মেটে নি ক্ষুধা অপলক চোখে,      চেয়েছি, মেনেছি হার। আজ লিখবোই, কিছু লিখতেই হবে-        এটুকু বুঝেছি সার। আদুরে আলতো কথা- যাক্ সব         যাক্ ভেসে ভেসে- যা কিছু দুষ্প্রাপ্য সুখ- পাই যদি তা         কুড়িয়ে নিই হেসে হেসে। রোদ-বৃষ্টি-খেলা- সব শেষ হল,        হিমঝরা ভোরের হাওয়া ঝিরঝির কম্পন প্রশাখায়        শ্লথ হয় আসা যাওয়া। চূর্ণ চূর্ণ চিন্তা, মাঝে দীর্ঘ বিরতি,         সময়ের অপব্যয়, উড়ে এসে জুড়ে বসা স্বরের সঙ্গতি-          এ কে কি কবিতা কয়? তবু খুঁজি ...

গদ্য, ময়ূখ দত্ত

ছবি
ডাইরীর ছেঁড়া পাতা ময়ূখ দত্ত তেল ও গ্যাস প্রোজেক্টে কাজ করি, তাই প্রতি পদে তেল বা গ্যাস লিক হয়ে দূর্ঘটনা ঘটলে যে বিরাট রিস্ক থাকে, সেসব নিয়ে প্রতিনিয়ত সতর্ক থাকতে হয়। অনেক সতর্কতার মধ্যে একটা খুব সাধারণ ব্যাপার হল - যেখানেই কন্সট্র‍্যাকশন এর রিস্ক আছে (যেমন ধরা যাক কোনো ফাউন্ডেশন করার জন্য মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে, লোকের পড়ে যাওয়ার ভয় আছে বা মাটি ধ্বসে যাওয়ার ভয় আছে..) সে জায়গা গুলো লাল-সাদা টেপ / দড়ি দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়, যাতে সবাই বুঝতে পারে এটা বিপজ্জনক জায়গা, সাবধানে চলাফেরা করতে হবে... আজ সাইটে কাজের তদারকিতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম, কিছু শ্রমিক বস্তা ভর্তি বালি কাঁধে করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ প্রচন্ড চ্যাঁচামেচি শুনলাম - একটা বাচ্চা সাপ নাকি কোনো একটা বালির বস্তার ভেতরে ঠান্ডায় আরাম করে ঘুমাচ্ছিল, শ্রমিকদের কাজের জন্য বাইরে বেরিয়ে এসেছে!!....তারপরে আমাদের সেফটি অফিসার এসে ওই বালির বস্তার স্তুপটার চারদিক লাল-সাদা টেপ দিয়ে ঘিরে দিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম "এইভাবে বালির বস্তার স্তুপ একটা টেপ দিয়ে ঘিরে দেওয়ার মানে কি? "না, মানে ওই বাচ্চা সাপটা সবার চ্যাঁচামেচিতে ভয় প...

কবিতা, অঙ্কন রায়

ছবি
শৈশবে ফিরে যেতে চাই অঙ্কন রায় এখন মধ্যদিন, জানলায় একা বসে ভাবি আর তো কিছুটা পরে বাগান ঢাকবে মেঘছায়া আঁধার নামার মুখে পাখিরা কুলায় ফিরে গেলে আমার বিজন ঘরে তখনও থাকবে ঘিরে মায়া? হঠাৎ উজান স্রোতে ভেসে যাই মনতরী বেয়ে ফিরে পেতে ভালো লাগে অনাবিল সেই শৈশব যখন সকালবেলা সূর্যের আলো মেখে গায়ে প্রাণের বাগানে ঘুরে গান গাই যত সই, সব। সেই সব দিনগুলো কোথায় যে হারিয়ে ফেলেছি যখন স্বপ্নে পাওয়া পাহাড়ের চূড়া করি জয় এখন মধ্যদিনে ছোটবেলা তাড়া ক'রে আসে সাঁঝবাতি জ্বললেও মনে থাকে আঁধারের ভয়।। মূল পাতায় যান 

কবিতা, দেবাশীষ সরখেল

ছবি
ওগো ছায়াময় দেবাশীষ সরখেল মন্দিরে হবে আরতি ধূপ ধুনো আর কি । নীরবতার ভেতর বাজে ঠাকুর মহিমা। তাকিয়ে তাকিয়ে দেখো । এখানেও পরিত্রাণ নেই চুরি হয় নির্জনতা একদিন জনগর্জন আলোক ময়তার কথা বলে অনেক অনেক পথ পেরিয়ে আলো শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর অনেক খননের পর জল শীতলতা । ছায়া ছায়াময় গাছ একদিন নাকি ছায়া হাসতো অকারণে হত বজ্রপাত এখানে বাতাস ,নিশুতি বাঁধগাভা তোমাকে চাইছে ছায়াময় । অদৃশ্য ছায়াময় হয়তো বা বসে আছে                                   নিজের ছায়ায় । মূল পাতায় যান 

কবিতা, নূপুর রায়

ছবি
বোবাকালা হও নূপুর রায় (রিনঝিন) দর্শক নীরবতা ভেঙে দিও না বোবাকালা হও ভীমরুল হুল ফোঁটাক শরীরজুড়ে টু-শব্দ ক'রোনা ব্যথা পেলেও ! তালিবানি শাসনের দরবার হোক শহরে গ্রামে রাজপথ অথবা অলিগলিতে বিবস্ত্র ধর্ষিত হোক্ নারীর শরীর ভাতার পণ্য! বুলডোজারের নীচে চাপা থাক কান্নারা শোষন তোষণ পাশাপাশি হেঁটে যাক্    রংয়ের পরতে মুখ পাল্টে গদিতে  সব জীব জড় বস্তু! "চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত"!  মূল পাতায় যান

কবিতা, সম্রাট সেনগুপ্ত

ছবি
সম্রাট সেনগুপ্তের কবিতা ১. এগিয়ে যাওয়ার পর স্বপ্নের মধ্যে যারা এগিয়ে ছিল তারা গেছে পিছিয়ে, যারা স্বপ্নাদেশ পেয়ে চলে গিয়েছিল ফিরে এসে দেখেছে বিক্রি হয়ে গেছে বসত বাড়ি, একটা বয়সে সময়কে মনে হত কাল আর পরশুকে পাশের বাড়ির জানালা, স্বপ্নদোষ তখন রক্তে ভিজিয়ে দিত মন, পোশাকের মধ্যে ফুলে ওঠা হৃদয় বাড়িয়ে বার বার বুঝে গেছি ছোঁয়া যাবে না আকাশ, তাই বাড়িয়ে দিয়েছি দুই হাত যাদের আলগা মুঠো, স্বপ্নের মধ্যে যারা পিছিয়ে রয়েছে তারা একদিন ফিরতি পথ খুঁজবে পদচিহ্নে, আমি তখন দমকা বাতাস রাতের স্বপ্নাদেশ - যার যোগফল শূন্যের কাছাকাছি। বসতবাড়ি ভাঙার পর গভীর রাত্রে দেখি নির্মীয়মান বহুতল - অর্ধেক বানানো সিঁড়ি, স্বপ্নের মতো মধ্যরাতে উঠে বুঝে নেব এ জীবনে আর পৌঁছানো যাবে না ছাদে - টিলার ওপরে সূর্যাস্ত দেখার ছুতোয় তবুও উঠে যাবো পাহাড়ের চূড়ার খুব কাছাকাছি, সেরে গেলে স্বপ্নদোষ - হৃদয়ে ফুটো - শরীর ভেঙে গড়ায় জল। ২. না থাকার কবিতা কালো রাত কেটে গেলে তুমি এলে, ছুঁয়ে যাও যেমন রোজ রোজ আমার ঘুমন্ত কপাল, জেগে উঠে দেখি শিশির বিন্দু জমে আছে, যেখানে না থাকা প্রতিদিন ঘুম হয়ে যায়। কালো রাত কেটে গেলে  তুমি আসো, জমে ওঠে মেঘ,  নে...